
ইসলামী ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকটের কারণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দেশে চালু শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকগুলোর প্রায় সব সূচকে অবনতি ঘটেছে। আমানত ও তারল্য কমেছে আগের চেয়ে বেশি।গত তিন মাসে ব্যাংকগুলোর তারল্য কমেছে ৯৮ শতাংশ।এ অবস্থার জন্য ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের অভাব ও অনিয়মকে দায়ী করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।প্রতিবেদন বলা হয়, ইসলামী ব্যাংকগুলো বর্তমানে যে তারল্য সংকট মোকাবিলাা করছে, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে- ব্যাংকগুলোতে ঘটে যাওয়া কিছু অনিয়ম ও সুশাসনের অভাব। সুতরাং ইসলামী ব্যাংকগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। এটি করা হলে ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়বে। তখন বিদ্যমান সংকট মোকাবিলা করাও সহজ হবে।কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে ব্যাংকগুলোকে মনোযোগী হতে পরামর্শ দিয়েছে।প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত জুনে আমানতের স্থিতি ছিল ৪৪ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে ৮ হাজার ৪২ কোটি টাকা বা প্রায় ২ শতাংশ। বিনিয়োগের স্থিতি বেড়েছে মাত্র দশমিক ৪২ শতাংশ। বিনিয়োগ কমায় আমানত ও বিনিয়োগের অনুপাত কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।গত জুনে অতিরিক্ত তারল্য ছিল ১০ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৬১ কোটি টাকা। তিন মাসে অতিরিক্ত তারল্য কমেছে ১০ হাজার ২২৯ কোটি টাকা বা সাড়ে ৯৮ শতাংশ।তবে রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স ও আমদানি বেড়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো বৈদেশিক বাণিজ্যে ভালো করছে।এদিকে আর্থিক দুর্বলতার কারণে শরিয়াহভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংকগুলো প্রচলিত ব্যাংকগুলোর তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে।

আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের এমডি বদলে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
এক দশক পর আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বদলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহর জায়গায় নতুন এমডি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মজিবুর রহমান।‘আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও যথাযথ ব্যবস্থাপনার’ স্বার্থে সাময়িকভাবে মজিবুর রহমানকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান।এক দশক ধরে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহর পুনর্নিয়োগের আবেদন নাকচ হলেও দায়িত্ব ছাড়ছিলেন না তিনি।তদন্তে অনিয়ম-দুর্নীতির ‘প্রমাণ পাওয়ার’ যুক্তিতে নভেম্বরে তার পুনর্নিয়োগের আবেদন নাকচ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারপরও তিনি অফিস করছিলেন।ব্যাংকের কর্মকর্তারা বুধবার বিক্ষোভ করে শফিক বিন আবদুল্লাহকে পদ ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। এরপর বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন এমডি ঠিক করে দিল।এ বিষয়ে মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁইছুঁই
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এক হাজার ৯৯৫ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ডলার বা ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী এ রিজার্ভ হিসেব করা হয়। বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৪৯৪ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার ডলার।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক হিসাবায়ন পদ্ধতি (বিপিএম৬) অনুসারে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এই মুহূর্তে এক হাজার ৯৯৫ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ডলার বা ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৪৯৪ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার ডলার।মূলত, রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমটি হলো বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহজ শর্তের ঋণ, বিমান ক্রয়ে সোনালী ব্যাংককে দেওয়া ঋণসহ বেশ কয়েকটি তহবিল। দ্বিতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে একটি তহবিল।এর বাইরে রয়েছে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ। বর্তমান যা ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা নিচে। দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ রিজার্ভ এখন প্রায় চার মাসের আমদানি মূল্য মেটানোর অবস্থায় রয়েছে।

পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে ন্যাশনাল ব্যাংকের লেনদেন
আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে ন্যাশনাল ব্যাংক। কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার হালনাগাদ করার উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক বন্ধ রাখা হবে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে জানানো হয়, ওই পাঁচ দিন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। প্রসঙ্গত, আগামী বছরের শুরুতে পাঁচ দিন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লেনদেনও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। এ সময়ে ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথ থেকে কোন সেবা পাবেন না ব্যাংকটির গ্রাহকরা। তবে, ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের লেনদেন চালু থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার হালনাগাদ করার জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মূল ব্যাংকিং সেবা আগামী ১-৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে ব্যাংকটির কোন গ্রাহক শাখায় যেমন লেনদেন করতে পারবেন না, তেমনি ব্যাংকটির এটিএম বুথ থেকেও টাকা তুলতে পারবেন না। এ ছাড়া, ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট সাত দিন বন্ধ থাকবে। তবে, এই বন্ধের মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি ও বছরের প্রথম দিন হিসেবে ব্যাংক হলিডে রয়েছে। সেই হিসেবে মূলত ডাচ-বাংলা ব্যাংকের স্বাভাবিক লেনদেন বন্ধ থাকবে দুই দিন। বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি বুধবার ব্যাংক হলিডে। ৩ ও ৪ জানুয়ারি শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ফলে, মূলত ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ও ৫ জানুয়ারি রোববার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকবে। কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার হালনাগাদ করতে ব্যাংক বন্ধ রাখার বিষয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা হয়। তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সম্মতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ
এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ১২৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহীম মিয়া বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন। ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের এ আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. আবু সাঈদ। আবেদনে বলা হয়, ‘এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির বিভিন্ন শাখার ১২৫টি হিসাবে জমা করা ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৯১ টাকা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২’-এর ১৪ ধারা অনুযায়ী অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। এসব হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক।’ আবেদনে আরও বলা হয়, ‘এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপনের উদ্দেশ্যে ব্যাংক হিসাবগুলোতে জমা রেখেছেন। যে কোন সময় এ অর্থ উত্তোলন করে বিদেশে পাচার বা গোপন করার সম্ভাবনা রয়েছে।’

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মধুবাগ উপশাখা উদ্বোধন
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির মৌচাক শাখার অধীন মধুবাগ উপশাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মধুবাগে এ উপশাখা উদ্বোধন করা হয়। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল এ উপশাখার উদ্বোধন করেন। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও ঢাকা সেন্ট্রাল জোনপ্রধান মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি মাওলানা সাদিকুর রহমান আযহারী। স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মৌচাক শাখাপ্রধান মো. আশরাফ আলী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মধুবাগ উপশাখার ইনচার্জ মুহাম্মদ আনোয়ারুল কবির। অনুষ্ঠানে গ্রাহক ও অতিথিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দিন, কাজী মোহাম্মদ দাউদ ও ফারুক আহমেদ ভুঁইয়া, সাংবাদিক মো. আবুল হোসেন চৌধুরী, সমাজসেবক আবদুল হাই সবুজ, নাজমুল হক মাসুম, খন্দকার রুহুল আমিন ও মো. ইউসুফ আলী মোল্লা এবং শেরেবাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ফেরদৌস আরা রাজ্জাকী। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ‘৪২ বছরের পথচলায় ইসলামী ব্যাংক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শরী’আহ ভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে দুই কোটি ৪৫ লাখ গ্রাহক সরাসরি ইসলামী ব্যাংকে হিসাব চালাচ্ছে। আর্থিক পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি মানবকল্যাণ ও সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড চালানোর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক গণমানুষের কাছে ইতিবাচক পরিচিতি লাভ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকের শাখায় প্রদত্ত সব সেবা উপশাখাগুলোতেও দেয়া হয়।’ তিনি মধুবাগ এলাকার জনগোষ্ঠীর চাহিদা ও গুরুত্ব বিবেচনা করে ইসলামী ব্যাংকের গুণগত ও মানসম্মত ব্যাংকিং সেবা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন।

