
প্রাকৃতিক উপায়ে যেভাবে বাড়াবেন আয়রন ও হিমোগ্লোবিন
আমাদের দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি আয়রন। এটি হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে কাজ করে, যা প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে। আয়রনের অভাবে ক্লান্তি, দুর্বলতা ও এমনকি রক্তস্বল্পতা হতে পারে। তবে, এই সমস্যাটি মোকাবিলা করার জন্য সব সময় সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন হয় না। বেশ কিছু সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ প্রাকৃতিক পানীয় এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। ক্যালফোর্নিয়া সান ফ্রান্সিসকো বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সাধারণত পুরুষদের জন্য ১৩.৮-১৭.২ জি/ডিএল (১৩৮-১৭২ জি/এল) এবং নারীদের জন্য ১২.১-১৫.১ জি/ডিএলের (১২১-১৫১ জি/এল) মধ্যে থাকে। এই মানগুলো পৃথক কারণের উপর ভিত্তি করে সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। এবার তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রাকৃতিকভাবে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে কী পান করবেন- বিটরুট ও গাজরের রস: বিটরুট ও গাজরের রস আয়রনে সমৃদ্ধ। বিট এর আয়রন সামগ্রীর জন্য পরিচিত। অন্য দিকে, গাজর ভিটামিন এ সমৃদ্ধ, যা আয়রন শোষণ বাড়ায়। এগুলো শুধু হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করে না, সেইসাথে রক্তকে ডিটক্সিফাই করে। পানীয়টিতে এক চামচ লেবুর রস যোগ করুন - এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা আয়রন শোষণে সহায়তা করবে। সবুজ এই স্মুদি ডায়েটে আয়রন যোগ করার একটি দুর্দান্ত উপায়। পালং শাকে প্রচুর নন-হিম আয়রন থাকে, যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে পারে। আয়রন শোষণ বাড়ানোর জন্য, কমলা বা আনারসের মত ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফলের সঙ্গে সবুজ শাক মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। ক্রিমি টেক্সচার ও অতিরিক্ত পুষ্টির জন্য কিছু বাদাম যোগ করুন। ডালিমের রস: ডালিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাজা ডালিমের রস পান করলে তা রক্ত সঞ্চালন ও হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এর মিষ্টতা সব বয়সের মানুষের জন্য একটি দুর্দান্ত পানীয় হতে পারে। এর প্রভাব বাড়ানোর জন্য এক মুঠো খেজুর বা কিশমিশের সাথে মিশ্রিত করুন, উভয়ই আয়রনে শক্তিশালী। কুমড়া বীজ স্মুদি: কুমড়ার বীজে প্রচুর আয়রন ও জিঙ্ক রয়েছে, উভয়ই শক্তি বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ। ভিজিয়ে রাখা কুমড়ার বীজ, কলা, দই ও মধু ব্লেন্ড করে ক্রিমি, আয়রন সমৃদ্ধ স্মুদি তৈরি করুন। এই পানীয় শুধু পুষ্টিকর নয়, এটি শরীরকে সতেজ করার জন্য একটি চমৎকার পোস্ট-ওয়ার্কআউট স্ন্যাকও।

কয়েকটা ব্যাপারে নজর রাখলেই বুঝতে পারবেন প্রেমিকা মিথ্যা বলছে
সম্পর্কে স্বচ্ছতা থাকা অত্যাবশ্যক। বিশ্বাস না থাকলে কোন সম্পর্ক টিকে না। তবে, বহু সময় দেখা যায়, দুইজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় মিথ্যা কথা বলা কেন্দ্র করে। আবার বহু সময় সরলতার সুযোগ নিয়ে এক পক্ষ ক্রমাগত মিথ্যা বলে; যা এক পর্যায় সামনে এসে সম্পর্ক শেষ করে দেয়। আপনার সঙ্গী যদি বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা কথা বলেন, তাহলে সাবধান হোন। কিছু ব্যাপারের দিকে নজর দিলেই স্পষ্টভাবে বুঝবেন, প্রেমিকা আপনার সাথে মিথ্যা বলছেন। কিছু কৌশল থেকে বুঝবেন প্রেমিকা মিথ্যা বলছেন নাকি সত্যি। চোখ নামিয়ে কথা বলা: সাধারণত মিথ্যে কথা বলার সময় আমাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব হয়। তাই, সেই সময়টায় চোখে চোখ রাখা যায় না। আর এটা হল মিথ্যার প্রথম লক্ষণ। তাই, এ বার থেকে কথা বলার সময় প্রেমিকার চোখে চোখ রাখুন। কথা বলার সময় তিনি যদি চোখ নীচু করে নেন, তাহলে বুঝবেন ডালের মধ্যে সত্যিই কিছু কালো রয়েছে। তখন তাকে এ ব্যাপারটা নিয়ে অন্য কোন প্রশ্ন করুন। তাহলেই দেখবেন পরিস্থিতি আপনার নিয়ন্ত্রণে। কোন বিষয় লুকানো: সঙ্গী যদি আপনার কাছ থেকে বহু বিষয় আড়াল করে, তবে সেতা সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। এটি এক ধরনের সূক্ষ্ম প্রতারণা। এতে করে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আপনি যাকে ভালবাসেন আর তার অপছন্দের কাজ করেন সেটা কি আপনার উচিত হবে। এতে অন্যজন আঘাত পান। যা কথা বলার, ম্যাসেজ করার ভালবাসার মানুষটির সামনেই করুন। গলার স্বর পরিবর্তন: অনেকের মিথ্যে বলার সময় গলার স্বর বদলে যায়। অর্থাৎ, তারা তখন স্বাভাবিক স্বরে কথা বলতে পারেন না। আর এটাই হলো মিথ্যা চেনার অপর একটি সহজ উপায়। তাই, স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে বলতে প্রেমিকা যদি গলার স্বর বদলে ফেলেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে সাবধান হতে হবে। তখন এক বার তার কথাটা ভাল করে বোঝার চেষ্টা করুন। কম কথা বলা: মিথ্যা কথা খুব বেশি বলা যায় না। কারণ, মিথ্যা বলতে গেলে বিভিন্ন বিষয় আড়াল করতে হয় যেটার কারণেই এক নাগাড়ে কোন বিষয় বলা যায় না। তাই, হ্যাঁ বা না বলেই কথা শেষ করতে চান মিথ্যাবাদী। তাই, এরপর থেকে কোন কঠিন প্রশ্ন করার পর প্রেমিকা যদি বিস্তারিত না বলেন, ছোট ছোট উত্তর দেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে সাবধান হতে হবে। অজুহাত: পূর্ব থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছেন। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে এসে আপনাকে জানানো হল সে আপনার সাথে অংশ নিতে পারবে না। বিভিন্ন অজুহাত দেখাতে থাকেন। কখনো কখনো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজও দেখান। একটা সময় জানতে পারলেন ওই সময়টায় তার কোন কাজই ছিল না। এমনটা দেখলে তার সঙ্গ এড়িয়ে চলুন। তবে, মনে রাখতে হবে উপরের বিষয়গুলো মিলে গেলেই যে কেউ মিথ্যা বলছে, সেটা কিন্তু পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। যদি মনে হয় আপনার প্রেমিকা মিথ্যা বলছেন, তাহলে তার সাথে সরাসরি কথা বলুন। তার মিথ্যা বলার কারণ কী জানতে চান। না জেনে পূর্ব থেকেই আপনার ধারণা সঠিক এমন ভাববেন না।

বহু দিনের সংসার ভাঙার প্রধান পাঁচ কারণ
সম্পর্ক একটি জঠিল বিষয়। এটাকে ঠিকিয়ে রাখা অনেক কঠিন। বহু দিনের সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণগুলো সাধারণত সম্পর্কের মধ্যে জমে থাকা সমস্যা, অবহেলা বা পরিবেশগত প্রভাবের কারণে ঘটে। কোন সংসার এক দিনে ভাঙে না। মানসিক সংকট চরম পর্যায় গেলে, দুইজন আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। জেনে নিন বহু দিনের সংসার ভাঙার প্রধান পাঁচ কারণ- যোগাযোগের অভাব: সঠিকভাবে একে অপরের কথা শোনা ও বোঝার অভাবে সম্পর্ক দুর্বল হতে পারে। মানসিক চাপ, অপরাধবোধ বা ক্ষোভ জমে থাকার কারণে বহু সময় দাম্পত্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। বিশ্বাসের অভাব বা বিশ্বাসঘাতকতা: বিশ্বাস ভেঙে গেলে সম্পর্কের ভিত্তি দুর্বল হয়ে যায়। এটি হতে পারে প্রতারণা, আর্থিক অসততা বা কথার খেলাপের কারণে। দীর্ঘ মেয়াদে এটি সম্পর্ক নষ্ট করে। পারস্পরিক শ্রদ্ধার অভাব: দাম্পত্য জীবনে একে অপরকে সম্মান করা জরুরি। অপমান, তুচ্ছতাচ্ছিল্য বা মতামতকে অবজ্ঞা করার ফলে সম্পর্ক বিষিয়ে উঠতে পারে। আর্থিক সমস্যা: অর্থের অভাব বা বাজেট নিয়ে মতানৈক্য বহু ক্ষেত্রে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার প্রধান কারণ। একে অপরের আর্থিক লক্ষ্য বা চাহিদা না বুঝতে পারলে সম্পর্ক চাপে পড়ে। মানসিক ও শারীরিক দূরত্ব: দীর্ঘ মেয়াদে একে অপরের প্রতি আগ্রহ বা ভালবাসার ঘাটতি হলে মানসিক ও শারীরিক দূরত্ব তৈরি হয়। এটি দাম্পত্য জীবনের একে অপরকে গ্রহণযোগ্যতার ওপর বড় প্রভাব ফেলে।প্রতিকার যা হতে পারে: সত্যিকারের আলোচনা: খোলামেলা ও সম্মানজনক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করা। সময় দেয়া: একে অপরের প্রতি সময় ও মনোযোগ দেয়া। পরামর্শ গ্রহণ: প্রয়োজনে পেশাদার কাউন্সেলিং সেবার সাহায্য নেয়া। সমঝোতা: পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সমঝোতা বৃদ্ধি করা। দাম্পত্য জীবনে সমস্যা থাকলেও সচেতন প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনেক সময় সম্পর্ক রক্ষা করা সম্ভব।

