
সাকসেস এন্টারপেনর ওফ বাংলাদেশ'র উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী শীত মেলার আয়োজন
সাকসেস এন্টারপেনর ওফ বাংলাদেশ (এস ই বিডি) গ্রুপের পক্ষ থেকে সরকারি জামিলা আইনুল আনন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে গত ১৪ ও ১৫ই জানুয়ারি দু'দিনব্যাপী এস ই বিডি শীত মেলা ২০২৫ মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। মাত্র পাঁচ দিনের প্রস্তুতিতে একটি সফল মেলা সম্পূর্ণ করেছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তাসলিমা আক্তার কনিকা। মেলায় ছিল দেশীয় ঐতিহ্য পিঠাপুলি। খাবার দোকান ছাড়াও ছিল খেলনা, জুয়েলারি, পোশাক ও ঘর সাজানোর সামগ্রী। এস ই বিডি প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তাসলিমা আক্তার কনিকা সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা তাসলিমা আক্তার কনিকা বলেন আমরা উদ্যোক্তাদের পাশে থেকে তাদের এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করতে কাজ করে যাচ্ছি। উদ্যোক্তাদের সেল বৃদ্ধি, নেটওয়ার্ক তৈরি এবং ব্রান্ডিং করা আমাদের মূল লক্ষ্য। আমি চাই প্রতিটি নারী স্বনির্ভর হয়ে সমাজে, পরিবারে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকুক।

শীতকালে খুশকি দূর করুন ঘরোয়া তিন উপায়ে
শীতকালে খুশকি একটি সাধারণ সমস্যা। তবে, সঠিক যত্নের মাধ্যমে এটি দূর করা সম্ভব। তিনটি ঘরোয়া কার্যকর উপায়ে খুশকি দূর করা যায়। তেল ব্যবহার করুন- নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল: হালকা গরম তেল স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। এটি স্ক্যাল্পকে আর্দ্র রাখে ও খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। টি ট্রি অয়েল: এর অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ খুশকি কমাতে কার্যকর। এক বা দুই ফোঁটা টি ট্রি অয়েল নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। বেকিং সোডা ব্যবহার করুন: এক চামচ বেকিং সোডা স্ক্যাল্পে সরাসরি ঘষুন। এটি অতিরিক্ত তেল ও মৃত কোষ দূর করে। ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করুন- দই ও লেবুর প্যাক: এক কাপ দইয়ের সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। ২০-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি খুশকি দূর করতে ও স্ক্যাল্পকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। মেথি বীজ: মেথি বীজ ভিজিয়ে পেস্ট তৈরি করে স্ক্যাল্পে লাগান। এটি খুশকির জন্য খুবই কার্যকর। পরামর্শ: মাথার ত্বক পরিষ্কার ও আর্দ্র রাখুন; শীতকালে গরম পানির পরিবর্তে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন; পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন, বিশেষ করে ভিটামিন বি এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার এবং আপনার স্ক্যাল্পের সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন।

ঘুম থেকে উঠেই যে ব্যায়াম করলে মেলে মানসিক প্রশান্তি
সকালে ঘুম থেকে উঠেই বিছানায় অনুশীলন করতে পারেন সহজ একটি ব্যায়াম। এ ব্যায়াম আপনার সারাদিনের দুশ্চিন্তা কমিয়ে এনে দেবে মানসিক প্রশান্তি। ব্যস্তময় জীবনে বিভিন্ন বদ অভ্যাস আর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে দূরে থাকতে যোগব্যায়াম করার বিকল্প নেই। কিন্তু, প্রতিদিন যোগব্যায়ামের জন্য সময় বের করা সম্ভব হয় না। তাই, এমন একটি ব্যায়ামকে বেছে নিন, যা অনুশীলন করা সহজ আবার নিয়মিতই এই ব্যায়াম করার সুযোগ থাকে।ঘুম থেকে উঠে বিছানাতেই তাই একটি ব্যায়াম নিয়মিত অনুশীলন করতে পারেন। সেটি হলো সর্বাঙ্গাসন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘বিশেষ এই আসনে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে সুস্থতা নিশ্চিত করে, যা প্রভাব ফেলে চুলের ওপরও।’ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন, মানসিক স্বস্তি, দুশ্চিন্তা রোধ, হাত ও কোমরের ব্যথা দূর, দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকার ফলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা দূর করা সহ নানা রোগের সমাধান এ সর্বাঙ্গাসন। তাই, নিয়মিত এই ব্যায়ামটি না করলেই বিপদে পড়তে পারেন বলে মনে করছেন ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা। সর্বাঙ্গাসন অনুশীলন: সর্বাঙ্গাসন অনুশীলন করতে প্রথমে শুয়ে পড়ে ধীরে ধীরে আপনার দুটি পা ওপরে তুলুন। এবার হাত দুটো কনুইয়ের কাছ থেকে ভেঙে কোমরের দুই পাশে ধরুন এবং কনুইয়ের ওপরে জোর দিয়ে কোমর ও পা সোজা অবস্থায় ওপরে তুলে নিয়ে আসুন। ৯০ ডিগ্রি পজিশনে উঁচু করা পায়ের বুড়ো আঙুল মাথা বরাবর থাকবে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে রেখে এভাবে তিনবার অনুশীলন করুন।প্রথম দিকে এ আসন অনুশীলন করতে সমস্যায় পড়লে দেয়ালে পা রেখে এ ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে পারেন। এরপর ধীরে ধীরে সর্বাঙ্গাসন সঠিক নিয়মে অনুশীলন করুন।মনে রাখবেন, প্রতি বার আসনটি ৫ মিনিট অনুশীলন করার পর মানসিক স্থিরতার জন্য ২ মিনিট চিত হয়ে শুয়ে পা দুটি লম্বা করে ছড়িয়ে দিয়ে রিল্যাক্স করুন। মাত্র এই এক ব্যায়ামেই সারাদিন ফুরফুরে আর সতেজ অনুভব করবেন।

সহজে মজাদার চিকেন সাসলিক তৈরি করবেন যেভাবে
সন্ধ্যার নাশতায় বা মেহমান আপ্যায়নে চিকেন সাসলিক হতে পারে আকর্ষণীয় একটি খাবার। বাড়িতে গ্যাসের চুলায় সহজেই এটি তৈরি করা যায়। ছোট থেকে শুরু করে বড় সবাই এই খাবারটি অনেক মজা করেই খেয়ে থাকে। আর চিকেনের সঙ্গে ভেজিটেবলসের ক্রাঞ্চি খাবারটি আরও মজাদার করে দেয়।লোভনীয় এ খাবারটি তৈরির রেসিপি আসুন জেনে নিই-যা যা লাগবে: চৌকো করে কাটা হাড় ছাড়া মুরগির মাংস আধা কেজি, আদা ও রসুন বাটা আধা চা চামচ, সয়াসস এক চা চামচ, লবঙ্গ গুঁড়ো কোয়ার্টার চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়ো কোয়ার্টার চা চামচ, গোল মরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমত, বাটার পরিমাণ মতো, লেবুর রস এক টেবিল চামচ, প্রয়োজন অনুযায়ী চৌকো করে কাটা লাল, সবুজ ও হলুদ ক্যাপসিকাম ও সাসলিক কাঠি আট থেকে দশটি।যেভাবে তৈরি করবেন: মুরগির মাংসের টুকরোগুলো সব মসলা মাখিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। ক্যাপসিকাম টুকরোগুলো লবণ গোল মরিচ ছিটিয়ে টস করে নিন। ঘণ্টাখানেক পর সাসলিক কাঠিতে মাংস টুকরো আর ক্যাপসিকাম গাথুন। প্যানে বাটার ব্রাশ তেল দিয়ে সাসলিক ভেজে নিন। ভাঁজার সময় আঁচ কমিয়ে নিতে ভুলবেন না যেন। ৫-১০ মিনিট ভাঁজার পর দেখবেন চারপাশ ঠিকমতো ভাঁজা হয়ে গিয়েছে। মাংস নরম হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার অল্প আঁচে ক্যাপসিকাম, টমেটো, শসা ভেজে নিন। তারপর সাসলিক কাঠিতে মাংস টুকরো, টমেটো আর ক্যাপসিকাম গাথুন।ব্যাস, হয়ে গেল চিকেন সাসলিক। এরপর চাটনি বা সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন সুস্বাদু এ খাবারটি।

কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া কি ক্ষতিকর?
ভাতের সঙ্গে কিংবা অন্যান্য খাবারের সাথে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া সাধারণত ক্ষতিকর নয়; বরং এটি কিছু উপকারও করতে পারে। পেঁয়াজে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবারের পাশাপাশি কুয়ারসেটিন ও জৈব সালফার থাকে, যা শরীরের জন্য উপকারী। তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। জেনে নিন কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা-হজমে সহায়তা: কাঁচা পেঁয়াজে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি পাচনতন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: পেঁয়াজে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও সালফার-যুক্ত যৌগ থাকে, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। হার্টের জন্য ভাল: পেঁয়াজ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: পেঁয়াজে প্রচুর পটাশিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া- কিছু মানুষের ক্ষেত্রে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে অ্যাসিডিটি বা হজমের সমস্যা হতে পারে।

গাজর খাবেন পাঁচ কারণে
গাজর একটি পুষ্টিকর সবজি; যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গাজর কাঁচা, রান্না করে বা জুস হিসেবে খাওয়া যায়। এটি খাদ্যতালিকায় নিয়মিত অন্তর্ভুক্ত করলে শরীর সুস্থ ও সতেজ থাকে। জেনে নিন গাজর খাওয়ার পাঁচটি প্রধান কারণ-চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে: গাজরে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বকের বয়সের ছাপ কমায়, ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। হৃদযন্ত্রের জন্য ভাল: গাজর খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং হার্টের কার্যকারিতা উন্নত হয়। এতে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে: গাজরে থাকা ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে: গাজরে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

সুস্বাদু ও পুষ্টিকর কালো ভাপা পিঠা বানাবেন যেভাবে
প্রকৃতিতে শীত নেমে আসার সাথে সাথে ভোজনরসিকদের রসনা তৃপ্তিতে আবহমানকাল ধরেই এ দেশে রয়েছে পিঠা তৈরির চল। শহরের যান্ত্রিকতার পিঠা তৈরির সময় না পাওয়া গেলেও শীতে পিঠা তৈরির ধুম পড়ে প্রতিটি বাড়িতেই। তাই, শীত আসার এ সময় মেতে উঠতে পারেন পিঠা তৈরির উৎসবে। বাড়িতে করতে পারেন ভাপা পিঠা তৈরি। শীতের সকালে গরম গরম পিঠার স্বাদ উষ্ণতা ছড়াবে চারপাশে।যা যা লাগবে: বাড়িতে কালো ভাপা পিঠা তৈরির জন্য প্রয়োজন হবে কালো রঙের বিনি চালের গুঁড়া ২ কাপ, তরল দুধ পরিমাণমত, ভেঙে নেয়া খেজুরের গুড় ১ কাপ, নারকেল কোরানো বা ল্ম্বা করে কাটা ১ কাপ, লবণ স্বাদমত।যেভাবে বানাবেন: চালের গুঁড়ায় লবণ মিশিয়ে হালকা করে দুধ ছিটিয়ে ঝুরঝুরে করে মেখে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যেন দলা না বাঁধে। এবার চালনিতে চেলে নিন। অন্যদিকে, ভাপা পিঠা বানানোর হাঁড়িতে পানি দিন। হাঁড়ি না থাকলে যে কোন হাঁড়িতে মুখ ছিদ্র ঢাকনা বসিয়ে আটা দিয়ে আটকে দিন। যাতে বাষ্প বের হতে না পারে। এ পদ্ধতিও কঠিন মনে হলে হাঁড়ির ওপর স্টিলের ছাঁকনি দিয়ে ভাপা পিঠা বানিয়ে নিতে পারেন। চুলায় বসিয়ে পানি গরম করে নিন। পাতলা সুতির দুই টুকরা কাপড় ও ছোট দুটি বাটি নিন। এবার বাটিতে চালা চালের গুঁড়া দিয়ে মাঝখানে গর্ত করে গুড় ও নারকেল দিন। আবার চালের গুঁড়া দিয়ে ঢেকে দিন। এর ওপর এক টুকরা পাতলা সুতির কাপড় ভিজিয়ে পিঠার বাটি ঢেকে উল্টে মুখ ছিদ্র ঢাকনার ওপর পিঠা রেখে সাবধানে বাটি খুলে পিঠা ঢেকে দিন। সিদ্ধ হলে পিঠা উঠিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

শীতে রুক্ষ্ম ত্বকের যত্নে জেনে নিন পাঁচ টিপস
শীতের ছোঁয়ায় ত্বক হয়ে ওঠে আরও রুক্ষ্ম ও নির্জীব। আর রুক্ষ্ম ও নির্জীব ত্বকে দেখা দেয় নানা সমস্যা। বলিরেখা ও ডার্ক সার্কেলসহ নানা ত্বকের সমস্যা ঘিরে ধরে আপনাকে। তাই, শীতে রুক্ষ্ম ত্বকের যত্ন নিতে পাঁচ টিপস জেনে রাখুন। রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ত্বকের শুষ্কতা, রুক্ষ্মতা, নির্জীব বা মলিন ভাব ঘোচাতে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিতে হবে। আর এর জন্য ভরসা রাখতে পারেন ওলিভ ওয়েল, নারিকেল তেল, চালের গুড়া, লেবু, চিনি, গোলাপজল, মুলতানি মাটি বা চন্দনকে।’এ সাত উপাদান দিয়ে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিলেই ত্বকের রুক্ষতা ও নির্জীব ভাব দূর হয়ে দ্যুতি ছড়াবে উজ্জ্বলতা ও কোমলতা। তাই, আসুন জেনে নিই, ত্বকের যত্নে কিছু কার্যকরী নিয়ম-মুখের ত্বকের যত্নে নিয়মিত রাতে মুখ ভাল কোন ব্র্যান্ডের ফেসওয়াস দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর পরিষ্কার ত্বকে অলিভ অয়েল মালিশ করে ঘুমিয়ে পড়ুন।গোসলের পর ভেজা ত্বকে নারিকেল তেল পুরো ত্বকে মালিশ করুন। এতে তেল সহজে শুষে নিতে পারে ত্বক। সেই সঙ্গে তেল থেকে পাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও।ত্বকের মরা কোষ প্রাকৃতিকভাবে দূর করতে কাজ করতে পারে অলিভ অয়েল। তবে আরও ভাল কাজ করতে অলিভ অয়েলের সঙ্গে লেবু ও চিনি মিশিয়ে ত্বকে ঘষুন।চোখের নিচে কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল, বলি রেখা এমনকি রোদে পোড়া ভাব দূর করতেও কাজে লাগাতে পারেন অলিভ অয়েল। এর জন্য আঙুলের ডগায় অলিভ অয়েল নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে আলতোভাবে মালিশ করুন। ত্বকে গ্লো আনার পাশাপাশি যদি সতেজ ও সুন্দর ত্বক চান তবে মুলতানি মাটি বা চন্দনের সঙ্গে মিশিয়ে নিন গোলাপজল। এ ফেসপ্যাক রাতে ব্যবহার করুন।নিয়মিত এ পাঁচ যত্নে ত্বকে গ্লো আসার পাশাপাশি মিষ্টি একটা সুগন্ধে আপনার আশপাশ ভরে উঠবে। ত্বকও থাকবে সতেজ ও প্রাণবন্ত।