আইএমএফ চাইলেও বিদ্যুতের মূল্য বাড়বে না: জ্বালানী উপদেষ্টা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চাইলেও বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হবে না। তবে, দুর্নীতি বন্ধ করে উৎপাদন খরচ কমিয়ে বিদ্যুতে ভর্তুকি কমানো হবে।’ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সরকারের এ কৌশলে আইএমএফও সম্মত বলে জানান তিনি। এ দিকে, চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের জন্য চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ের বিষয়টি আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হবে। বোর্ডে অনুমোদন হলে ১০ ফেব্রুয়ারি তা ছাড় করা হবে বলে জানা গেছে। চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে গেল ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে আসে। মিশন শেষে আজ বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। দীর্ঘ দিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা আইএমএফের ধারণার চেয়েও বহু বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আইএমএফ। অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি ও ব্যাংক খাতের সংস্কার চলমান রাখতে হবে।’ ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংস্কারেই গুরুত্ব দিচ্ছে আইএমএফ।’ আর্থিক খাতের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সঠিকভাবে খেলাপিঋণ চিহ্নিত করতে হবে। আর্থিক খাতে পুনর্গঠনের জন্য করতে হবে রোডম্যাপ।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসনের প্রতিও জোর দেন তিনি। জানা যায়, আইএমএফের শর্ত পূরণ করে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) শেষে নিট রিজার্ভ ১৫ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। যেখানে ডিসেম্বর পর্যন্ত দাতা সংস্থাতির লক্ষ্য ছিল ১৫ দশমিক তিন বিলিয়ন ডলার।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের নতুন এএমডি রাফাত উল্লা খান
বিশিষ্ট ব্যাংকার মো. রাফাত উল্লা খান আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ও চিফ রিস্ক অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ব্যাংকিং খাতে তার ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে।আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি এনসিসি ব্যাংক পিএলসির উপব্যাবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি), সিআরও ও ক্যামেলকো হিসেবে কর্মরত ছিলেন।রাফাত উল্লা খান ১৯৯৪ সালে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির প্রথম ব্যাচের প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তী তিনি ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ ও নেতৃত্ব স্থানীয় পদে কর্মরত ছিলেন। ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন শাখা ও প্রধান কার্যালয় জুড়ে ইসলামী ও প্রচলিত ব্যাংকিং উভয় ক্ষেত্রেই ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, কর্পোরেট ব্যাংকিং, প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট ও প্রসেস অ্যান্ড পলিসি মেকিংয়ের মত বিস্তৃত ক্ষেত্রগুলোতে তার রয়েছে বৈচিত্রময় কর্মজীবন।রাফাত উল্লা খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া, একটি স্বনামধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে তার পেশাগত দক্ষতা ব্যাপক সম্প্রসারিত হয়। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি নেপাল, থাইল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অসংখ্য সেমিনার ও কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা ফাঁকফোকর খোঁজে, ঠিকমত ট্যাক্স দেয় না: অর্থ উপদেষ্টা
ব্যবসায়ীরা শুধু ফাঁকফোকর খোঁজে। ঠিকমত কর দেয় না। ৫০ কোটি টাকা ব্যবসায় করে চার কোটি টাকা ট্যাক্স দিতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বেক্সিমকো গ্রুপকে টাকা দেওয়া হয়েছে মানবিক কারণে। না হলে শ্রমিকদের বেতন দিতে পারত না। যে চুরি করেছে তাকে শাস্তি দিতে হবে। শ্রমিকদের কষ্ট দেওয়া যাবে না।’ অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘আগামী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটে গরিব মানুষকে করের চাপ থেকে সুরক্ষা দেওয়া হবে।’

আইএমএফের চতুর্থ কিস্তি ছাড়ে বোর্ড সভায় উঠবে ৫ ফেব্রুয়ারি
চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড় করতে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদ বোর্ড সভায় উপস্থান করা হবে। বোর্ডে অনুমোদন হলে ১০ ফেব্রুয়ারি তা ছাড় করা হবে বলে জানিয়েছেন আইএমএফের গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও। চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে গত ৩ ডিসেম্বর থেকে ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে। প্রতিনিধি দলটি তাদের মিশন শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে ক্রিস পাপাজর্জিও এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। দীর্ঘ দিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা আইএমএফের ধারণার চেয়েও বহু বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আইএমএফ, অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি ও ব্যাংক খাতের সংস্কার চলমান রাখতে হবে।’

বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপে আছে, প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩.৮ শতাংশ
বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে আছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বুধবার (১৮ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপে আছে। গণঅভ্যুত্থান, বন্যা ও সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণের কারণে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে সময়মতো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করায় ক্রমান্বয়ে অর্থনীতি স্বাভাবিক হচ্ছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এখনো ধীরগতি ও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ব্যাংক থেকে মূলধন বের হয়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে চাপে ফেলেছে। এছাড়া রাজস্ব আয় কমছে, যদিও বাড়ছে সরকারের ব্যয়ের চাপ। এসব চ্যালেঞ্জ আর্থিকখাতকে দুর্দশার মধ্যে ফেলছে বলে জানিয়েছে আইএমএফ। সংস্থাটি আর জানায়, ঋণের চতুর্থ কিস্তি ছাড় ও বর্ধিত ঋণ দেয়ার বিষয়ে বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর আগে বিকেলে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফের প্রতিনিধি দল।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন
দেশের অন্যতম শীর্ষ রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক হিসেবে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক (এআইবি) পিএলসি ‘রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড – ২০২৪’ অর্জন করেছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে রাজাধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ নাদিমের হাতে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ সরকারের বিভন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও বেশি পণ্য নিয়ে ফের চট্টগ্রাম আসছে সেই পাকিস্তানি জাহাজ
পাকিস্তানের করাচি থেকে ফের চট্টগ্রামে আসছে সেই পাকিস্তানি জাহাজ এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং। প্রথমবার জাহাজটি নিয়ে এসেছিল ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার। ওই হিসাবে এবার দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে আসছে জাহাজটি। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) শিপিং কোম্পানি ও বন্দর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিন মেরিন ভ্যাসেল ট্রাফিক ওয়েবসাইটে (জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান) দেখা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তানের করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রামমুখী জাহাজটি এখন শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি রয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে সর্বশেষ কনটেইনার পণ্য বোঝাই করা হয় জাহাজটিতে। চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছাবে ২০ ডিসেম্বর। ওই হিসেবে ২১ কিংবা ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পণ্য খালাস করবে। পণ্য খালাস করে ২৩ কিংবা ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করবে পাকিস্তানি জাহাজটি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর ৮২৫ টিইইউএস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কনটেইনার একক) কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এবারের জাহাজটিতে ৮২৫ টিইইউএস কনটেইনার পণ্য রয়েছে। এসব কনটেইনার নামিয়ে অন্তত ১২০০ টিইইউএস কনটেইনার নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিপিং কম্পানি ফিডার লাইনস ডিএমসিসির। মূলত পোশাকশিল্পের কাঁচামাল ও রাসায়নিক, খনিজ পদার্থ ও ভোগ্যপণ্য পাকিস্তান থেকে আনা হয় কনটেইনারে। এবারও জাহাজটিতে এসব পণ্য থাকতে পারে। তবে এসব কনটেইনারে কী পণ্য রয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শিপিং কোম্পানি অনলাইনে আমদানি পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ জমা দেওয়ার পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে। প্রসঙ্গত, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয়। প্রথমবার ৩৭০ একক কনটেইনার আনা হয় জাহাজটিতে করে। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আনা হয় ২৯৭ একক কনটেইনার। বাকিগুলো আনা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