আজ আনফ্রেন্ড করার দিন
অবসর সময়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের অংশ হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর। এই প্ল্যাটফর্মে পরিচিত বা অপরিচিত সবার সঙ্গে সহজেই বন্ধুত্ব করা যায়। আবার এই তালিকায় যুক্ত থাকে অনেক বিরক্তিকর ও অপছন্দের মানুষ। কাজের ব্যস্ততায়, আলসেমি, চক্ষু লজ্জায় কিংবা অন্য কোনো কারণে তাদের বন্ধু তালিকা থেকে ছাঁটাই করতে পারছেন না। তাহলে আজকের দিনটি আপনার জন্য। কারণ, আজ (১৭ নভেম্বর) আনফ্রেন্ড দিবস। ২০১৪ সালে কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেল ‘আনফ্রেন্ড ডে’ বা ‘বন্ধু ছাঁটাই করার দিন’ প্রতিষ্ঠা করেন। দিনটি প্রচলনের উদ্দেশ্য ছিলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত ও বিরক্তিকর ব্যক্তিকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেয়া। বন্ধু বা ফ্রেন্ড শব্দটি অনেক আগে থেকেই আমাদের খুব পরিচিত একটি শব্দ। বলতে গেলে শত বছরের প্রচলিত একটি শব্দ। কিন্তু, ‘আনফ্রেন্ড’ শব্দটির সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বদৌলতে। অক্সফোর্ড ডিকশনারির ২০০৯ সালের সেরা শব্দ ছিল ‘আনফ্রেন্ড’। যার সংজ্ঞা হলো- ফেসবুকের মতো সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে কাউকে ‘বন্ধু’ তালিকা থেকে বাদ দেয়া। ‘আনফ্রেন্ড দিবস’ বিশ্বের অনেক দেশেই পালন করা হয় আনন্দের সঙ্গে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দিবস নিয়ে নানা স্ট্যাটাস এবং লেখালেখি চোখে পড়ে।

কমলা মাখা তৈরি করবেন যেভাবে
বাতাসে বইছে শীতের হাওয়া। বাজারে দেখা মিলছে কমলার। কিছুটা টক, কিছুটা মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি খেতে ভীষণ সুস্বাদু। শীতের আলতো রোদে কমলা খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে টক স্বাদের কমলা অনেকে খেতে চান। সেক্ষেত্রে একটু ভিন্ন কায়দায় বানিয়ে ফেলতে পারেন কমলা মাখা। কীভাবে? জানুন রেসিপি-উপকরণটক-মিষ্টি কমলা- ১ হালিলবণ- আধা চা চামচচিনি- এক চা চামচকাঁচামরিচ কুচি- ১টিধনিয়া পাতা- আধ চা চামচভাঙা শুকনো মরিচ/চিলি ফ্লেক্স- সামান্যলেবুর রস- ১ টেবিল চামচপ্রণালিপ্রথমে কমলার কোয়া ছাড়িয়ে মাঝ বরাবর টুকরো করে নিন। এবার বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। খেয়াল রাখবেন কমলা যেন থেঁতলে না যায়। টক-মিস্তি-ঝাল স্বাদের এই কমলা মাখা খেতে পারেন মিড মর্নিং স্ন্যাক্স হিসেবে।

ভিন্নধর্মী স্বাদে অরেঞ্জ ডিলাইট
কমলালেবু খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে মেলা ভার। স্বাদে তো বটেই,কমলালেবুতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে মিষ্টি এবং রসালো ফলটি দিয়ে ভিন্নধর্মী হালুয়া বানিয়ে দেখতে পারেন। রইল রেসিপি।উপকরণ:কমলালেবু ৪টা, চিনি আধা কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, বাদাম (কাঠবাদাম, কাজুবাদাম ও অন্যান্য) পরিমাণমতো, লেবুর রস ১ চা চামচ, পানি আধা কাপ।প্রণালী:প্রথমে চারটা বড় সাইজের কমলালেবু নিয়ে রস করে সেই রসের মধ্যে কর্ণফ্লাওয়ার ভালভাবে মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। এরপর চুলায় একটা ননস্টিক প্যান দিয়ে তাতে সমপরিমাণ চিনি ও পানি দিয়ে জাল করতে হবে। চিনি-পানির মিশ্রণটা যখন একটু আঠালো হয়ে আসবে, তখন তাতে লেবুর রস দিয়ে দিতে হবে যাতে ক্যারামেল না হয়ে যায়।এরপর মিশিয়ে রাখা কমলালেবু ও কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণটা দিয়ে দিতে হবে এবং ভালভাবে নাড়তে হবে। ৮-১০ মিনিট জাল করার পরে যখন ঘন হয়ে আসবে তখন দিয়ে দিতে হবে ২ টেবিল চামচ ঘি। এরপর আরও ৩-৪ মিনিট নেড়ে নামিয়ে সার্ভিং ডিশে ঢেলে নিয়ে উপর দিয়ে বাদাম কুচি ছড়িয়ে দিলেই কমলার এই মজার হালুয়া তৈরি। ঠাণ্ডা হওয়ার পর টুকরা করে কেটে নিতে হবে।

মোবাইল ফোনের তরঙ্গ থেকে হতে পারে যেসব সমস্যা
সকাল থেকে রাত প্রতি মুহূর্তে আমাদের সঙ্গী হয় মোবাইল ফোন। অবস্থা এমন যে ঘুমের মাঝেও যদি জেগে উঠি সবার আগে ফোনটিই হাতে নেওয়া হয়। তবে সারাক্ষণ বিশেষ করে ঘুমের সময় পাশে ফোন রাখা আমাদের জন্য নানা ধরনের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। জনপ্রিয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সাইট হেলথ.কম জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের তরঙ্গ থেকে হতে পারে নানা সমস্যা। যেমন• মোবাইল ফোনের এই তরঙ্গ বা ফ্রিকোয়েন্সি মাথার ও কানের ক্ষতি করে• শ্রবণ শক্তি কমে যেতে পারে• মনঃসংযোগে সমস্যা হয়• ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে• শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা হতে পারে• পুরুষদের শুক্রাণুর পরিমাণ ও মানও অনেক কম হয়। যেভাবে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে • ঘুমের সময় মোবাইল বালিশের নিচে নয়, বিছানার বাইরে রাখুন• দীর্ঘ সময় ফোনে কথা বলা বা ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা নয়• চলাফেরার সময় ফোনটি হাতে বা পকেটে না রেখে, রাখুন একটি ছোট ব্যাগে • শিশুদের হাতে ফোন দেওয়ার অভ্যেস করবেন না।

ফলের রসে তৃপ্তি-পুষ্টি
আমের জুসযে গরম পড়েছে, অনেকেই অসুস্থ হচ্ছেন। এই মহামারি করোনার সময় গরমের কারণে অসুস্থতা এড়াতে ও সুস্থ থাকতে নিজের প্রতিই নজর দিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে সব সময় শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে। বোতলজাত কোমল পানীয়ের পরিবর্তে নিয়মতি পান করুন দেশি টাকটা ফলের শরবত। সুস্থ থাকবেন সঙ্গে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। লেবুর পানিএ তালিকার শীর্ষ পানীয় হতে পারে লেবুর পানি। একেবারে সাদামাটা পদ্ধতিতে বানানো যায়। লেবু হরহামেশাই মেলে। ভিটামিন ‘সি’-এ পূর্ণ ফলটি দারুণ উপকারী। স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। পুষ্টিগুণ তো দেবেই, সেই সঙ্গে দেহের পানির চাহিদাও পূরণ হবে। ডাবের পানিকচি ডাব বা নারিকেলের পানির গুণের কথা সবাই জানেন। দেহের বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠু করে ডাবের পানি। যাদের হজমে সমস্যা তারা পাবেন মুক্তি। সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা ডাবের পানি খেলে গোটা দিন সুস্থ থাকবেন। দেহের অন্য অনেকগুলো অসুবিধা সেরে যাবে এ পানিতে। আমের জুসপাকা আম ৪ টি, মধু ৩ টেবিল চামচ, ভ্যানিলা আইসক্রিম ৪ স্কুপ, দুধ বা পানি ৬ কাপ, বরফ কুচি। আম কুচি করে কাটুন। ব্লেন্ডারে আমের সঙ্গে মধু, দুধ অথবা পানি ও আইসক্রিম দিয়ে মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন। বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন। মুহূর্তেই সজীবতা ফিরে পাবেন। তেঁতুলের শরবততেঁতুল, বিট-লবণ, চিনি, কাচামরিচ কুচি, পুদিনা পাতা কুচি, মরিচের গুঁড়া, পানি।প্রথমে তেঁতুল থেকে বিচি আলাদা করে একটি পাত্রে তেঁতুল গুলে নিন। গোলানো তেঁতুলের সঙ্গে পরিমাণমতো পানি মেশান। তেঁতুলের সঙ্গে চিনি, বিট-লবণসহ সব উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ১৫ মিনিট ফ্রিজে রাখুন। এবার তেঁতুলের মিশ্রণটি অন্য একটি পাত্রে ছাকনি দিয়ে ছেকে নিন। সুস্বাদু তেঁতুলের শরবত তৈরি। গরমে অনেকেই রাস্তায় বিক্রি হওয়া ফলের জুস পান করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাইরের পানীয় পান করা একেবারেই ঠিক নয়। এটি কিছু সময়ের জন্য প্রশান্তি দিলেও হতে পারে মারাত্বক পানিবাহিত রোগ বা জীবাণুর সংক্রমণ।

