জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো চার যুবকের বিষপান, আত্মহত্যার চেষ্টা


saurav/9255dd4d5908eb20ecdeab320ba5b277-66232445e9155.jpg

রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো চার যুবক বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে তারা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা এখন শঙ্কা মুক্ত আছেন বলে জানা গেছে।

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে ভর্তি থাকা চারজন বিষপান করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত আছেন, সুস্থ আছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ হাসপাতালে জুলাই ফাউন্ডেশনের সিইওর সঙ্গে আমাদের একটি মিটিং ছিল। এজন্য তিনি হাসপাতালে এসেছিলেন। এ সময় ওই চারজন বিষপান করেন। এরপরই তাদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারা সিইওর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এ ঘটনা ঘটাতে পারে। তাদের মধ্যে একজন একমাস আগে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন।’

আজ দুপুরে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষপানকারী চারজন হলেন- শিমুল, মারুফ, সাগর ও আখতার হোসেন (আবু তাহের)।

জানা গেছে, জুলাই ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) সঙ্গে চলমান বৈঠকের সময় ওই চারজন দাবি নিয়ে তার কক্ষে যান। সিইও তাদের অপেক্ষা করতে বললে ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানেই বিষপান করেন তারা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের কাছে আগেই বিষ ছিল।

চোখ হারানো আহতরা অভিযোগ করেছেন, ‘দীর্ঘ নয় মাসেও তাদের উন্নত চিকিৎসা বা পুনর্বাসনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং প্রতিশ্রুতি দিয়ে নানা বাহানা করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বললেও তা বাস্তবে ঘটেনি। আমাদের চিকিৎসার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।’

চিকিৎসকরা বলেন, ‘যারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই মানসিকভাবে ভালো নেই। তারা আশঙ্কা করছেন যে, যদি হাসপাতাল থেকে চলে যান, তাহলে তারা পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন সমস্যা এবং সংকটে পড়তে পারেন। তাই তারা হাসপাতাল ছাড়তে চাচ্ছেন না।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×