
যুক্তরাজ্যে এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু ভিডিও শিক্ষার্থীদের দেখানোর কারণে ‘সন্ত্রাসীর সঙ্গে তুলনা’ করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
পঞ্চাশের কোঠার ওই শিক্ষক ‘যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি’ বিষয়ক ক্লাসে ১৭-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানসহ প্রচারণার ভিডিও দেখান। পরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তিনি শিশুদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছেন, তাদের উগ্রপন্থী করে তুলেছেন এবং মানসিকভাবে ক্ষতি করেছেন।
শিক্ষক দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, “এ-লেভেলের শিক্ষার্থীদের কাছে ভিডিও দেখানোর পর আমাকে একজন সন্ত্রাসীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং ডিস্টোপিয়ান—যেমন জর্জ অরওয়েলের কোনো উপন্যাস।”
শিশু সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কর্মকর্তারা পরামর্শ দেন, ভিডিও দেখানো একটি ‘ঘৃণামূলক অপরাধ’ হিসেবে গণ্য হতে পারে। অভিযোগের কারণে ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে শিক্ষকতা করা এই শিক্ষকের কলেজ থেকে পদত্যাগ করতে হয়।
ঘটনাটিকে ব্রিটিশ ফ্রি স্পিচ ইউনিয়ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যাখ্যা করছে। তাদের মতে, খুনি ও ধর্ষকের হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে তৈরি আইনগুলো এখন ভুলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শিক্ষককে চুপ করানোর জন্য শিশু সুরক্ষা আইনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
শিক্ষক আরও বলেন, “আমরা মার্কিন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছিলাম। ট্রাম্প তখন জয়ী হয়েছেন এবং আমি তার কিছু প্রচারণার ভিডিও দেখাই। এরপরই পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠে। একজন ছাত্র দাবি করে যে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং দুঃস্বপ্ন দেখেছে।”
তিনি কলেজটিকে ‘সম্পূর্ণ বামপন্থী পক্ষপাতদুষ্ট’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “তারা ট্রাম্প সম্পর্কে কিছুই সহ্য করতে পারে না।”