বৃক্ষরোপণে ইসলামের উৎসাহ ও নির্দেশনা
স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা জরুরি। আর ভারসাম্যপূর্ণ ও দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা বৃক্ষের। বৃক্ষ শুধু পরিবেশ রক্ষার জন্যই নয়; বরং ধর্মীয় কারণেও মানুষের বৃক্ষরোপণ করা চাই। মহানবী (সা.) পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণ ও তা পরিচর্যার কথা উল্লেখ করে বিভিন্ন হাদিসে উৎসাহ ও নির্দেশনা দিয়েছেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর মোট উদ্ভিদ প্রজাতির ভেতরকার ২৫ শতাংশই বৃক্ষ। বৃক্ষ ছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশের কল্পনা করা অবান্তর। ইসলাম সঙ্গত কারণেই পরিবেশ সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণে জনসচেতনতা তৈরিতে উদসাহ ও নির্দেশনা দিয়েছে। বৃক্ষরাজি ও প্রকৃতি নিয়ে কোরআনের বর্ণনা আল্লাহ তাআলা মানুষের প্রয়োজনীয় জীবনোপকরণ হিসেবে ফলবান বৃক্ষরাজি ও সবুজ-শ্যামল সৃষ্টি করেছেন। বনভূমির মাধ্যমে পৃথিবীকে সুশোভিত ও অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছেন। গাছপালার মাধ্যমে ভূমণ্ডল ও পরিবেশ-প্রাকৃতিক ভারসাম্য সংরক্ষণের শিক্ষা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে তাই ঘোষণা এসেছে—‘আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি ও তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে নয়নাভিরাম সর্বপ্রকার উদ্ভিদ উদ্গত করেছি। আর আমি আকাশ থেকে কল্যাণময় বৃষ্টিবর্ষণ করি এবং এর দ্বারা উদ্যান ও পরিপক্ব শস্যরাজি উদ্গত করি, যেগুলোর ফসল আহরণ করা হয়। ’ (সুরা কাফ, আয়াত: ৭-৯) অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন—‘তিনিই আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন। অতঃপর তা (বায়ু) মেঘমালাকে সঞ্চালিত করে। অতঃপর তিনি (আল্লাহ) মেঘমালাকে যেভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তা স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও, তার মধ্য থেকে বারিধারা নির্গত হয়। তিনি তার বান্দাদের মধ্যে যাদের ইচ্ছা তা (বৃষ্টি) পৌঁছান, তখন তারা আনন্দিত হয়। (সুরা রুম, আয়াত: ৪৮) পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির কিছু দৃশ্য মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। যেন মানুষ প্রাকৃতিক বিচিত্র, প্রকারভেদ, বর্ণ, গন্ধ ও সৌন্দর্য দেখে পুলকিত ও অভিভূত হয়। সব কিছুর উন্নতি, অগ্রগতি ও সক্রিয়তা দেখে মানুষ আল্লাহর শক্তিমত্তার কথা স্মরণ করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি তোমাদের জন্য তা (পানি) দিয়ে জন্মান শস্য, জাইতুন, খেজুরগাছ, আঙুর ও সব ধরনের ফল। অবশ্যই এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে নিদর্শন। ’ (সুরা নাহল, আয়াত: ১১) বৃক্ষরাজি যে কত বড় নিয়ামত, পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতের মাধ্যমে তা প্রতীয়মান হয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন—‘তারা কি লক্ষ করে না, আমি ঊষর ভূমির ওপর পানি প্রবাহিত করে তার সাহায্যে উদগত করি শস্য, যা থেকে তাদের গবাদি পশু এবং তারা নিজেরা আহার গ্রহণ করে। ’ (সুরা সাজদা, আয়াত: ২৭) একটি বৃক্ষের অর্থনৈতিক মূল্য কত? গাছবিহীন এক মুহূর্তও অসম্ভব। মানুষের যাপিত জীবনের সব কিছুই গাছকে ঘিরে ও গাছকে নিয়ে। তাই গাছ নিধন হলে গাছ শুধু একাই মরে না। মানুষসহ সব প্রাণসত্তার জন্যই তা ঝুঁকি ও উত্কণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটি পূর্ণবয়স্ক বৃক্ষ বছরে যে পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করে, তা কমপক্ষে ১০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের বার্ষিক অক্সিজেনের চাহিদা মেটায়। ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টি এম দাস ১৯৭৯ সালে পূর্ণবয়স্ক একটি বৃক্ষের অবদান আর্থিক মূল্যে বিবেচনা করে দেখান যে ৫০ বছর বয়সী একটি বৃক্ষের অর্থনৈতিক মূল্য প্রায় এক লাখ ৮৮ হাজার মার্কিন ডলার (সূত্র : ইন্ডিয়ান বায়োলজিস্ট, ভলিয়ম-১১, সংখ্যা-১-২) বৃক্ষরোপণের ব্যাপারে হাদিসে উৎসাহ ও নির্দেশনা হাদিসে এসেছে, ‘যদি কোনো মুসলমান একটি বৃক্ষ রোপণ করে অথবা কোনো শস্য উৎপাদন করে এবং তা থেকে কোনো মানুষ কিংবা পাখি অথবা পশু ভক্ষণ করে, তবে তা উৎপাদনকারীর জন্য সদকা (দান) স্বরূপ গণ্য হবে। ’ (বুখারি, হাদিস: ২৩২০, মুসলিম, হাদিস: ১৫৬৩/১২) এ হাদিসটি আরও স্পষ্ট করে অন্য জায়গায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি বৃক্ষরোপণ করে তা ফলদার হওয়া পর্যন্ত তার পরিচর্যা ও সংরক্ষণে ধৈর্য ধারণ করে, তার প্রতিটি ফল যা নষ্ট হয়, তার বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তাকে সদকার নেকি দেবেন। ’ (মুসনাদ আহমাদ: ১৬৭০২) অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো বৃক্ষ রোপণ করে, আল্লাহ তাআলা এর বিনিময়ে তাকে ওই বৃক্ষের ফলের সমপরিমাণ প্রতিদান দান করবেন। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫৬৭) বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা সম্পর্কে হাদিস আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা করতে নির্দেশ দিয়ে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যদি নিশ্চিতভাবে জানো যে কিয়ামত এসে গেছে, তখন হাতে যদি একটি গাছের চারা থাকে, যা রোপণ করা যায়, তবে সেই চারাটি রোপণ করবে। ’ (বুখারি, আদাবুল মুফরাদ: ৪৭৯; মুসনাদ আহমদ, হাদিস: ৩/১৮৩) অন্য বর্ণনায় মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কিয়ামত এসে গেছে, এমন অবস্থায় তোমাদের কারো হাতে যদি ছোট একটি খেজুরগাছ থাকে, তাহলে সে যেন গাছটি রোপণ করে দেয়। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১২৯০২; আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস: ৪৭৯; মুসনাদে বাজজার, হাদিস: ৭৪০৮) বিনা প্রয়োজনে গাছ কাটার শাস্তি অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি বিনা প্রয়োজনে গাছ কাটবে [যে গাছ মানুষের উপকার করতো], আল্লাহ তার মাথা আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করবেন। ’ (বায়হাকি, হাদিস: ৬/১৪০) অবশ্য এই হাদিসের বর্ণনা দুর্বল। হাদিসবিশারদরা দীর্ঘ ব্যাখ্যা ও প্রাসঙ্গিকতা বর্ণনা করেছেন। বৃক্ষের ছায়ায় মহানবী (সা.) আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘মক্কা এবং মদীনার মাঝে অবস্থিত একটি বৃক্ষের নিকট যখন তিনি আসতেন তখন তার নীচে শুয়ে বিশ্রাম করতেন। তিনি বলতেন রাসুলুল্লাহ (সা.) এরূপ করতেন। (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব, হাদিস: ৪৭) গাছ-বৃক্ষ প্রকৃতি ও পরিবেশের ‘বন্ধু’। তাই নির্বিচারে গাছ না কেটে প্রচুর বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

