ঢাবিতে রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে কনফারেন্স রোববার
- শিক্ষা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:৪৭ পিএম, ২০ জুন ২০২৫

রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে দুই দিনব্যাপী প্রথম পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স আগামী রোববার (২২ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হতে যাচ্ছে।
‘দ্য স্টেট রিফর্মস অ্যান্ড ইলেকশন ডিসকোর্স ইন ট্রানজিশনাল ডেমোক্রেসিস: ফ্রম মাস আপরাইজিং টু ইলেকশন অ্যান্ড স্টেট বিল্ডিং’ শীর্ষক এ কনফারেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের প্রফেসর মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনের প্রথম দিন বিকেল ৫টায় কনফারেন্সের মূল প্রবন্ধ (কী-নোট) উপস্থাপন করবেন জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ।
উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। এছাড়া ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. আমানুল্লাহ এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন।
প্রথম দিনের বিভিন্ন সেশনে চেয়ার ও আলোচক হিসেবে অংশ নেবেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেনসহ আরও অনেকে। দ্বিতীয় দিনে সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্য রাখবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন যৌথভাবে আয়োজন করছে শ্যাডো রিফর্ম কমিশন, শ্যাডো ন্যাশনাল কনসেনসাস কমিশন এবং পলিটিক্যাল অ্যান্ড পলিসি সায়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার (২০ জুন) বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক কাজী মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এই কনফারেন্সে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও অন্যান্য বিষয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা তাঁদের গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এসব প্রবন্ধ রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন ঘিরে চলমান সংকট বিশ্লেষণ করে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ খুঁজে পেতে সহায়ক হবে।
সম্মেলনের দুই দিনে থিমেটিক সেশনের পাশাপাশি থাকবে সিভিল সোসাইটি সেশন ও পলিটিকাল পার্টি সেশন, যেখানে শ্যাডো সংস্কার কমিশনের বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে মতবিনিময় করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা প্রাইমারি ডাটা সংগ্রহের মাধ্যমে এই কনফারেন্সের ভিত্তি তৈরি করেছে। সংস্কারের রূপরেখা নির্ধারণ এবং বাস্তবায়ন- উভয়ই চ্যালেঞ্জিং। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এমনভাবে কাজ করা, যাতে জনগণ সেই সংস্কারে ন্যায্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা খুঁজে পায়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক এ. কে. এম. মতিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ বহু মানুষের আত্মত্যাগে অর্জিত। ৫ আগস্টের ঘটনাও সেই আত্মত্যাগের প্রমাণ। দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ জনগণ তরুণ। এই তরুণ প্রজন্মকে দক্ষভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
কনফারেন্সে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়েরও সুযোগ থাকবে, যা শ্যাডো সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবনার বাস্তব প্রয়োগ ও প্রতিফলন বুঝতে সহায়তা করবে।