আজ সকলকে ‘ধন্যবাদ’ জানানোর দিন
আমাদের সাথে প্রতিদিন অনেক মানুষের সাক্ষাৎ হয়। তাদের ছোট ছোট সহযোগিতায় আমাদের জীবন সুন্দর হয়, সহজ হয়। কিন্তু, আমরা মুখ ফুটে তাদের কয়জনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি! কতজনকে বলি, ‘আপনাকে ধন্যবাদ।’ যারা ইচ্ছা থাকলেও প্রিয় মানুষকে, বন্ধুকে, মা-বাবাকে, আত্নীয়-স্বজনকে কিংবা অফিসের সহকর্মীকে ধন্যবাদ প্রকাশে ইতস্তত বোধ করেন, আজকের দিনটি তাদের জন্য হতে পারে ভাল সুযোগ। কারণ, আজ সকলকে ‘ধন্যবাদ’ জানানোর দিন। প্রতি বছর ১১ জানুয়ারি ‘আপনাকে ধন্যবাদ' বা ‘থ্যাঙ্ক ইউ ডে’ পালন করা হয়। যে ব্যক্তি সামান্য অবদানের মাধ্যমেও আপনার জীবনকে সুন্দর করে তুলেছে তাকে আজ মন খুলে জানিয়ে দিন ‘থ্যাঙ্ক ইউ’। দিবসটি প্রচলনের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া যায় শিকাগোর ইভেন্টোলজিস্ট আদ্রিয়েন সিউক্স কুপারস্মিথকে। তিনি একাই প্রায় দুই হাজার দিবস তৈরির পেছনে অবদান রেখেছেন। ১৯৯৪ সালে ‘থ্যাংক ইউ ডে’র আইডিয়া নিয়ে নিজের ব্লগে লেখেন তিনি। এখন আমেরিকাতে অনেকে জানুয়ারির ১১-১৮ অর্থাৎ পুরো সপ্তাহজুড়ে এই দিবসটি পালন করে থাকে। আসলে মানুষ ধন্যবাদ জানানোর সুযোগ যত বেশি পাওয়া যায় ততই তো মঙ্গল! কিন্তু, আফসোসের বিষয় হল- আমাদের বাংলাদেশিদের মধ্যে অন্যকে ধন্যবাদ জানানোর প্রবণতা একটু কম। আমরা অকারণেই পরিচিত-অপরিচিতদের বাক্যবাণে জর্জরিত করি। কিন্তু এক শব্দের ‘ধন্যবাদ’ বলতে অনেকেই দুই বার ভাবি! অথচ শব্দটি ছোট হলেও এর অবদান কিন্তু অসীম। এতে নিজের মধ্যে যেমন আত্মবিশ্বাস আসে, তেমনি ঐ পক্ষের মানুষটির সঙ্গেও সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়ে। আজ থেকেই ছোট এই অভ্যাসটির চর্চা শুরু করুন। মানুষ হিসেবে আপনার মূল্য কত বেড়ে যাবে কল্পনাও করতে পারবেন না!

ডালিমের জুস যেভাবে তৈরি করবেন
ডালিমের জুস বা শরবত আমাদের সবার কাছেই অতি প্রিয়। আমাদের শরীর ও মনকে শান্তি দেয়ার পাশাপাশি ডালিমের ভিটামিন সি,পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফাইবার শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধ করে, ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখে এবং হার্টের রোগের ঝুকি কমায়। এটি শিশুদের জন্যও খুব উপকারী। আসুন জেনে নেই সহজে ঝটপট ডালিমের জুস তৈরির রেসিপিটি। প্রয়োজনীয় উপকরণঃডালিম ৩টিচিনি ২ চামচঠান্ডা পানিবরফের টুকরা পরিমাণ মতো প্রস্তুত প্রণালী ডালিমের দানাগুলো ছাড়িয়ে নিন প্রথমে ডালিম ধুয়ে নিন। অতঃপর এর খোসা ছাড়িয়ে ভেতর থেকে দানা বা বীজগুলো বের করে নিন। সব উপকরণ মিশিয়ে নিন এবার ডালিমের দানা বা বীজগুলোর সাথে পরিমাণ মতো চিনি ও পানি মিশিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর গ্লাসে ব্লেন্ড করা জুসের সাথে ১/২ টুকরা বরফ মিশিয়ে ঝটপট পরিবেশন করুন মজাদার ডালিমের শরবত।

নারীরা তিন হরমোনজনিত সমস্যায় বেশি ভোগেন
বয়সভেদে নারীর বিভিন্ন হরমোনজনিত সমস্যা হতে দেখা যায়। যেমন শৈশব-কৈশোরে থাইরয়েড বা স্টেরয়েড বা গ্রোথ হরমোনের অসামঞ্জস্যের কারণে অনেকে খর্বকায় হয়, স্থূলকায় হয়ে পরে বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশে সমস্যা হয়। নারীদের হরমোনজনিত সমস্যাগুলো বেশ সাধারণ এবং এগুলো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। জেনে নিন তিনটি হরমোন সমস্যা সম্পর্কে; যা নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়- ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্যহীনতা: ইস্ট্রোজেন হরমোন নারীদের প্রজনন ও মাসিক চক্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত বা কম ইস্ট্রোজেন শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর তিনটি কারণও রয়েছে, মেনোপজ বা পেরিমেনোপজ। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল বা হরমোনাল চিকিৎসা। উপসর্গ হিসেবে আপনি দেখবেন, অনিয়মিত মাসিক, ত্বকের সমস্যা, যেমন ব্রণ। ওজন বৃদ্ধি বা শরীরের ফ্যাট জমে যাওয়া। মেজাজ পরিবর্তন যেমন ডিপ্রেশন বা অস্থিরতা।থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা: থাইরয়েড হরমোন শরীরের মেটাবলিজম ও শক্তি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হাইপোথাইরয়েডিজম (কম থাইরয়েড) বা হাইপারথাইরয়েডিজম (বেশি থাইরয়েড) নারীস্বাস্থ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এর কারণ হতে পারে অটোইমিউন রোগ (হাশিমোটো বা গ্রেভস ডিজিজ)। আয়োডিনের অভাব বা অতিরিক্ততা। পারিবারিক ইতিহাস। উপসর্গ হতে পারে ক্লান্তি বা দুর্বলতা, অনিয়মিত মাসিক চক্র, চুল পড়া বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, ওজন কমা বা বেড়ে যাওয়া।ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম একটি হরমোনজনিত সমস্যা যা ওভারিতে সিস্ট তৈরি করে এবং ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সাথে সম্পর্কিত। এর কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা। জেনেটিক ফ্যাক্টরও রয়েছে। উপসর্গ হতে পারে- অনিয়মিত বা বন্ধ মাসিক, অতিরিক্ত চুলপড়া বা ব্রণ। ওজন বৃদ্ধি, বিশেষত পেটের চারপাশে। বন্ধ্যাত্বও হতে পারে। প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা: সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের মাধ্যমে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা; নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো; চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনমত হরমোনাল থেরাপি বা ওষুধ গ্রহণ; মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান এবং রিল্যাক্সেশন পদ্ধতি অনুসরণ করা। যদি কোন নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