যাদুকরী টি ট্রি অয়েল
বর্তমানে সব ধরনের শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ ও অয়েন্টমেন্টে বহুল ব্যবহৃত একটি প্রাকৃতিক উপাদান টি ট্রি অয়েল। ত্বকের ক্ষত সারিয়ে তোলায় এটি অভাবনীয় সাফল্য এনে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় উদ্ভব টি ট্রি অয়েল; যেখানে ৩০০ প্রজাতির ‘টি ট্রি’ স্বভাবতই জন্মায়। সেখানকার বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে টি ট্রি অয়েল বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে আসছেন। • ত্বকের যেসব মারাত্মক সমস্যা নিমিষেই সমাধান দিতে পারে টি ট্রি অয়েল • খেলোয়াড়দের পায়ের ক্ষত সারাতে • আঙুলের ডগা নরম করতে • কাটা-ছেঁড়া দূর করতে • ব্রণ দূর করতে • খুশকি তাড়াতে নিচের পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন – আক্রান্ত স্থানে সরাসরি এক-দুই ফোঁটা টি ট্রি তেল লাগাতে পারেন। – ক্যারিয়ার তেল যেমন- নারিকেল, জলপাই ও বাদাম তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। – ঘর পরিষ্কার করার ডিটারজেন্টের সঙ্গেও দু-এক ফোঁটা মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। – খুশকি এবং উকুনের চিকিৎসা হিসেবে গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। – গোসলের পানিতে পাঁচ-ছয় ফোঁটা মিশিয়ে দিন। আপনি কি টি ট্রি অয়েল কখনো ব্যবহার করেছেন না করে থাকলে আজই চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

রোজা রাখা শরীরের জন্যও উপকারী
প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য রমজানের এক মাস রোজা রাখা ফরজ। এর ধর্মীয় এবং সামাজিক নানা উপকারিতা তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে রোজা রাখা শরীরের জন্যও উপকারী। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে শরীরের তো অসুবিধা হয়ই না, বরং অনেক চমকপ্রদ উপকার মেলে। রোজা রাখলে তা আপনাকে শান্ত, পরিণতই করবে না, সেইসঙ্গে সুস্থ রাখতেও কাজ করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, রোজা রাখলে শরীরে কী ঘটে- ১. ওজন কমাতে কাজ করে রোজা রাখলে তা আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা রাখা অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময় না খেয়ে থাকা, খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় ঠিক রাখা অর্থাৎ প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়া এবং খাওয়ার পরিমাণের দিকে নজর রাখার অভ্যাস, ওজন কমানোর কাজে সহায়ক। এই অভ্যাসগুলো ওজন হ্রাস, চর্বি হ্রাস এবং রক্তের লিপিড উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। ২. রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ করে বেশ কিছু গবেষণা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের উন্নতি এবং সম্ভাব্যভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করার উপায় হিসাবে রোজা রাখাকে সমর্থন করে। তাই রোজা রাখলে এই সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। তবে এটি নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে আরও গবেষণার প্রয়োজন। ৩. অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে রোজা রাখার আরেকটি সুবিধা হলো, অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৈচিত্র্য এবং সংখ্যা উভয়ের ওপর এর ইতিবাচক প্রভাব। এটি ওজন পরিবর্তন, কোমরের চর্বি কমানো এবং বিপাকের উপর একটি উপকারী প্রভাব ফেলে। ৪. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে বিরতিহীন উপবাস হৃদরোগের কিছু ঝুঁকির কারণ কমাতে পারে। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং প্রদাহের মতো সমস্যা কমাতে এটি বিশেষ কার্যকরী। তাই রোজা রাখলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে অনেকটাই। ৫. রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে রমজানে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আপনার শরীরকে রোগ প্রতিরোধ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনগুলোতে কাজ করতে সাহায্য করে। এর কারণ হলো, যখন আমরা রোজা রাখি, তখন শরীর অটোফ্যাজি নামে একটি প্রক্রিয়া শুরু করে। এই প্রক্রিয়ায় কোষ থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করা হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

সেহরিতে যেসব খাবার খাবেন না
রমজান মাসে সেহরি সারা দিন রোজা রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেহরির খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। কারণ এসময় খাওয়া খাবার থেকেই আপনি সারাদিনের শক্তি ও পুষ্টি পাবেন। অনেক সময় আমরা ভুল করে সাহরিতে এমন সব খাবার খেয়ে থাকি যা সারাদিন অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। কিছু খাবার আছে যেগুলো সাহরিতে এড়িয়ে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক- ১. ভাজা খাবার ভাজা খাবার যেমন সমুচা, পাকোড়া বা পেঁয়াজু-বেগুনিতে অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ক্যালোরি বেশি থাকে, যা রোজার সময় বদহজম, পেট ফোলা এবং অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে সাহরিতে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সেইসঙ্গে ইফতারেও যতটা সম্ভব ভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। ২. নোনতা খাবার অতিরিক্ত লবণ খেলে তা রোজার সময় ডিহাইড্রেশন এবং তৃষ্ণার কারণ হতে পারে। নোনতা খাবার যেমন আলুর চিপস, লবণাক্ত বাদাম বা প্রক্রিয়াজাত মাংস সাহরির সময় এড়িয়ে চলুন। অন্যান্য সময়েও এ ধরনের খাবার যতটা কম খাওয়া যায় ততই ভালো। ৩. চিনিযুক্ত পানীয় ফলের রস, কোল্ড ড্রিংকস বা এনার্জি ড্রিংকসের মতো মিষ্টি পানীয়তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। সাহরিতে এ ধরনের পানীয় পান করলে আপনি সারাদিন অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারেন। এতে রোজা থাকা কষ্টকর হবে। তাই সাহরিতে চিনিযুক্ত পানীয় খাবেন না। ৪. অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার স্যাচুরেটেড চর্বিযুক্ত খাবার যেমন চর্বিযুক্ত মাংস, ক্রিমি সস এবং ভাজা খাবার হজম হতে বেশি সময় নিতে পারে। এ ধরনের খাবার রোজার সময় অস্বস্তি এবং পেট ভারী হওয়ার কারণ হতে পারে। তাই সাহরিতে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ৫. অতিরিক্ত মসলাদার খাবার যদিও মসলা খাবারে স্বাদ যোগ করে কিন্তু অত্যাধিক মসলাদার খাবার পেটের আস্তরণে জ্বালার কারণ হতে পারে। এটি বুকে জ্বালাপোড়া বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যদি সাহরিতে খাওয়া হয়। তাই সাহরির খাবারের তালিকায় অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইফতারে প্রশান্তি আনে স্বাস্থ্যকর মাঠা
বহুকাল ধরে বাঙালির ইফতারের অন্যতম উপাদান হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পানীয়। প্রতি বছর রোজ এলেই বাজারে প্রচলিত পানীয় বা শরবতের কদর বেড়ে যায় কয়েকগুণ। আর মৌসুমটা যদি হয় কাঠ ফাটা রোদের— তাহলে তো কথাই নেই। প্রচলিত নানা ধরনের পানীয়র মধ্যে গরমে তৃষ্ণার্ত রোজাদারদের প্রাণ জুড়ানোর অন্যতম জনপ্রিয় একটি পানীয় ‘মাঠা’। গ্রাম থেকে শহরের ইফতারের বাজারে খুঁজলেই হাতের কাছে পাওয়া যায় মাঠা। বাসায় তৈরি করা যায় জনপ্রিয় এই দুগ্ধজাত পানীয়। মাঠায় প্রচুর পরিমাণে পটশিয়াম ও ভিটামিন ‘বি’ থাকে। একাধিক মিনারেলস ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্স সমৃদ্ধ মাঠা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া ঘুমও ভালো হয়। তাহলে মাঠা কীভাবে বানাবেন, কী কী লাগবে তা দেখে নিন এখানে… মাঠা বানাতে যা লাগবে: টক দই ও চিনি (পরিমাণমতো), লবণ (স্বাদমতো), পেস্তা বা কাজু বাদাম বাটা, লেবুর রস ও বরফ কুচি । বাসায় যেভাবে তৈরি করবেন: টক দই কিছুটা পানি দিয়ে একটু পাতলা করে নিন। এবার ডাল ঘুটনি দিয়ে বেশ ভালো মতো ঘুটতে হবে। কিছুক্ষণ পর দেখবেন ওপরে ক্রিম ভেসে উঠবে, সেগুলো তুলে ফেলুন। এবার ওই ক্রিম তোলা টক দইতে বাকি পানি, চিনি, লবণ, বাদাম বাটা, লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন মাঠা। ঢাকাওয়াচ/টিআর

