আমাদের আন্দোলন চলবে, ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির পর সমন্বয়ক


News Defalt/undonlon.jpg

টানা ৪-৫ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে হেফাজতে থেকে অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার ছাড়া পেয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক। গত কয়েক দিনে তাদের ভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছিল। শুধু কনফারেন্স ও খাওয়ার জন্য তাদের এক জায়গায় নেওয়া হলেও, গত ৩২ ঘণ্টা যাবৎ তারা প্রত্যেকেই অনশন করেছেন বলে জানিয়েছেন মুক্ত হওয়া অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

ডিবি কার্যালয় ছাড়া পাওয়া ৬ সমন্বয়ক হলেন—নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের, নুসরাত তাবাসসুম, সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে সমন্বয়কের স্বজনদের উপস্থিতিতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা নিজেদের গাড়িতে করে তাদের বাসায় পৌঁছে দেয়। 

ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির পর হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকের এক পোস্টে তাদের এই আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া শেষ ব্যক্তিটি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন।

তিনি লিখেন, এই আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া শেষ ব্যক্তিটি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউই মুক্ত নই। এই গণগ্রেফতার গণঘৃণার নামান্তর। আমাদের মুক্তি তখনই সম্পূর্ণ হবে, যখন এই আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া শেষ ব্যক্তিটিও মুক্তি পাবেন। এই গণগ্রেফতার কেবল নিরপরাধ মানুষের অধিকার হরণ নয়, বরং আমাদের সমগ্র সমাজের উপর চাপিয়ে দেওয়া একটি নিষ্ঠুরতার প্রতিফলন। 

তিনি আরও লেখেন এটি মুক্তচিন্তা ও মানবাধিকারের প্রতি এক ভয়ানক আঘাত। আমাদের এই আন্দোলন শুধুমাত্র ব্যক্তির মুক্তির জন্য নয়, বরং বৈষম্য, নিপীড়ন, গণগ্রেফতার এবং ছাত্র নির্যাতনের বিরুদ্ধে। এই আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া শেষ ব্যক্তিটি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

এদিকে, গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা ৩২ ঘণ্টা অনশনে ছিলাম। আমাদেরকে আলাদা-আলাদাভাবে ছেড়েছে কিছুক্ষণ আগে। আমি গ্রামের দিকে যাচ্ছি। ডিবি থেকে আমাদেরকে গাড়ি দিয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ডিবিতে ছয়জন আমরা একসঙ্গে ছিলাম না। খাওয়ার সময় এবং কনফারেন্সের সময় আমাদের দেখা হয়েছে। সেখানেও আমাদের সবার কথা-বার্তা হয় নাই। বিষয়গুলো নিয়ে আমরা একসঙ্গে বসে কথা বলব।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×