শীতে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চার টিপস
চুলের যত্ন নিতে গিয়ে অনেকেই বেশকিছু ভুল করেন। আর এ ভুলেই শীতে চুল পড়া সমস্যা বেড়ে যায় অন্য ঋতুর তুলনায় দ্বিগুণ। জানেন কি, প্রতিদিন চুলের কোন ভুল পরিচর্যার জন্য চুল ঝরে পড়াসহ নানা সমস্যা তৈরি হয়। আজকের আয়োজনে থাকছে চুলের সঙ্গে করা বেশকিছু মারাত্মক ভুল নিয়ে তথ্য, যেসব ভুলে চুলের স্বাস্থ্য নাজুক হয়ে পড়ে। এতেই বাড়তে শুরু করে চুল ঝরে পড়ার প্রবণতা।চুলের এসব সমস্য থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তার তাসনিম জারা দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ চারটি টিপস। আসুন, চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সেই গুরুত্বপূর্ণ চারটি টিপস জেনে নিই-পরিপাটি লুক আনতে চুল আঁচড়ানো ও বাঁধার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, রাবার ব্যান্ড দিয়ে কখনও চুল বাঁধবেন না। কারণ, রাবার ব্যান্ড দিয়ে চুল বাঁধলে চুল ভেঙে যায় ও চুলে জটের সৃষ্টি হয়। তাই, সব সময় চুল বাঁধুন কাপড় দিয়ে তৈরি এমন রাবার ব্যান্ড দিয়ে।খুব শক্ত করে চুল বাঁধলে চুলের গোড়া আলগা হওয়ার প্রবণতা শুরু হয়। এছাড়া, খুব টাইট করে চুল বাঁধলে চুলে যে স্থানে টান পড়ে, সেই হেয়ার লাইনে চুল পড়ে যায়। চিকিৎসা শাস্ত্রে একে বলে ট্রাকশান অ্যালোপেশিয়া। মনে রাখবেন, অনেক সময় টাইট করে চুল বাঁধা মাথা ব্যথার কারণও হয়ে দাঁড়ায়।শীতে অনেকেই দ্রুত গোসল সেরে নিতে এবং ঝামেলা এড়াতে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু, শ্যাম্পু করার পর কখনই কন্ডিশনার বাদ দেয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন ডাক্তার তাসনিম জারা। কারণ, শ্যাম্পু মাথা ও চুলের ধুলোবালি সরানোর পাশাপাশি মাথার ও চুলের জন্য দরকারি প্রাকৃতিক তেল সিবামও সরিয়ে ফেলে। তাই, এ সমস্যা সমাধানে কন্ডিশনার কাজ করে। চুলের মধ্যে ফ্রিকশান কমিয়ে চুলকে আরও মসৃণ ও ঝলমলে করে তোলে। তাই, শীতে একটু কষ্ট হলেও চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।শীতে গোসলের পর অনেকেই দ্রুত কম্বলমুড়ি দিয়ে আবার বিছানায় শুয়ে পড়েন। এমন কাজ কখনই করা যাবে না। কারণ, গোসলের পর চুল ভেজা থাকে। আর ভেজা চুল নিয়ে ঘুমালে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে। চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। অল্পতেই চুল পড়ে যায়। তাই, শরীরে কম্বল জড়িয়ে প্রথমে ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন। তারপর চুল শুকিয়ে গেলে চাইলে আপনি ঘুমাতে পারেন।শীতের সকালে তাই চুলের যত্নে এ চার টিপস মনে রাখুন ও নিয়মিত মেনে চলুন। তাহলে শীতেও চুল রুক্ষ্ম ও নির্জীব না হয়ে বরং থাকবে ঝলমলে ও প্রাণবন্ত।

পরীক্ষায় পাস নাম্বার ৩৩ হওয়ার কারণ কী?
যারা পড়াশোনার সাথে যুক্ত তারা জানেন পরীক্ষায় পাশ নম্বর হিসেবে ধরা হয় ৩৩ নম্বরকে। এ নম্বরের কম নম্বর পেলেই এফ গ্রেড বা ফেল বা অকৃতকার্য শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু জানেন কী কারা এই ৩৩ শতাংশ পাশ নম্বরের প্রবর্তক? কখনো কী মনে প্রশ্ন জেগেছে ‘৩৩’ সংখ্যাটি এত বিশেষ কেন? কিংবা পরীক্ষায় পাশ নম্বর কেন ৩৩? অথবা পাশ নম্বর ৩২, ৩৪, ৩৫ বা অন্য কোন সংখ্যা কেন হল না?১০০-কে ৩ ভাগ করলে ভাগফল ‘৩৩’-এর কাছাকাছি বলেই কি এই সংখ্যামান নাকি এর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোন ইতিহাস?বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই পাশ নম্বর ৪০ কিংবা তারও অনেক বেশি ধরা হয়। তবে, বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তানে এখনো পরীক্ষায় পাশ নম্বর হিসেবে ৩৩ ধরার নিয়ম চলছে। ইতিহাসে ফিরে তাকালে দেখা যায়, উপমহাদেশে পাশের নম্বর ৩৩ হয়েছে মূলত ব্রিটিশ উপনিবেশের উত্তরাধিকারে।১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে বিট্রিশরা উপমহাদেশের শাসনক্ষমতা দখল করার ১০০ বছর পর জনগণ স্বাধীনতা ফিরে পেতে প্রথম বারের মত সফল আন্দোলন করে ১৮৫৭ সালে, যা সিপাহী বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এরপর ১৮৫৮ সালে এই ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম বারের মত মেট্রিকুলেশন পরীক্ষা চালু হয়, যা আজও মেট্রিক পরীক্ষা নামে পরিচিত। সে সময় পরীক্ষার্থীদের পাশ নম্বর কত হবে, তা নির্ধারণ নিয়ে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় এবং ব্রিটেনে কনসালটেশনের জন্য চিঠি পাঠান।তখন ব্রিটেনে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের পাশের জন্য ৬৫ শতাংশ নম্বর পেতে হত। সে সময় ইংরেজ সমাজে ব্রিটিশ লর্ডদের ধারণা ছিল, ‘দ্যা পিপল অফ সাবকন্টিনেন্ট আর হাফ অ্যাজ ইনটেলেকচুয়াল অ্যান্ড ইফিশিয়েন্ট অ্যাজ কমপেয়ার্ড টু দ্যা বৃটিশ’ অর্থাৎ বুদ্ধি ও দক্ষতায় ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষকে ইংরেজদের তুলনায় অর্ধেক মনে করা হত।সে হিসেব অনুযায়ী, ৬৫’-এর অর্ধেক হিসেবে ৩২.৫ সংখ্যাকে পাশ নম্বর ধরা নির্ধারিত হয়ে গেল। পরে ১৮৬১ সালে গণনার সুবিধার্থে পাশ নম্বর ৩২.৫-কে একটি পূর্ণসংখ্যা ৩৩-এ রূপ দেয়া হয়। তারপর থেকে এই ১৬০ বছরে কেউই এই মানদণ্ড নিয়ে আপত্তি করেনি।বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে ৩৩ পাশ নম্বর হলেও ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হয় জাপান, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া ও আফগানিস্তানের ছাত্র-ছাত্রীদের। এছাড়া, ইরান, ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশে পাশ মার্ক ধরা হয় ৫০। বর্তমানে লিখিত পরীক্ষার বাইরে প্রেজেন্টেশন, ফিল্ডওয়ার্ক, অ্যাসাইনমেন্ট ও মৌখিক সাক্ষাৎকারের উপরেও পাশ-ফেল নির্ধারণ করা হয়।তবে, সব দেশের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বর্তমানে চীনের শিক্ষা ব্যবস্থা অন্য দেশের তুলনায় একটু ভিন্ন। এ দেশে পাশ করতে হলে সাধারণত শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। তবে কোন শিক্ষার্থী যদি পরীক্ষায় এত নম্বর না পায়, তবে সেসব শিক্ষার্থীর জন্য চীনের অর্ধেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মার্ক ব্যাংকের সাহায্য নিতে হয়।যদি কেউ পাশের চেয়ে কম নম্বর পায়, তবে সে শিক্ষার্থী সেখান থেকে নম্বর ধার নিতে পারেন। আর এ ধার পরিশোধ করার সুযোগ থাকে পরের পরীক্ষায়। পরবর্তী পরীক্ষায় সে শিক্ষার্থী যদি বেশি নম্বর পায়, তাহলে ধার দেয়া নম্বর কেটে রাখা হয়। আর এ মানদণ্ডেই একজন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়ে নতুন ক্লাশে ওঠার সুযোগ পান।

