
এক বছরের সংগ্রাম ও প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে ইরান বিশ্ব পরিসরে নতুন বিশ্বাসযোগ্যতা ও গুরুত্ব অর্জন করেছে—এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি। তার মতে, ঈমান, ঐক্য ও আত্মবিশ্বাসের শক্তিতেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
খামেনি বলেন, আমেরিকান সেনাবাহিনীর তীব্র আগ্রাসন এবং এই অঞ্চলে তাদের অপমানজনক উপস্থিতি শেষ পর্যন্ত ইরানি তরুণদের উদ্যোগ, সাহস ও আত্মত্যাগের কাছে পরাজিত হয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইউরোপের ইউনাইটেড ইসলামিক স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা উপলক্ষে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা উল্লেখ করেন, দেশটির বিরুদ্ধে সৃষ্ট অস্থিরতার মূল কারণ পারমাণবিক ইস্যু নয়; বরং তা এসেছে অন্যায্য বৈশ্বিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এবং ন্যায়ভিত্তিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি থেকে।
তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞানী, সামরিক কমান্ডার ও প্রিয়জনদের শাহাদাতের বেদনা ইরানি তরুণ সমাজকে দমিয়ে রাখতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না। বরং শহীদদের পরিবারগুলো এই প্রতিরোধ আন্দোলনের অগ্রসেনানীদের কাতারে রয়েছে।
বিদেশে অবস্থানরত তরুণদের উদ্দেশে খামেনি বলেন, তারাও এই ঐতিহাসিক দায়িত্বের অংশ। স্রষ্টার প্রতি হৃদয় সমর্পণ করে নিজেদের সক্ষমতা উপলব্ধি করতে এবং সংগঠনগুলোকে সঠিক পথে পরিচালিত করার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আল্লাহর সহায়তায় পূর্ণ বিজয় একদিন নিশ্চিতভাবেই আসবে।