মশা দূর করার ঘরোয়া উপায়
গরম তো একটু একটু করে বাড়ছেই, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশার উপদ্রব। রাতে নাহয় মশারি টাঙিয়ে ঘুমালেন, তাই বলে সারাক্ষণ তো আর মশারির ভেতর বসে থাকা সম্ভব নয়। এই মশার উপদ্রবে শান্তিতে দু’দণ্ড বসাটাও যেন কষ্টকর হয়ে উঠছে। কোন ফাঁকে এসে কুটুস করে কামড়ে পেট ভরে রক্ত খেয়ে চলে যাবে, টেরও পাবেন না। গায়ে বসার সুযোগ না পেলে তখন চলতে থাকে ওড়াউড়ি আর বিরক্তিকর প্যানপ্যানানি গান! এখানেই শেষ হলে ভালো হতো। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, মশার কামড় থেকে দেখা দিতে পারে মারাত্মক সব অসুখ। এমনকী অনেক ক্ষেত্রে তা প্রাণঘাতিও হতে পারে। তাই মশার হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য সব রকম ব্যবস্থা আপনাকে করতেই হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি প্রাকৃতিক উপায়ে মশা দূর করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, মশা দূর করার ঘরোয়া উপায়- লেবু-লবঙ্গ লেবু তো সবার বাড়িতেই থাকে। এটি কিন্তু মশা তাড়ানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী। এক্ষেত্রে একটু পাকা হলদে রঙের লেবু হলে ভালো হয়। সেই লেবুতে কয়েকটি লবঙ্গ গেঁথে জানালার পাশে রেখে দিতে হবে। এতে মশা আপনার বাড়িতে ঢুকতে আর আগ্রহ পাবে না। কারণ এই গন্ধ মশাদের কাছে খুব অপছন্দের। এছাড়া লেবু টুকরা করে একটি থালায় নিয়ে তা ঘরের এক কোণে রেখে দিতে পারেন। এতে মশা দূরে থাকবে। নিমতেল নিমতেলেরর রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। এটি বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগে বেশ কার্যকরী। তার পাশাপাশি এটি মশা তাড়াতেও সাহায্য করে। নিমতেল আর নারিকেল তেল মিশিয়ে তা শরীরের যেসব অংশ খোলা সেখানে লাগিয়ে রাখবেন। এতে কমে আসবে মশাতের উৎপাত। তেলের গন্ধে মশা আপনার কাছে ঘেঁষবে না। পুদিনা পুদিনা পাতা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করেন নিশ্চয়ই? বাড়িতেই রাখতে পারেন এর গাছ। আপনার খাবার টেবিলে বা ঘরের যেকোনো স্থানে পানিভর্তি একটি গ্লাসে কিছু পুদিনার গাছ ভিজিয়ে রাখুন। কয়েকদিন পরপর সেই পানি পাল্টে দেবেন। বাড়িতে পুদিনার গাছ থাকলে মশা আর কাছে ঘেঁষবে না। কারণ এর গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। সেইসঙ্গে গরম পানিতে পুদিনা ফুটিয়ে তার ভাপও ছড়িয়ে দিতে পারেন পুরো ঘরে। এই পদ্ধতিও কার্যকরী। চা চা তৈরির পর চা পাতা ফেলে দেন নিশ্চয়ই? এই ফেলনা বস্তুই আপনার বাড়ি থেকে মশা তাড়াতে কাজ করবে। চা তৈরির পর চা পাতা ফেলে না দিয়ে তা শুকিয়ে নিন ভালো করে। এরপর সেগুলো পুড়িয়ে পুড়িয়ে ধুনোর মতো করে সারা ঘরে তার ধোঁয়া দিতে পারেন। এতে মশা তাড়ানো অনেক সহজ হয়। রসুন রসুন শুধু ভেষজ খাবার হিসেবেই উপকারী নয়, এটি মশা তাড়াতেও দুর্দান্ত। প্রথমে পাঁচ ভাগ পানিতে একভাগ রসুনের রস মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর তা সেই পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এবার সেই মিশ্রণ পুরো ঘরে স্প্রে করুন ভালোভাবে। এর গন্ধে মশা আর আপনার কাছে ঘেঁষবে না। আবার মজে যাওয়া রসুন পিষে ঘরের কোণে রেখে দিলে তাতেও মশা দূরে থাকবে। তুলসী ও কর্পূর তুলসী পাতা কেবল আপনার ঠান্ডা-কাশিই দূর করে না, এটি মশা তাড়ানোর ক্ষেত্রেও সমান কার্যকরী। তুলসী গাছ থাকলে মশা আর বাড়ির আশেপাশে আসবে না। আপনার বারান্দায় বা জানালার কাছে তুলসী গাছ রাখলে উপকার পাবেন। আবার একটি পানিভর্তি ছোট বাটিতে ৫০ গ্রাম কর্পূর মিশিয়ে ঘরের কোণে রেখে দিলে তাও মশা তাড়াতে কাজ করবে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

কোন আঙুর বেশি উপকারী
ভীষণ সুস্বাদু ফল আঙুর। টসটসে রসালো এই ফল খেতে পছন্দ করেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ফলের দোকানগুলোতে দেখবেন সবুজ আর কালো রঙের থোকা থোকা আঙুর ঝুলতে থাকে। দেখেই যেন জিভে জল চলে আসে। শুধু দেখতে ভালো কিংবা খেতেই সুস্বাদু নয়, এই ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। তবে সবুজ না কালো, কোন রঙের আঙুর বেশি উপকারী তা কি জানেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক- কালো এবং সবুজ দুই ধরনের আঙুরেই থাকে প্রাকৃতিক চিনি। তবে কালো আঙুরে থাকা ফাইবার অন্যান্য আঙুরের রঙের আঙুরের তুলনায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক বেশি কার্যকরী, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কালো আঙুর তুলনামূলক বেশি উপকারী। সবুজ আঙুরের তুলনায় কালো আঙুরে পলিফেনল নামক উপাদান থাকে বেশি। এটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। যে কারণে কালো আঙুর খেলে তা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে। তাই এ ধরনের রোগ থেকে বাঁচতে কালো আঙুর খেতে পারেন নিয়মিত। সাধারণত কালো রঙের আঙুরে অন্যান্য রঙের আঙুরের তুলনায় রেসিভেরাট্রোলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে বেশি। যা হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার সঙ্গে সঙ্গে এবং সার্বিকভাবে শরীর সুস্থ রাখতে কাজ করে। তাই দেখা যাচ্ছে কালো রঙের আঙুর খেতে পারলে তা শরীরের জন্য বেশি লাভজনক। কালো বা সবুজ যেকোনো রঙের আঙুরেই প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ভিটামিন থাকে। তাই আঙুর শরীরের জন্য ভালো। তবে কালো রঙের আঙুরে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে-এর মতো নির্দিষ্ট পুষ্টি কিছুটা বেশি থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তবে হাতের কাছে কালো আঙুর না পেলে সবুজ আঙুর খেলেও চলবে। অন্যান্য রঙের আঙুরের তুলনায় কালো আঙুরে রেসিভেরট্রোল থাকে বেশি। যে কারণে এটি রক্তনালীর ক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি হৃদযন্ত্রে স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত করে আঙুর খাওয়ার অভ্যাস করুন। তবে একসঙ্গে অনেকগুলো নয়, একমুঠো খাওয়াই যথেষ্ট। ঢাকাওয়াচ/টিআর

শীতে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে যেভাবে যত্ন নেবেন
শীতকালে ত্বকের মতো আপনার চুলেরও যথেষ্ট পরিমাণে আর্দ্রতা প্রয়োজন, কারণ এটিই আপনার চুল শুকনো এবং ভঙ্গুর হতে বাধা দেয়। ঘরেই চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে যেভাবে চুলের যত্ন নেবেন দই প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের উৎস দই। দই ভিটামিন এ, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ, এগুলো সবই চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, চুল নরম এবং ময়েশ্চারাইজ করে। দইতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা খুশকি দূর করতে কার্যকর। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারাইজ কন্ডিশনার প্রাথমিকভাবে হালকা ময়েশ্চারাইজার কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। এটা খুবই জরুরি যে, আপনার মাথার ত্বক যেন শুষ্ক না হয় কিংবা ফেটে না যায়। যদি হারবাল কন্ডিশনার ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই অ্যালার্জি আছে কিনা পরীক্ষা করে নিন। চা গাছের তেল চা গাছের তেল থেকে তৈরি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও অন্যান্য চুলের প্রসাধনী মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে। এটি খুশকি প্রতিরোধের জন্য বিশেষ উপকারী। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে অন্তত একবার চা গাছের তেল চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন। ভিটামিন বি ও জিংক মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন ‘বি’ ও জিংক অতি জরুরি। আখরোট, ডিম ও শাক-সবজিতে ‘বি’ ও জিংক পাওয়া যায়। আপনার যদি এসব খেতে ভালো না লাগে তাহলে সালাদ বানিয়ে মেয়োনিজ দিয়ে খেয়ে নিন। দেখতেও আকর্ষণীয় হবে স্বাদ ও বেড়ে যাবে। কম প্রসাধনী ব্যবহার যেহেতু শীতে ত্বক ও মাথার ত্বক শুকনো হয়ে যায় ও চুলও আর্দ্রতা হারায় তাই এ সময়ে চুলে খুব বেশি স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা পণ্যের রাসায়নিক ক্ষতিকারক পদার্থ মাথার ত্বকে চুলকানি ও ঘন ঘন খুশকির উদ্রেক করে। বেশিবার চুল ধুবেন না ঘন ঘন চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে মাথার ত্বক শুকিয়ে খুশকি হতে পারে। গরম পানি কখনোই মাথায় ঢালবেন না। হালকাভাবে ঘষুন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার আলতোভাবে ঘষুন। নাহলে মাথার ত্বক চিরে যেতে পারে ও ফুসকুড়ি উঠতে পারে। চুলে রং করলে মাথার ত্বকে এর প্রভাব পড়ে ও খুশকি হয়। শীতে চুলে রং করা থেকে বিরত থাকুন। তেল গরম করে নিন জলপাই বা নারিকেল তেল হালকা গরম করে মাথায় এক ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। দু’এক ফোঁটা সুগন্ধি ল্যাভেন্ডার তেল যোগ করে দিন। হালকা ধরনের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। আপনার চুল শুধু খুশকি মুক্তই হবে না, হবে আকর্ষণীয়ও। ভালোভাবে পরিষ্কার করুন খুশকি মূলত চুল ভালোমতো না ধোয়ার কারণে বেশি হয়। স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও যথেষ্ট বিশ্রাম গ্রহণ করুন। খুব বেশি প্রসাধনী ব্যবহার করে চুল ধুতে যাবেন না। খুশকি তাড়াতে লেবু পানি ব্যবহার করতে পারেন। ডিম ডিম কেবল চুলকে আর্দ্রতা বাড়াতেই সহায়তা করে না, চুলের মেরামত এবং মাথার ত্বকে কন্ডিশনিং করে ভাঙা রোধ করে। ডিম প্রোটিন এবং বায়োটিন সমৃদ্ধ, মাথার ত্বক এবং চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যুগিয়ে আকর্ষণীয় ও মজবুত করে। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