আজ বন্ধুকে কল করার দিন
মা, বাবা, ভাই, বোন, জীবনসঙ্গী, সন্তান- এ সম্পর্কের বাইরেও আমাদের জীবনে যার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি, তাকে আমরা বন্ধু বলি। মনের কথা প্রকাশের জন্য আমাদের সবচেয়ে বড় নির্ভরতার নাম বন্ধু। ভালো বা খারাপে, সুখে কিংবা দুঃখে, আনন্দে বা বিষণ্নতায় যার কথা সবার আগে মাথায় আসে, সে আমাদের বন্ধু। কিন্তু জীবন চলার পথে একসময় এই বন্ধুদের সঙ্গেই আমরা সংযোগ হারিয়ে ফেলি। স্কুল-কলেজে যাকে ছাড়া কোনোদিন ক্লাসে ঢোকেননি, সেই তার সঙ্গেই আজকাল দেখা করার আগে রাজ্যের ‘প্ল্যান’ করা লাগে! বন্ধুত্বের পুরনো সম্পর্ককে নতুন করে ঝালাই করে নিতেই হয়তো আজকের দিবসটির প্রচলন করা হয়েছে। কারণ আজ প্রিয় বন্ধুকে ফোন বা কল দেওয়ার দিন। জীবনে বন্ধুদের ভূমিকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, বন্ধুত্ব উদ্যাপন করাটাও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে বন্ধুর জীবনের যত আপডেটই পান, রিলস আর রিয়েকশান পাঠিয়ে যতই একটিভ থাকুন, বন্ধুর কণ্ঠ শোনার যে আবেদন সেটির সঙ্গে আসলে কিছুরই তুলনা হয় না! যোগাযোগ কমে যেতে পারে, তবে বন্ধুত্বে কখনও কোনো ‘ব্রেকআপ’ নেই। সংকোচ ঝেড়ে ফেলে তাই প্রিয় বন্ধুটিকে আজ ফোন দিয়ে ফেলুন আর উদযাপন করুন 'কল এ ফ্রেন্ড ডে'। তাছাড়া বন্ধুর কাছে আবার ইগো কিসের! আপনার কাজ অথবা আচরণের মাধ্যমে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তার জন্য বন্ধুর কাছে ক্ষমা চান। মন খুলে আড্ডায় মেতে উঠুন। ওপাশ থেকে বন্ধুর কথাও মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তাকে ধন্যবাদ জানান, বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। তথ্যসূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার

যাদের জন্য হাঁসের মাংস ক্ষতিকর
হাঁসের মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হলেও কিছু মানুষের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। এতে ফ্যাট ও ক্যালোরি তুলনামূলক বেশি থাকে, যা নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে সমস্যা তৈরি করতে পারে। জেনে নিন হাঁসের মাংস খেতে কারা সাবধানতা অবলম্বন করবেন-হার্টের সমস্যা থাকা ব্যক্তিরা: হাঁসের মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা রক্তে কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। এটি হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ডায়াবেটিক রোগী: হাঁসের মাংসের উচ্চ ফ্যাট উপাদান ইনসুলিনের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে। ডায়াবেটিস থাকলে এটি কম পরিমাণে খাওয়া উচিত। উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগী: হাঁসের চর্বি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে পারে, যা এথেরোসক্লেরোসিস বা ধমনির বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। লিভারের সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিরা: লিভারজনিত সমস্যা থাকলে ফ্যাট বেশি থাকায় হাঁসের মাংস খাওয়া এড়ানো ভাল, কারণ এটি লিভারের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ওজন কমানোর জন্য ডায়েটে থাকা ব্যক্তিরা: হাঁসের মাংস ক্যালোরি ও ফ্যাট সমৃদ্ধ। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা: অতিরিক্ত ফ্যাটি খাবার গ্যাস্ট্রিক বাড়াতে পারে। হাঁসের মাংস যদি সঠিকভাবে রান্না না করা হয়, তবে এটি হজমে সমস্যা করতে পারে। সতর্কতা:চর্বি অপসারণ করুন: হাঁসের মাংস রান্নার আগে অতিরিক্ত চর্বি ফেলে দিয়ে রান্না করলে এটি তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যকর হয়। সঠিক রান্নার পদ্ধতি অনুসরণ করুন: তেলে ভাজা বা গভীর ভাজা হাঁসের মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। গ্রিল, বেক বা সেদ্ধ করে খাওয়া ভাল। পরিমিত মাত্রায় খান: সপ্তাহে এক বার বা নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে এটি ক্ষতির কারণ হবে না। যদি কোন ক্রনিক অসুখ থাকে, তবে হাঁসের মাংস খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আজ বিছানা না গোছানোর দিন!
বছরের সবচেয়ে ছোট দিন আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর)। এই দিনটিতে ‘বিছানা না গোছানো দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। ছোট দিন হওয়ায় একটু পরেই তো ফের বিছানা মেলতে হবে। তাই, ভাঁজ করে কী হবে? মূলত বিছানা গোছানোর কোন রকম আগ্রহ তাদের মধ্যে কাজ করে না, কারণ রাতে তো ফের এখানেই ঘুমাতে হবে। এ জন্য সারা দিন কাজের পর বাড়ি ফিরে সকালের বিছানাতেই ঘুমাতে হয় তাদের। শীতকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানো গোছানো অলসতার একটি কাজ। এই কাজটি নিয়মিত করে না- এমন লোকের সংখ্যা বহু। কারণ, সেই তো আবার রাতেই মেলতে হবে বিছানা। বিশেষ করে টিনেজারদের এই বিছানা গোছানো নিয়ে প্রতিদিন সকালে রাগারাগি হয়ে যায় বাসার সবার সঙ্গে। এ জন্য তাদের অনেক কথা শুনতে হয়। এরপরও শুধু অলসতার কারণে বিছানা গোছান না তারা। আর ঠিক এই কথাটাই যুক্তরাষ্ট্রের টিনেজার শ্যানন বারবা ভেবেছিল ২০১৪ সালে। আর তারপর থেকেই বছরের সবচেয়ে ছোট দিন ২১ ডিসেম্বরকে বিছানা না গোছানো দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পিটিশন দায়ের করে সে। পিটিশনে শ্যানন লেখেন, ‘মাঝেমধ্যে আমার বিছানা গোছাতে সত্যিই ক্লান্ত লাগে। এমন একটা দিন যদি আমাদের দেশে থাকত, যেদিন কাউকে নিজের বিছানা গোছানো নিয়ে ভাবত হতো না, তাহলে কিন্তু বেশ হত। আপনারা এ নিয়ে একটি বিল পাস করলে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ থাকব।’ আর অনেক মানুষের মনের কথার সঙ্গে মিলে যাওয়ায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই দিবসের ধারণাটি। সূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার

