এমন মানুষও আছেন যারা বলছেন ৫ বছর থাকুন, ১০ বছর থাকুন ৫০ বছর থাকুন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১০:০৯ এম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের দীর্ঘ মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ব্রিটিশ-আমেরিকান সাংবাদিক মেহেদি হাসান। এর জবাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে ভিন্ন ভিন্ন মত উঠে আসছে। এমন মানুষও রয়েছেন, যারা বলছেন আপনি ৫ বছর থাকুন, ১০ বছর থাকুন, ৫০ বছর থাকুন। সুতরাং, মানুষ নানা ধরনের কথাই বলে। তারা বলে নির্বাচনের দরকার কী? কার নির্বাচন দরকার?
আলজাজিরার জনপ্রিয় টকশো হেড টু হেড-এর সাবেক উপস্থাপক এবং জেটিও মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা মেহেদি হাসান নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগদানকালে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার নেন। সোমবার রাতে জেটিও প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয় মূল সাক্ষাৎকারের তিন মিনিটের একটি অংশ।
সাক্ষাৎকারে মেহেদি হাসান বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায়। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও এটি অনেক দেরি বলে সমালোচনা উঠেছে। কেন আরও আগে সম্ভব হচ্ছে না? উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, নেপালের অন্তর্বর্তী সরকার ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা উত্তরে জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে, সেটিও রমজানের সময় বিবেচনায় রেখে। তিনি যোগ করেন, সমালোচকদের মতোই ভিন্নমতও আছে অনেকে চান অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ সময় থাকুক, কারণ তারা সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন দেখতে চান।
ইউনূস বলেন, আমাদের কতদিন থাকা উচিত তা আগে থেকে নির্ধারণ করা হয়নি। তবে আমাদের তিনটি কাজ দেওয়া হয়েছে সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। কেবল নির্বাচন হলে পুরোনো ব্যবস্থাই ফিরে আসবে। তাই সংস্কারের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের সব শিকড় উপড়ে ফেলা জরুরি।
মেহেদি হাসান পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা কি শুধু ন্যূনতম কাজেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়? এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মধ্যে এ নিয়ে কোনো মতবিরোধ নেই। আমরা কেবল বলেছি, তিনটি কাজ আমাদের দেওয়া হয়েছে। আমরা সেটা করব।