শীতে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে খান ৬ খাবার
শীতকাল মানেই শুষ্ক আবহাওয়া, ফলে নিষ্প্রাণ আর নিস্তেজ হয়ে পড়ে আমাদের ত্বক। সেই সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে হারায় জেল্লা। তখনই ত্বকে শুষ্ক ও রুক্ষভাব চলে আসে। এমনকি র্যাশ ও ব্রণও উঠে থাকে। তাই শীতকালে ত্বকের একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। তবে শুধু বাইরে থেকেই ত্বকের যত্ন নিলে হবে না। ত্বককে ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। শীতে জেল্লাদার ত্বক পেতে কয়েকটি খাবারের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। ভারতীয় লাইফস্টাইল বিষয়ক সংবাদমাধ্যম বোল্ডস্কাইয়ের প্রতিবেদনে এসব খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক – ফ্ল্যাক্সসিড ফ্ল্যাক্সসিডে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে প্রচুর পরিমাণে। এ ছাড়াও, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লিগন্যানস সমৃদ্ধ এই বীজ, যা ত্বকে বার্ধক্যের দাগছোপ পড়তে দেয় না। বলিরেখা রোধ করে এবং ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে। এর পাশাপাশি ফ্ল্যাক্সসিড ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং ত্বকের রুক্ষ শুষ্কভাব কমায়। সবুজ শাকসবজি পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি শরীরে কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। অন্যদিকে, ভিটামিন ই ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এই ফ্রি র্যাডিক্যাল অকাল বার্ধক্যের কারণ হতে পারে এবং ত্বককে নিস্তেজ দেখাতে পারে। তাছাড়া, নিয়মিত শাকসবজি খেলে ত্বকের কালচে দাগছোপও হালকা হয়। বাদাম আমন্ড, আখরোট এবং চিনাবাদাম স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকেরও যত্ন নেয়। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ আমন্ড ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে। আখরোটে রয়েছে কোলিন, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সব পুষ্টি উপাদান ত্বককে সুস্থ রাখে। চিনাবাদাম আমাদের শরীরে ভিটামিন বি৩ সরবরাহ করে, যাকে নিয়াসিনও বলা হয়। ত্বকের পরিচর্যায় এই ভিটামিনের উপকারিতা অপরিমেয়। টমেটো ত্বকের যত্নে অনেকেই টমেটো ব্যবহার করে থাকে। টমেটো যেমন রান্নায় স্বাদ বাড়ায় তেমনই রূপচর্চার ক্ষেত্রেও এর জবাব নেই। এর মধ্যে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি থাকে। যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের নানা সমস্যার সমাধানও করে। টমেটোর রসে আছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট, যা ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব কাটিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে। এর ফলে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডসের মতো সমস্যাগুলোও দূরে থাকে। এর পাশাপাশি সান ট্যান দূর করতে এবং ত্বকের জেল্লা বাড়াতে দারুণ কার্যকর টমেটো। কলা ভিটামিন এ, বি, ডি, জিঙ্ক, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ কলা শরীরের যত্ন নেয় তো বটেই, সেই সঙ্গে ত্বকের জৌলুসও বাড়িয়ে তোলে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করে কলা। ফলে ত্বক এমনিতেই সতেজ হয়ে ওঠে। নিয়মিত কলা খেলে ত্বক মসৃণ ও কোমল থাকে। রাঙা আলু রাঙা আলু বা মিষ্টি আলু বিটা-ক্যারোটিনের দুর্দান্ত উৎস। বিটা-ক্যারোটিন শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ ত্বক আর্দ্র রাখে। ত্বকের তারুণ্য ফিরিয়ে আনে। ত্বক তরতাজা ও উজ্জ্বল করে তোলে। এ ছাড়া, ব্রণর সমস্যা থেকেও সুরক্ষিত রাখে ত্বক। ঢাকাওয়াচ/স

পেঁয়াজের বিকল্প কী হতে পারে?
এখন অব্দি থেমে থেমে বাজারে ঝাঁজ বাড়িয়েছে পেঁয়াজ। এতে চড়া মূল্যের কারণে রান্নাঘরে হাহাকারসহ পাড়া-মহল্লা- রাষ্ট্রে পেঁয়াজ নিয়ে চর্চাও কম হয়নি। রান্নার খাবার সুস্বাদু করতে পেঁয়াজ ছাড়া ভাবাও যায় না। কিন্তু এই উচ্চমূল্যের বাজারে পেঁয়াজের ব্যবহার কমিয়ে দিয়ে বিকল্প কিছু চিন্তা করা মন্দ নয়। রান্নায় পেঁয়াজের বিকল্প হতে পারে পেঁয়াজ কলি, কাঁচা পেঁপে, ক্যাপসিকাম, টমেটোর রস, মিষ্টি কুমড়া ও রসুন। কাঁচা পেঁপেকে পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে আমরা ব্যবহার করতে পারি। আজকাল অনেক দোকানেই চপ, শিঙারা ও মোগলাইয়ের সঙ্গে সালাদ হিসেবে কাঁচা পেঁপের কুচি দেওয়া হয়। এই পেঁপে যকৃতের স্বাস্থ্য ও পেটের সমস্যা, হৃদ্রোগের জন্য খুবই উপকারী। ক্যাপসিকাম খাবারের স্বাদ বাড়ায়। ভাজি, মাছ বা মাংসের ঝোলে ক্যাপসিকামের ঝাঁঝালো স্বাদ ও গন্ধ দারুণ। টমেটো ভাঁপ দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে পেস্ট করে রান্নার সময় পেঁয়াজের পরিবর্তে ব্যবহার করলে রান্না করা খাবার অতি সুস্বাদু হয়। মাছ, মাংস, এমনকি সবজিও টমেটো পেস্ট দিয়ে রান্না করলে তরকারির রং খুব সুন্দর হয়। মিষ্টি কুমড়া গ্রেটার দিয়ে কুচি করে একইভাবে পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে তরকারিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ঢাকাওয়াচ/স

শীতে ত্বকের রুক্ষতায় নারকেল তেল
শীতে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় তা খসখসে প্রকৃতির হয়ে যায়। এই সমস্যা সবচেয়ে সহজে দূর করতে পারে নারকেল তেল। জেনে নিন নারকেল তেলের গুণাগুণ: নারকেল তেলে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড- ত্বকের রুক্ষ, শুষ্ক ভাব দূর করে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনার কাজ সবচেয়ে সহজে করতে পারে নারকেল তেল। এর মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। নারকেল তেলের এই উপকরণ ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া শীতের সময়ে দূষণের মাত্রাও অতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পায়। সেক্ষেত্রে ত্বকের ওপর একটা স্তর বা আবরণ দেখভালের জন্য রাখতে পারলে ভালো। যদি আপনি নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করেন তাহলে ত্বকের ওপর একটি আবরণ বা আস্তরণ তৈরি হবে। এটি কাজ করবে একটি প্রোটেক্টিভ লেয়ার হিসেবে। আপনার ত্বককে রক্ষা করবে ধুলোবালি, ময়লা থেকে। নারকেল তেল দূর করে বলিরেখার সমস্যা- ত্বকের সঠিকভাবে পরিচর্যা না হলে অকালেই দেখা দেবে রিঙ্কেলস বা বলিরেখার সমস্যা। এই সমস্যা দূর করার জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে সুবিধা হলো এই তেলের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে ম্যাসাজের প্রয়োজন নেই। শুধু নারকেল তেল দিয়েই ম্যাসাজ করলেই উপকার পাবেন। বলিরেখার সমস্যা দূর করার পাশাপাশি নারকেল ত্বকের একদম গভীর স্তর পর্যন্ত প্রবেশ করে ময়শ্চার লক করে। তার ফলে শীতের রুক্ষ, শুষ্ক আবহাওয়াতেও আপনার ত্বক থাকবে উজ্জ্বল এবং মোলায়েম। ত্বকের র্যাশ দূর করে নারকেল তেল- নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ। তার ফলে ত্বকের কোনও র্যাশ, অ্যালার্জি ইত্যাদি কমাতেও সাহায্য করে নারকেল তেল। শীতকালে ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। এর ফলে জ্বালাভাব অনুভব করা যায়। নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে উপকার পাবেন। তবে যাদের ত্বক সেনসিটিভ এবং র্যাশ, ব্রন, অ্যালার্জি ইত্যাদির সমস্যা প্রবলভাবে দেখা দেয় তারা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নিয়ে নারকেল তেল বা কোনও উপকরণই ব্যবহার করা উচিত নয়। নারকেল তেল ভালো রাখে স্কিন টেক্সচার- ত্বকের গঠন অর্থাৎ স্কিন টেক্সচার ভালো রাখতেও সাহায্য করে নারকেল তেল। এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে ত্বকে মোলায়েম ভাব বজায় থাকে। তবে যাদের ত্বকের ব্রন এবং র্যাশের সমস্যা রয়েছে, যাদের ত্বক সেনসিটিভ এবং অয়েলি স্কিন- তারা নারকেল তেল ব্যবহার না করাই ত্বকের পক্ষে ভালো। ঢাকাওয়াচ/স