জেনে নিন বিয়ের আগে কেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন
নানা দেশে বিয়ের আগেই পাত্রপাত্রীরা জেনে নেন, তার হবু জীবন সঙ্গী কোন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত কি না। আমাদের দেশের মানুষ এ ব্যাপারে খুব একটা সচেতন না হলেও ইদানীং তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। জেনে নিই বিয়ের আগে কেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার- বংশগত রোগ নির্ণয়: কিছু রোগ যেমন থ্যালাসেমিয়া, সিকেল সেল অ্যানিমিয়া, বা অন্য কোন জেনেটিক সমস্যা উত্তরাধিকার সূত্রে সন্তানের মধ্যে আসতে পারে। তাই, এগুলো নির্ণয় করা জরুরি। সংক্রামক রোগের ঝুঁকি: এইচআইভি/এইডস, হেপাটাইটিস বি এবং সি, সিফিলিসের মত সংক্রামক রোগ পরীক্ষা করলে সঙ্গী বা ভবিষ্যৎ সন্তানের ওপর ঝুঁকি কমানো যায়। প্রজনন ক্ষমতার মূল্যায়ন: বিয়ের আগে উভয়ের প্রজনন ক্ষমতা পরীক্ষা করে নিলে ভবিষ্যতে সন্তান ধারণে কোন সমস্যা থাকলে তা আগে থেকেই জানা যায় এবং চিকিৎসা শুরু করা যায়। রক্তের গ্রুপ সামঞ্জস্যতা: রক্তের গ্রুপ ও আরএইচ ফ্যাক্টর যাচাই করলে গর্ভাবস্থায় সম্ভাব্য জটিলতা এড়ানো যায়।মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়ন: মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকাও একটি সুস্থ সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটির মত সমস্যাগুলি আগে থেকেই চিহ্নিত করা গেলে সম্পর্ক ভালভাবে পরিচালনা করা সহজ হয়।

শীত তাড়াতে ঘর সাজানোর পাঁচ কৌশল
শীতকালে ঘরকে গরম ও আরামদায়ক রাখতে সঠিক উপায়ে সাজানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। শীত তাড়াতে ও ঘরকে আরামদায়ক করার জন্য পাঁচটি কার্যকর কৌশল অনুসরণ করা যেতে পারে। গরম কাপড় বা ফ্যাব্রিকস ব্যবহার করুন: ঘরে ভারী ও গরম কাপড়ের পর্দা বা ব্ল্যাংকেট যোগ করুন। যেমন- মখমল, ফ্ল্যানেল বা উল দিয়ে তৈরি পর্দা ব্যবহার করুন। সোফা ও চেয়ারের জন্য উষ্ণ কুশন বা কাভার ব্যবহার করুন। বিছানায় হেভি কমফোর্টার বা ডুভেট রাখুন। কার্পেট: ফ্লোর ঠান্ডা হয়ে গেলে ঘরে শীত বেশি লাগে। তাই, উলের বা ফোমের মোটা কার্পেট ব্যবহার করুন। রঙিন ও টেক্সচারযুক্ত কার্পেট ঘরের উষ্ণতা ও সৌন্দর্য বাড়ায়। উজ্জ্বল রঙের ডেকর: শীতের সময় উজ্জ্বল রঙের সামগ্রী ঘরে একটা উষ্ণ ভাব এনে দেয়। যেমন- হলুদ, কমলা বা লাল রঙের কুশন, কাভার বা পর্দা। দেয়ালে উজ্জ্বল রঙের আর্টওয়ার্ক বা পোস্টারও ব্যবহার করা যেতে পারে। আলো ও উষ্ণতার সঠিক ব্যবস্থা: ঘরের উষ্ণতা ধরে রাখতে জানালা-দরজার চারপাশে রাবার সিল লাগান। গরম বাতি বা হলুদ আলো ব্যবহার করুন। মোমবাতি বা ডেকোরেটিভ ফায়ারপ্লেসের ব্যবস্থা করুন। উদ্ভিদ ও প্রাকৃতিক উপাদান: শীতকালে ঘরে কিছু গাছ বা সবুজ উদ্ভিদ রাখলে একটি আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি হয়। যেমন- ঘরের কোণে ইনডোর প্ল্যান্ট রাখা যেতে পারে। বাঁশ, কাঠ বা কৃত্রিম ফারের তৈরি আসবাবপত্র ব্যবহার করুন।এই কৌশলগুলো ব্যবহার করে শীতের সময় ঘরকে গরম, আরামদায়ক ও দৃষ্টিনন্দন করে তোলা যায়।

শীতে ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে যা করবেন
ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সেবাম নামের এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসৃত হয়। এই গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হয় এবং তা জমে ফুলে ওঠে, যা ব্রণ নামে পরিচিত। প্রায়ই ব্রণের চারপাশে প্রদাহ হয় ও লাল হয়ে যায়। জীবাণুর সংক্রমণ হলে এতে পুঁজ হয়। সংক্রমণ সেরে গেলেও মুখে দাগ থেকে যেতে পারে। ব্রণ একটি সাধারণ কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদি ত্বকের রোগ। বয়স, লিঙ্গ, আবহাওয়া, খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন কারণে ব্রণ হয়। ত্বকের খুব সাধারণ এই সমস্যা দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে। ফলে, ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। ব্রণ নিয়ে চিন্তিত? শীত হোক কিংবা গরম, কোন ঋতুতেই পিছু ছাড়ছে না এই সমস্যা। তাহলে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন? দৈনন্দিন কিছু নিয়ম মেনে চললে ব্রণের সমস্যা থেকে পেতে পারেন। তা হল- ত্বক পরিষ্কার রাখুন: মুখে ব্রণ থাকলে ত্বক দিনে অন্তত দুই বার পরিষ্কার করতে হবে। এতে ছিদ্রগুলো ভালভাবে পরিষ্কার হয়। মুখ থেকে অতিরিক্ত সিবাম ও ধুলা-ময়লা দূর হয়। এ জন্য, মৃদু ও প্রাকৃতিক উপাদানসহ একটি মাইল্ড ক্লিনজিং লোশন বেছে নিন। সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন: ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য সঠিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। তৈলাক্ত ব্রণ প্রবণ ত্বকের ব্যক্তিদের লাইটওয়েট ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। এতে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন হয় না। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজারগুলো আপনার ত্বককে আঠালো বা চটচটে না করেই হাইড্রেটেড রাখতে পারে। সানস্ক্রিন ব্যবহার: একটি ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ত্বককে সূর্য ও দূষণের হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু, যাদের ত্বকে খুব ব্রণ হয় তারা ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন বা জেলভিত্তিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। জেলভিত্তিক সানস্ক্রিন খুবই লাইটওয়েট হয়, যা আপনি আপনার মেকআপের ভিত্তি হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। হাতের নখ ছোট রাখুন: ব্রণের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই হাতের নখ ছোট রাখুন। কেননা হাতের নখের সংস্পর্শে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই, হাতের নখ সব সময় ছোট রাখুন। মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার রাখা: মেকআপ ব্রাশ, মেকআপ স্পঞ্জ অপরিষ্কার থাকলে এবং বহু দিন ধরে সেগুলো ব্যবহার করলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা আরও বেশি থাকে। তাই, নোংরা ব্রাশ, স্পঞ্জ ভাল করে পরিষ্কার করে রাখুন। না হয় ময়লা ব্রাশ, স্পঞ্জে থাকা ব্যাকটেরিয়া আপনার ত্বকে আরও বেশি ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে। মেকআপ তুলে ঘুমান: ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেকআপ অপসারণ ও ত্বক পরিষ্কার করুন। রাতে মেকআপ করে রাখলে ত্বকের ছিদ্রগুলো আটকে যেতে পারে ও ব্রণ-পিম্পল হতে পারে। রাতে মেকআপ অপসারণ বা মুখ পরিষ্কার করা কেবল ব্রণের হাত থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে না, পাশাপাশি আপনার ত্বককে সুস্থ, পরিপুষ্ট ও সতেজ রাখে।

