ইসকনকে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না


November 25/Iskon India.jpg

ইসকনকে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউস।

তিনি বলেছেন, ‘ইসকন মানেই সনাতনী নয়, ইসকনকে সনাতনী সংগঠন বলে প্রচার করায় আজ দেশের এই পরিস্থিতি। বাংলাদেশের মাটিতে বসে ইসকনকে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।’  

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে শোকসভা ও সম্প্রীতি সমাবেশে আবদুল হান্নান এই হুঁশিয়ারি দেন।

এতে আবদুল হান্নান মাসউদ আরো বলেন, ‘ইসকন মানেই সনাতনী নয়, তার প্রমাণ পুরান ঢাকার স্বামীবাগের সনাতনীদের মন্দির দখল করে নিয়েছে ইসকন, সিলেটে রথযাত্রায় হামলা করেছে, বিভিন্ন এলাকায় সনাতনীর জমি দখল করে নিয়েছে। আপনারা সব মিডিয়া ইসকনের প্রোগ্রামকে সনাতনীদের প্রোগ্রাম বলে প্রচার করেছেন। আপনারা কী মনে করেন, ইসকন মানেই সনাতনী? তাহলে হাজার হাজার সনাতনী ভাই-বোনেরা যারা ইসকনের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে তারা কারা!’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে বসে দিল্লির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। ইসকনকে সনাতনী সংগঠন হিসেবে প্রচার করার কারণেই আজকের এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’

ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশেকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় লিপ্ত উল্লেখ করে সংগঠনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর সংখ্যালঘু কার্ড খেলা শুরু করেছে। তারা দেখাতে চাচ্ছে, বাংলাদেশে একটি ইসলামি বিপ্লব হয়েছে। ভারত সেই দেশের মিডিয়া ও সরকারের মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিৎ ছিল- ক্ষমতায় বসার পর বিষয়গুলো সারা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার করা। দেশে গণতান্ত্রিক বিপ্লব হয়েছে। সরকার এখনও জুলাই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করেনি। বিচার শুরু করেনি। গ্রেফতার করলে আজকে চট্টগ্রামে নাসিরের লোকজন ইসকনের সাঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করতে পারত না।’

কেন্দ্রীয় সদস্য নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘ভারতের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু, একমাত্র বিজেপি সরকার শেখ হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ষড়যন্ত্র করে চলছে। ভারতকে বলতে চাই, আপনারা আপনাদের গদি বাঁচান; বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর দরকার নাই।”

এ সময় অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় সদস্য মাহিন সরকার, সিনথিয়া জারিন আয়েশা, রফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও সম্প্রীতি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×