রান্নার জন্য কেটে রাখা সবজি দীর্ঘদিন টাটকা রাখবেন যেভাবে
মশলা বাটা থেকে আনাজ কাটা, সবটাই নিজের হাতে করেন অনেকে। আবার বাইরের দায়িত্বও সামলাতে হয়। সব কিছু একা হাতে সুষ্ঠু ভাবে সামলানোর জন্য বুদ্ধি খরচ করতেই হয়। অনেক তাই বাজারে গেলে একেবারে সব কিনে আনেন, বেশি করে রান্না করে রাখেন, অনেকে আবার সবজি কেটেও রাখেন। রান্না করা খাবার ফ্রিজে রাখলে ভাল থাকে। কিন্তু কাটা সবজি ফ্রিজে রাখলেও অনেক সময় শুকিয়ে যায়। সেগুলি দীর্ঘ দিন টাটকা এবং তাজা রাখবেন কী ভাবে? ১) সবজি কাটার পর শুকনো পাত্রে রেখে দিন সেগুলি। বেশি দিন রাখতে চাইলে সব সময় শুকনো কৌটো কিংবা কোনও পাত্রে রাখুন। পানি লাগলে সবজি বেশি দিন টাটকা, তাজা রাখা যাবে না। ২) সমস্ত সবজি আলাদা আলাদা পাত্রে কেটে রাখুন। কুমড়ো, পেঁয়াজকলি, বিন্স, গাজর— সব কিছু আলাদা আলাদা পাত্রে রাখুন। টমেটো আর শাক ভুলেও একই পাত্রে রাখবেন না। ৩) কাটার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন। তবে সবজি কাটার পর আর ধোয়া যাবে না। কারণ, ধোয়ার পর রেখে দিলে সবজি নিজস্ব আর্দ্রতা চলে যায়। নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তা ছাড়া সবজিগুলি একটা জিপলক ব্যাগে ভরেও রাখতে পারেন। রান্নার জন্য কেটে রাখা সবজি দীর্ঘদিন টাটকা রাখবেন যেভাবে সকালের নাস্তা এড়িয়ে যেসব বিপদ ডেকে আনছেন ৪) বায়ুনিরোধক বাক্সে কাটা সবজিগুলি ভরে রাখুন। কেটে রাখা সবজিগুলি হাওয়ার সংস্পর্শে এসে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যে হেতু বেশ কিছু দিন সংরক্ষণের পরিকল্পনা আছে, তাই এমন পাত্রে রাখাই শ্রেয়। ঢাকাওয়াচ/স

কে হতে চান ‘সেরা রাঁধুনী’
জীবনে ভালো থাকা ও বেঁচে থাকার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন শখের কাজ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শখের কাজ করার মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন মানসিক সমস্যার সঙ্গে নিজে নিজে মোকাবিলা করতে শেখে এবং নিজের ও জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করে। শখের বিষয়বস্তু বিভিন্ন রকম হতে পারে। নাচ-গান করা, কবিতা বা গল্প-উপন্যাস পড়া ও লেখা, দেশ-বিদেশের খাবার রান্না করা ও খাওয়া, খাওয়ানো, ফ্যাশন ডিজাইনিং, মেকাপ আর্ট করা, বাগান করা, ভ্রমণ, নাচ, চিত্রাঙ্কন, শরীর চর্চা, খেলাধুলা করা ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের কাজ শখের বিষয়বস্তু হতে পারে। শখকে মাথায় রেখে নারী কেন্দ্রীক বিশেষ ম্যাগাজিন ‘ওমেন বাংলাদেশ’ মে মাসের সংখ্যা সাজাতে যাচ্ছে ‘শখের রেসিপি’ দিয়ে। কথায় বলে না শখের তোলা আশি টাকা। তো প্রিয় শখের খাবার রান্না করে শখ মেটানোর পাশাপাশি রান্নায় শ্রেষ্ঠ অবদানের জন্য আপনিও হতে পারেন শ্রেষ্ঠ ‘কালিনারী কুইন’। রন্ধনশিল্পে অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ সেরা ১০ জনকে সম্মননা জানাবে ‘ওমেন বাংলাদেশ’। জমকালো আয়োজনের মধ্যেদিয়ে সেরাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সম্মাননা স্মারক ও মূল্যবান পুরস্কার। এছাড়া বর্ণীল ম্যাগাজিনে ছাঁপানো হবে আপনার রেসিপি। অনুষ্ঠানে তারকা, রন্ধন বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন শোবিজের বরেণ্য শিল্পীরা। কালিনারী কুইন’ অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার থাকবে ‘যমুনা টিভি’ নেক্সাস টিভি, ‘দৈনিক সমকাল’ দৈনিক দেশ রূপান্তর, ইংরেজি পত্রিকা ‘ডেইলি এশিয়ান এইজ’ পিআর পার্টনার হিসেবে থাকবে ‘টপ চয়েস পিআর। তো আর দেরি না করে আজই পাঠিয়ে দিন আপনার প্রিয় শখের রেসিপির ছবি বর্ণনা। রেজিস্টেশন চলবে ৫ মে পর্যন্ত হট- লাইন: 880 1762-548414, 01675123851 ইমেল- [email protected] প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঢাকাওয়াচ/স

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না ১০০ রেসিপির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত
ডেস্কঃ ধানমন্ডির ওমেন ভলান্টিয়ারি এসোসিয়েশন (ডব্লিউভিএ) মিলনায়তনে ৭ জানুয়ারি শনিবার বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না, ১০০ রেসিপি চতুর্থ খণ্ড বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, এমপি, বিশেষ অতিথি জাকিয়া পারভীন খানম মনি, এমপি, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান মারুফ, বাংলাদেশ কুকিং এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক ও রন্ধনশিল্পী মেহেরুন্নেসা। নাহার কুকিং ওয়ার্ল্ড ও আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করেছে- টপার কিচেনওয়্যার এবং সেভরি ফুড লিমিটেড। রন্ধনশিল্পীরা বইটির সম্পাদক, অনুষ্ঠানের আয়োজক ও অতিথিবৃন্দের জন্য পিঠা, কেক, মিষ্টিসহ বিভিন্ন পদের খাবারের ডালা নিয়ে এসেছিলেন। প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজক নাহার কুকিং ওয়ার্ল্ড ও আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশন। প্রকাশনা অনুষ্ঠান পরিণত হয়েছিল রন্ধনশিল্পীদের শিল্পীদের মিলনমেলায়। সারাদেশের ৪০ জন রন্ধনশিল্পীকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ সম্মাননা। সোনিয়া সিমরানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক আলোকিত নারী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি শারমিন সেলিম তুলি বক্তব্যে বলেন- ‘বাংলাদেশের তৃণমূলে যে নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে তার প্রমাণ আজকের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া নারীরা। তারা শুধু নিজেরা পরিশ্রম করে রেসিপি সংগ্রহ করে বসে থাকেনি, তা প্রকাশ করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আয়োজন করেছেন। রন্ধনশিল্পীদের তৈরি করা এসব খাবার সারাদেশে বেচা হচ্ছে অনলাইনে। ঘরে বসে কাজ করে আজকের দিনের নারীরা অর্থ উপার্জন করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছেন।’ তিনি বলেন- নারীদের উদ্যোগ আরও সফল করার জন্য একজন নারীর পাশে আরেকজন নারীকে থাকতে হতে। তাহলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আরও সফলতা আসবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাকিয়া পারভীন খানম মনি, এমপি বলেন- ‘বাংলাদেশের নারীরা রান্নাকে শিল্পের মর্যাদা দিয়েছেন আগেই। একালের নারীরা রান্নাকে লাভজনক ব্যবসায় রূপান্তর করেছেন।’ ব্যবসায়ী হাসান মারুফ তার বক্তব্যে বলেন- ‘রন্ধনশিল্পী হিসেবে নারীরা এখন শুধু বাংলাদেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রতিযোগিতা করে সেরা নির্বাচিত হচ্ছেন। এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য গর্বের বিষয়।’ তিনি বলেন- ‘আমরা এখন যে অফিসে বসে ঘরের খাবার খাই, তা সম্ভব হয়েছে নারী উদ্যোক্তা ও রন্ধনশিল্পীদের জন্য। তারা ঘরে তৈরি করা খাবার অফিসে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন নিজ নিজ উদ্যোগে।’ প্রধান অতিথির বক্তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন- নারীর স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে বর্তমান সরকার। সে জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীদের অগ্রগতির জন্য ও কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এসব উদ্যোগের সুফল পাচ্ছেন বর্তমানের নারীরা।’ শুধু লাভের চিন্তা না করে খাবারের যথাাযথ মান বজায় রেখে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে খাবাবের ব্যবসার সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য নারী উদ্যোক্তা ও রন্ধনশিল্পীদের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ জানান তিনি। অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও দর্শকবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বইটির সম্পাদক হাসিনা আনছার বলেন- ‘বইটি সম্পাদনা করার কাজটি সত্যি কঠিন ছিল। কারণ সারাদেশ থেযে যেসব রেসিপি এসেছে, প্রতিটি রেসিপি ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্বাদের। তারপরেও অনেক রেসিপি বাদ দিতে হয়েছে সীমাবদ্ধতার কারণে। সারাদেশের রন্ধনশিল্পীদের আগ্রহের কথা ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের প্রতি মানুষের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে এ উদ্যোগ অব্যাহত রাখবেন বলে জানান তিনি প্রকাশনা উৎসবে নারীদের উদ্যোগ ও অর্জনে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন- রন্ধনশিল্পী নিপা রাজ্জাক, কানিজ ফেরদৌসি, জান্নাতুল ফেরদৌস, মুসারাত জাহান রিমা, মুম্মুন আক্তার, রোজী মজুমদার, শাহেরা আনসার, শম্পা সরকার, রোজী সিদ্দিক, সোনিয়া সিমরান, অগনিস গোমেজ, শর্মিলা জেসমিন তুলি, ফারজানা রহমান তানিয়া, আয়েশা ইরা, ইভা মোরশিদা, হাফিজা সুলতানা মনি, হামিদা বেগম, হেলেন বওয়ার, হুমায়রা কবির সোমা, হুরে জান্নাত, সোমা কঙ্কাবতী, সুরাইয়া আব্দুল, তাহমিনা আমিন রোজী, তাহসিনা সালেহ, জিনিয়া ইসলাম, ইফাত আরা, জাহানারা আক্তার নিলা, কানিজ রুনা, কোহিনুর বেগম, মাহিনুর করিম, মুনা লিজা, নামিরা খানম, নাসরিন নওরোজ স্বপ্না, রায়হানা ইয়াসমিন, রাজিয়া সুলতানা, সাজেদা রুমা, সামিরা শাম্মি, সানজিদা পারভীন, ডলি ইসলাম, কানিজ ফাতেমা রুমা। নারী উদ্যোক্তা ও রন্ধনশিল্পীদের বিশেষ সহযোগিতা ও নারী উদ্যোক্তাদেও অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন এনটিভির অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা, মিরপুর কার হাট এর ম্যানেজিং পার্টনার মোহাম্মদ হাসান মারুফ, রন্ধনশিল্পী কানিজ ফেরদৌসী, নিপা রাজ্জাক, ইউটিউবার রোজী সিদ্দিক, বাংলা কুইজিন এর মুশাররাত জাহান রিমা, পিঠা শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস, আরেবিয়ায়ন ফুড আব্দুল্লাহ ফিউশন ফারজানা রহমান তানিয়া, শেফ ইউনিটি এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর শেফ আহসান হাবীব, পারভীন আক্তার পান্না, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন এর সাধারণ সম্পাদক খন্দকার তানিয়া পারভীন, বাংলাদেশ বডি বিল্ডিং ফেডারেশন এর বিচারক আসিফ বাবু, মুখরোচক এর স্বত্ত্বাধিকারী আয়শা ইরা, উডান ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান সোনিয়া সিমরান, কো চেয়ারম্যান শারমিন কাদের নামিরা, এটিএন বাংলার অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক লানা খান, পুষ্টিবিদ মোঃ এরশাদ খান সালমা, একুশে টেলিভিশন এর সিনিয়র প্রযোজক রুশো রাকিব, অনুষ্ঠান প্রযোজক সোহেল রানা সবুজ, উই ক্যান এর এডমিন ফাহদ হোসেন, তানিয়াস ডায়েট ফুড এর জাহিন আক্তার, এটিএন বাংলার অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক শম্পা মাহমুদ, গাজী টেলিভিশনের ক্রিয়েটিভ এন্ড কনটেন্ট ডেভেলপার জাহিদ মাহমুদ, আফরোজা আহমেদ জবা, নারী তুমি অনন্যা ফাউন্ডেশনের সভাপতি, জিগজ্যাগ কার এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা কে এম আমিনুর রহমান, মাদার্স কিচেন এর নির্বাহী পরিচালক মুরাদ দেওয়ান, রোজ কিচেন এর স্বত্ত্বাধিকারী তাহমিনা আহমেদ রোজী, রন্ধনশিল্পী সম্পা সরকার, দীপ্ত টেলিভিশনের অনুষ্ঠান প্রযোজক সাইফর রহমান সুজন, গৃহ সুখন এর চেয়ারম্যান রিমা জুলফিকার, বেকিং এন্ড কুকিং ক্লাব বাই মুন গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠাতা শারমিন আক্তার, ডলি’স বেকারি প্রতিষ্ঠাতা নাজমা ইসলাম (ডলি), বাংলার বীর ফাউন্ডেশন ও সমীকরণ আদর্শ সাংস্কৃতিক সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদদক মো: মাসুদ রানা ও রন্ধনীশিল্পী কোমার আফজা লিজা। ঢাকাওয়াচ/স