যেসব কারণে শীতকালে অগ্নিকাণ্ড বেশি
শীতকালে অগ্নিকাণ্ড বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ কাজ করে। ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য মানুষ যে ধরনের গরম করার পদ্ধতি বা যন্ত্র ব্যবহার করে, তার সঙ্গে অসতর্কতা বা অবহেলা মিলিত হলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বেড়ে যায়। জেনে নিন শীতকালে অগ্নিকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার কারণগুলো- গরম করার যন্ত্রপাতি ব্যবহারে অসতর্কতা: শীতে ঘর গরম রাখতে হিটার, কাঠ বা কয়লার চুলা, কেরোসিন বাতি ইত্যাদি বেশি ব্যবহার করা হয়। এগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা না করলে আগুন ধরে যেতে পারে। ইলেকট্রিক হিটারের ওভারলোড বা ভুল ব্যবহার আগুনের কারণ হতে পারে। গ্যাস বা কাঠের চুলার ব্যবহার বৃদ্ধি: শীতে রান্নার সময় গ্যাস চুলা বা কাঠের চুলার ব্যবহার বাড়ে। অসাবধানতাবশত আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে, বিশেষ করে যদি কাছাকাছি দাহ্য বস্তু থাকে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের অতিরিক্ত চাপ: শীতে একসঙ্গে বহু বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম যেমন- হিটার, ওয়াটার হিটার ব্যবহারের কারণে বৈদ্যুতিক তারের উপর চাপ বেড়ে যায়, যা শর্ট সার্কিটের কারণ হতে পারে। শুষ্ক আবহাওয়া: শীতে আবহাওয়া সাধারণত শুষ্ক থাকে। ফলে, আগুন সহজেই ছড়িয়ে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। দাহ্য পদার্থের মজুত: শীতে কাঠ, কেরোসিন এবং অন্যান্য দাহ্য পদার্থ বেশি মজুত রাখা হয়, যা আগুন লাগার ঝুঁকি বাড়ায়। বহু সময় এসব পদার্থ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয় না। অলংকার বা পোশাক থেকে আগুন লাগা: শীতে ভারী ও লম্বা কাপড় (যেমন শাল, চাদর) ব্যবহৃত হয়, যা সহজেই চুলা বা হিটারের আগুনে স্পর্শ করে দাহ্য হতে পারে। ধূমপানজনিত অসতর্কতা: শীতে অনেকেই ঘরের ভেতরে ধূমপান করে, যা থেকে অজান্তে আগুন লেগে যেতে পারে। উৎসব ও আলোকসজ্জা: শীতকালীন উৎসবের যেমন: বড়দিন, পহেলা ফাল্গুন সময় মোমবাতি, ফানুস বা আতশবাজি ব্যবহারে অসতর্কতা থাকলে অগ্নিকাণ্ড হতে পারে।প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সঠিকভাবে ব্যবহার করুন ও নিয়মিত পরীক্ষা করুন; দাহ্য পদার্থ সুরক্ষিত জায়গায় সংরক্ষণ করুন; হিটার ও চুলার কাছাকাছি দাহ্য বস্তু রাখবেন না; ধূমপান বা খোলা আগুন ব্যবহারে সতর্ক থাকুন; অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যেমন- ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশার) ঘরে রাখুন ও প্রয়োজনে ব্যবহার করতে শিখুন। সতর্কতা অবলম্বন করলে শীতকালীন অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

রাতে ভাল ঘুমের জন্য খেতে পারে যেসব খাদ্য
খাবার ও ঘুম একটির সাথে অন্যটি সম্পর্কযুক্ত। আবার দেহকে সুস্থ রাখতেও কাজ করে খাদ্য ও ঘুম। তাই, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘রাতে ভাল ঘুমের জন্য নিয়মিত ডায়েট লিস্টে নির্দিষ্ট কিছু খাদ্য রাখা জরুরি।’ সূত্র হেলথলাইন। নানা গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু খাবার রয়েছে; যা খেলে আপনার রাতের ঘুম ভালে হবে। শরীরে মেলাটোনিন ও কর্টিসল হরমোন নিঃসরণ হয়। ফলে রাতে ভাল ঘুম হয়। তাই, চলুন জেনে নিই, কোন খাবার খেলে রাতে ভাল ঘুম হয়:গরম দুধ: রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন। এটি রাতে ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে। এছাড়া, দুধে বিদ্যমান অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান ভাল ঘুমের জন্য সহায়ক।ডিম: ডিমে আছে ভিটামিন ডি। মস্তিষ্কে যে অংশের নিউরন ঘুমাতে সাহায্য করে, ডিমের ভিটামিন ডি সেখানে কাজ করে। ভিটামিন ডির ঘাটতি থাকলে সহজে ঘুম আসে না।মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুকে বলা হয় ‘ঘুমের মাসি’। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম ঘুমাতে সাহায্য করে।কাঠবাদাম: কাঠবাদাম মেলাটোনিনের উৎস। ঘুমের হরমোন মেলাটোনিন, যা আমাদের দেহঘড়িকে নিয়ন্ত্রণ করে। কাঠবাদামে আরও আছে ম্যাগনেসিয়াম, যা ভাল ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়। তাই, ভাল ঘুমের জন্য রাতে একমুঠো কাঠবাদাম খেতে পারেন।কলা: কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম এমন একটি উপাদান, যা পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে ঘুম ভাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।মধু: মধু সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরি করে। নিয়মিত মধু খেলে ভাল ঘুম হয়।সাদা ভাত: ভাত বলতে আমরা সাধারণভাবে সাদা ভাতকে বুঝি, যা আমাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় হুট করে। এর কারণে ঘুম ভাল হয়।তেলযুক্ত মাছ: তেলযুক্ত মাছে থাকে ভিটামিন ডি এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। ঘুমের আবেশ আনতে কাজে আসে এ দুইটি উপাদান। ভাল ঘুমের জন্য রাতে তেলযুক্ত মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।তবে, মনে রাখবেন, নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। মানসিক অবসাদও দূর করে। রাতে ভাল ঘুম গভীর হতেও কাজ করে। তাই, ডায়েট লিস্টে উল্লিখিত খাবারগুলো রাখার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

শীতের সকালে নয় পুষ্টিকর নাশতা
শীতের সকালের নাশতায় এমন খাদ্য বেছে নেয়া ভাল, যা গরম, পুষ্টিকর ও এনার্জি দেয়। জেনে নিন হিমদিনের জন্য সহজ ও মজাদার নাশতায় কী কী পদ থাকতে পারে। খিচুড়ি ও ডিম ভাজি: গরম খিচুড়ি শীতের সকালে দারুণ আরামদায়ক। সাথে এক বা দুইটি ভাজা ডিম খেলে পুষ্টি আরও বাড়বে। সবজি বা মুরগির স্যুপ: হালকা গরম স্যুপ শীতের সকালে দেহ গরম রাখতে সাহায্য করে। স্যুপে নানা রকমের শাকসবজি বা চিকেন যোগ করতে পারেন। পরোটা ও সবজি কারি: ঘরে বানানো পরোটা ও সবজি বা ডাল দিয়ে কারি মজাদার ও পুষ্টিকর হয়। দুধ-চিড়া ও মধু: চিড়ার সঙ্গে গরম দুধ ও মধু মিশিয়ে নাশতা হিসেবে খেতে পারেন। এটি হালকা, পুষ্টিকর ও খুব দ্রুত তৈরি করা যায়। ওটস পোরিজ: ওটস দুধে রান্না করে তার সঙ্গে মধু, বাদাম ও ফল যোগ করুন। এটি স্বাস্থ্যকর ও সহজ নাশতা। পায়েস বা সেমাই: গরম দুধ দিয়ে রান্না করা পায়েস বা সেমাই শীতের সকালে ভাল লাগে। ডিমের ঝুরি ও টোস্ট: ভাজা ডিমের ঝুরি বা ওমলেটের সঙ্গে গরম টোস্ট ব্রেড খেতে পারেন। সঙ্গে এক কাপ চা বা কফি হলে মজাই আলাদা। মিষ্টি আলু বা ভাপা পিঠা: শীতের ঐতিহ্যবাহী ভাপা পিঠা বা মিষ্টি আলু নাশতায় রাখলে মজার সঙ্গে পুষ্টিও মেলে। ফলের সালাদ ও বাদাম: যদি হালকা কিছু চান, তবে ফলের সালাদে কিছু বাদাম বা দই যোগ করুন। এটি স্বাস্থ্যকর ও এনার্জি-ফিলড।আপনার পছন্দ অনুযায়ী এগুলোর যে কোন একটি বেছে নিন, আর দিন শুরু করুন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর নাশতার মাধ্যমে।

জেনে নিন ব্রোকলি খাওয়ার উপকারিতা
ব্রোকলি খাওয়ার অশেষ উপকারিতা। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি, যা দেহের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ও সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ ব্রোকলি বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে শরীর সুরক্ষিত রাখতে পারে। এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। তাই, ত্বকের অ্যালার্জি সংক্রান্ত নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্রোকলি দারুণ কার্যকর। ব্রোকলিতে রয়েছে ভিটামিন সি, কে, এ, বি৬, ফলেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার। এছাড়াও, এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও সালফারযুক্ত যৌগ রয়েছে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। জেনে নিন ব্রোকলি খাওয়ার উপকারিতা: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ব্রোকলিতে ভিটামিন সি এবং বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে ও সাধারণ ঠান্ডা-কাশি থেকে রক্ষা করে।ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক: এতে রয়েছে সালফোরাফেন নামক উপাদান, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষত স্তন, প্রোস্টেট ও কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে: ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন কে রয়েছে, যা হাড়ের শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে ও অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ব্রোকলিতে পটাসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা ভাল রাখে। ডিটক্সিফিকেশন: ব্রোকলিতে সালফার ও গ্লুকোফানিন থাকে, যা লিভার পরিষ্কার করে ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।হজমে সহায়ক: ফাইবারের উচ্চ পরিমাণ থাকার কারণে ব্রোকলি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।চোখের জন্য উপকারী: এতে ভিটামিন এ এবং লুটেইন থাকে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ও চোখের অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধ করে।ওজন নিয়ন্ত্রণ: ব্রোকলিতে ক্যালোরি কম কিন্তু ফাইবার বেশি, যা দীর্ঘ সময় ক্ষুধা দূর রাখতে সাহায্য করে ও ওজন কমাতে সহায়ক।ত্বক ও চুলের জন্য ভাল: এতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: ব্রোকলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়। কীভাবে ব্রোকলি খাবেন: ব্রোকলি সালাদ, স্যুপ, ভেজিটেবল স্টার-ফ্রাই কিংবা হালকা ভাপে রান্না করে খাওয়া সবচেয়ে ভাল। খুব বেশি সেদ্ধ বা ভাজা না করা ভাল। কারণ এতে পুষ্টিগুণ কিছুটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।পরামর্শ: নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ব্রোকলি রাখলে দেহ আরো শক্তিশালী ও সুস্থ থাকবে। তবে, অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ও কাঁচা অবস্থায় ভালভাবে ধুয়ে নিন।

শীতে পাঁচ উপকরণ মেশানো চায়ে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
কমছে তাপামাত্রা, বাড়ছে শীত। এ সময়ে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণেই সর্দি-গলাব্যথা খুব সহজেই ধরে যাচ্ছে। সেই সাথে নাক দিয়ে পানি পড়া, জ্বর, শরীর, হাত-পায়ে ব্যথা- এসব তো আছেই। তাই, দেহ সুস্থ রাখতে শুধু ওষুধ খেলেই হবে না, দেহে নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে রাখতে হবে। তাই, প্রতিদিন কিছু উপাদান মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর চা বানিয়ে খেতে পারেন, যা স্বাভাবিকভাবেই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। পাঁচটি উপকরণ মিশিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। আদার রস: আদা দিয়ে লিকার চা খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। আদাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে; যা দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি তো বাড়াবেই, পাশাপাশি বাতের ব্যথা, পেশিতে টান ধরার সমস্যা, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথার কষ্টও কমাবে। আদা দিয়ে চা খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও কমবে। দারচিনি: চায়ে এক চিমটে দারচিনি মিশিয়ে দিলে স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনই দেহেও বিভিন্ন উপকার হয়। দারচিনিতে রয়েছে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন কে। এই দুই ভিটামিন যে কোন রকম সংক্রামক রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারে। পাশাপাশি, দারচিনি মেশানো চা খেলে মেদও কমে। হজমশক্তি বাড়ে। তেজপাতা: তেজপাতায় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি বহু অসুখবিসুখ সারাতে পারে। হৃদ্যন্ত্রকে শক্তিশালী করতে তেজপাতা বেশ কার্যকর। এছাড়াও, কোলেস্টেরলে মাত্রা কমিয়ে হৃদ্রোগ ঝুঁকি কমাতেও তেজপাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতেও তেজপাতা কার্যকরী। লবঙ্গ: লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পেটের গোলমাল ঠেকাতে লবঙ্গ খুবই উপকারী। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য লবঙ্গ উপকারী। গবেষণা জানাচ্ছে, লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই কমে। পাশাপাশি, সর্দি-কাশি সারাতেও লবঙ্গের ভূমিকা রয়েছে। এক কাপ গরম জলে ৪-৫ টি লবঙ্গ দিয়ে কিছু ক্ষণ ঢেকে রেখে দিন। একটু ঠান্ডা হলে খেয়ে নিন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন খেতে পারেন লবঙ্গ চা। তুলসী: এক বাটি পানিতে এক মুঠো তুলসী পাতা ফুটতে দিন। টগবগ করে ফুটলে আঁচ কমিয়ে দশ মিনিট ফোটান। এরপর এতে মেশান এক চামচ মধু আর দুই চামচ লেবুর রস। তুলসির চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে প্রদাহের প্রবণতা কমবে, জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ কমবে। তবে, ডায়াবিটিসের ওষুধ খেলে বা ইনসুলিন নিলে তুলসী চা খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।