হাসিনা আনছারের বই ‘বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না’
ডেস্কঃ রন্ধনশিল্পী হাসিনা আনছারের সম্পাদনায় প্রকাশিত হচ্ছে ‘বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রান্না ১০০ রেসিপি’। এর আগে বইটির তিনটি খন্ড প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে সারা দেশের রন্ধন শিল্পীদের পাঠানো রেসিপি থেকে নির্বাচিত ১০০ রেসিপি থাকছে। আগামী অমর একুশে গ্রন্থ মেলায় বইটি প্রকাশিত হবে। সারাদেশের রন্ধনশিল্পীদের পাঠানো রেসিপির সাথে রেসিপির ছবি থাকছে বইটিতে। নতুন চতুর্থ খন্ডের সাথে চাইলে আগের ৩ টি খন্ড সংগ্রহ করা যাবে। এ বিষয়ে রন্ধনশিল্পী হাসিনা আনছার বলেন, ঐতিহ্যবাহী খাবার বলতে একটি অঞ্চলে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য সেটাকেই ঐতিহ্যবাহী খাবার বলে গণ্য করে থাকি। সারা পৃথিবীতে ঐতিহ্যবাহী খাবারের রয়েছে আলাদা সম্মান। তেমনি বাংলাদেশের সকল জেলায় আছে ঐতিহ্যবাহী খাবার।সারাদেশের রন্ধনশিল্পীদের পাঠানো অসংখ্য রেসিপি থেকে ১০০ সেরা রেসিপি নির্বাচন করার কাজটি অনেক কঠিন ছিল। কারণ যারা রেসিপি পাঠিয়েছেন, প্রত্যেকের রেসিপি ছিল অসাধারণ। তারপরেও বাধ্যবাধকতার কারণে সেরা ১০০ রেসিপি নির্বাচন করতে হয়েছে। হাসিনা আনছার আরো বলেন, ভোজন প্রিয় মানুষদের আগ্রহের কারণে এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে ৩টি খন্ড। ১০টি খন্ড প্রকাশ করার ইচ্ছে আছে। যারা নতুন রান্না শিখছেন, যারা সারাদেশের রেসিপি ঘরে তৈরি করতে চান, দেশ-বিদেশে যারা গ্রামীণ রেসিপি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী, তাদের জন্য বইটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের খাবারও সারাবিশ্বে নিজের অস্তিত্ব ঘোষণা করবে এটাই আমার প্রত্যাশা। ঢাকাওয়াচ/স

যেভাবে রান্নায় গ্যাস সাশ্রয় করবেন
দিন দিন নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। বৈদ্যুতিক বিল থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাসের কোনো কিছুই যেন আয়ত্তে থাকছে না। বিশেষ করে রান্নার গ্যাস যেন মাস ফুরনোর আগেই ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাহলে উপায়? কয়েকটি সহজ উপায় জানা থাকলে রান্নার গ্যাস সাশ্রয় করতে পারেন। আসুন কিছু উপায় জেনে নিন—*নিয়মিত খেয়াল করবেন পাইপ, রেগুলেটর বা বার্নারে কোনো লিক হচ্ছে কি না। ছোটখাটো লিকও যদি চোখ এড়িয়ে যায়, তাহলে পরে বিপদে পড়বেন আপনিই। * ফ্রিজে রাখা দুধ গরম করার এক ঘণ্টা আগে বাইরে বার করে রাখবেন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে তখন চুলায় গরম করুন। * ফ্রিজে রাখা সবজি, মাছ-মাংসও রান্না করার দুই ঘণ্টা আগে বার করে রাখুন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসার পরে রান্না করুন। তাহলেই দেখবেন গ্যাস সাশ্রয় হচ্ছে অনেকটাই। * বার্নার সাফ করুন নিয়মিত। কুসুম গরম পানিতে ন্যাকড়া ভিজিয়ে ঘষতে পারেন বার্নার। তাতেও সমস্যা দূর না হলে ডাকতে হবে এ বিষয়ে দক্ষ কর্মীদের। বার্নার অপরিচ্ছন্ন থাকলে গ্যাস খরচও বাড়বে। * যেকোনো পাত্রের ক্ষেত্রেই আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করলে অনেকটা গ্যাস বাঁচে। খুব বেশিক্ষণ সিদ্ধ হতে লাগবে রান্না প্রেশার কুকারে করে নিতে পারেন। * প্রতিটি পদ রান্নার আগে আলাদাভাবে পানি ফোটাবেন না। একবারেই বেশি পানি ফুটিয়ে নিন। তারপর ফ্লাস্কে রেখে দিন। রান্নার সময়ে ব্যবহার করুন সেই পানি। এতে গ্যাসের খরচও কিছুটা বাঁচবে। * চায়ের পানি গরম করতে হলে ইলেকট্রিক কেটল ব্যবহার করুন। * বাড়িতে মাইক্রোওয়েভ থাকলে খাবার গরম করার জন্য আর বাড়তি গ্যাস খরচ হবে না। *যখন যা-ই রান্না করবেন, ঢাকা দিয়ে করুন। ভাপে রান্না দ্রুত হয়। ফলে একই পদ রান্না করতে কম সময় লাগবে। এতে কম গ্যাসও খরচ হবে। *তামা বা স্টেনলেস স্টিলের পাত্র বেশি ব্যবহার করুন। তাতে রান্না দ্রুত হবে। ফলে গ্যাসও সাশ্রয় হবে।