আইএমএফের ঋণ: চতুর্থ কিস্তিতে সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে নতুনভাবে আরও ৭৫ কোটি ডলার ঋণের বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও আইমএএফের প্রতিনিধি দল। চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে গেল ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে। প্রতিনিধিদলটি তাদের মিশন শেষে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিজ্ঞপ্তিতে ঐকমত্যের বিষয়টি জানায়। এ প্রতিনিধি দলের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আইএমএফের আগামী নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে অনুমোদন সাপেক্ষে চতুর্থ কিস্তি ছাড় হবে। নতুন ঋণের বিষয়টিও ওই বোর্ড সভার অনুমোদন নিতে হবে। আইএমএফের সাথে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর তিন কিস্তিতে সংস্থাটি থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ কিস্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে। ২০২৬ সাল নাগাদ পুরো অর্থ পাওয়ার কথা রয়েছে। এর বাইরে সংস্থাটি থেকে সম্প্রতি আরও ৭৫ কোটি ডলার ঋণের আবেদন করে বাংলাদেশ। এ বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছায় মিশন।

আইওটা কনসালটিং বিডির সাথে এনসিসি ব্যাংকের বিশেষ সার্ভিস চুক্তি সই
আইওটা কনসালটিং বিডির সাথে বিশেষ সার্ভিস চুক্তি সই করেছে এনসিসি ব্যাংক। সম্প্রতি এ চুক্তি সই করা হয়। এই চুক্তির আওতায় এনসিসি ব্যাংকের সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট বিষয়ক পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে আইওটা কনসালটিং বিডি।এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন এবং আইওটা কনসালটিং বিডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া চুক্তিতে সই করেন। এ সময় এনসিসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম, মো. মনিরুল আলম ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এসভিপি ও সাসটেইনেবল ব্যাংকিংয়ের প্রধান নিঘাত মমতাজ, আইওটা কনসালটিং বিডির চীফ বিজনেস অফিসার সমীর হাসান, চীফ অপারেটিং অফিসার কায়সার মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায়ীরা খুব শক্তিশালী, সেটা ভাঙা সহজ না: সয়াবিন সরবরাহ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা
ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কি বহু বেশি শক্তিশালী- এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘সিন্ডিকেট না বলে ব্যবসায়ী যারা আছে, তারা খুব শক্তিশালী। ব্যবসায়ীদের মধ্যে খুব বড় ব্যবসায়ী, মাঝারি, আমদানিকারক, সরবরাহকারী, এজেন্ট আছে, এটা একটা কমপ্লেক্স। যেটা ভাঙা সহজ না।’ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাইকে যদি আমরা একসঙ্গে ধরি, তাহলে দেখবেন বাজারে এর থেকে আরও বেশি প্রভাব পড়বে। আমরা চাই, সবাই ব্যবসায় করুক। তবে, অতিরিক্ত লাভ করুক, তা চাই না। আমরা চাচ্ছি আমাদের দিক থেকে সরবরাহটা থাকুক। যাতে ব্যবসায়ীদের কাছে একটা মেসেজ যায়।’ সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাই। আজকে সার, সয়াবিন তেল, চাল, মসুর ডাল ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছি। এতে সয়াবিনের দাম সহনীয় হতে পারে। রমজান পর্যন্ত যত ধরনের নিত্যপণ্য আছে- চাল, ডাল, ছোলা, তেল, চিনি এগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করে চেষ্টা করছি, বাজারটা যাতে আরেকটু সহনীয় থাকে। তবে, একটু সময় লাগবে। কারণ, এগুলো দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। লোড আনলোডে সময় লাগে।’ বাজারে এখনও সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না, যেটা পাওয়া যাচ্ছে সেটা ২০০ টাকার ওপরে দাম নিচ্ছে- সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজারের বিষয়ে আমাদের একটু গ্যাপ আছে। যে দিন দাম আট টাকা বাড়ানো হল, তার পর দিন সরবরাহ বহু কমে গেছে। ব্যবসায়ীদের একটা প্রত্যাশা আছে, আট টাকা বাড়ানো হয়েছে, আরও হয়তো বাড়বে। আজকে আমরা সয়াবিন তেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। আমরা চাচ্ছি, আমাদের দিক থেকে সরবরাহটা থাকুক। যাতে ব্যবসায়ীদের কাছে একটা যায়।’ ভোক্তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ আছে, বাজারে মনিটরিং হচ্ছে না, সে জন্য দাম বাড়ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাজার মনিটরিং হচ্ছে না, বিষয়টা কিন্তু তা না। অন্যান্য দেশে কিন্তু এ রকম হয় না। বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কয়টা জায়গায় যেতে পারে। কিছু দিন আগে আমি পাবনা গেলাম। সেখানেও একই অবস্থা। ডিসিদের কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা বাজারে যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ ঠিক থাকে। চলে এলে যেই সেই অবস্থা। এ জন্য ভোক্তাকে সচেতন হতে হবে। বাইরের দেশগুলোতে কিন্তু ভোক্তারা সচেতন৷ তারা অভিযোগ দেন।’

আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ শফিক অবরুদ্ধ
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ব্যাংকটির ম্যানেজাররা। তারা তাকে বহিষ্কৃত ঘোষণা করেছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল দশটা থেকে তাকে ঢাকার কারওয়ান বাজারে টিকে ভবনে অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ব্যাংকের ৩৩ শাখার ম্যানেজাররা। এ সময় ম্যানেজাররা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে (মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহ) পুনর্নিয়োগ না দিলেও তিনি জোর করে অফিস করছিলেন। প্রাপ্ত তথ্যমতে, মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক তদন্তে তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের পাশাপাশি ব্যাংক ও আমানতকারীদের স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটির এমডি হিসেবে তার পুনর্নিয়োগের আবেদন নাকচ করা হয়। পাশাপাশি, দ্রুত ব্যাংকটিতে একজন নতুন এমডি নিয়োগেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত সপ্তাহে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান বরাবর এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুশনে আরা শিখা। এ দিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে এখনো অফিস করছেন শফিক। সেই সঙ্গে তার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পুনরায় আবেদন করেছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান। এ নিয়ে মোহাম্মদ শফিক বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ব্যাংক থেকে পুনরায় আবেদন করা হয়েছে।’ আপাতত নতুন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ব্যাংকটি থেকে তাকে এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে বাণিজ্য উপদেষ্টার সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের বাণিজ্য, অর্থনীতি ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ সময় শেখ বশিরউদ্দীনে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগ বান্ধব ডেস্টিনেশন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তবর্তী সরকার বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।’ উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শ্রম সংস্কার কমিশন। শ্রমিকদের জন্য উত্তম কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’সুইডেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীনে বলেন, ‘এ দেশের মানুষের জন্য কর্মক্ষেত্র তৈরি ও স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের মাধ্যমে সুইডেন সম্পর্ককে আরো বেগবান করতে পারে।’ এ সময় তিনি এলডিসি উত্তর সময়ে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের কোটা সুবিধা চালু রাখতে সুইডেনের সহযোগিতা কামনা করেন। নিকোলাস উইকস বলেন, ‘বাংলাদেশে সুইডেনের কিছু কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে ট্রাডিশনাল, কমার্শিয়াল ও ইকোনমিক খাতে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে।’ তিনি সুইডেনে তৈরি পোশাক পণ্য ছাড়াও অন্য পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান ও কাওসার নাজনীন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় পর্যায়ে রেমিট্যান্স এওয়ার্ড ২০২৪ পেল ন্যাশনাল ব্যাংক
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রেমিট্যান্স সংগ্রহে অনন্য অবদান রাখায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘রেমিট্যান্স এওয়ার্ড ২০২৪’ পেয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস’-এর অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছ থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষ থেকে এওয়ার্ড নেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আকতার উদ্দিন আহমেদ ও ফরেন রেমিট্যান্স বিভাগের প্রধান মিল্টন রায়। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব মো. রুহুল আমিনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

টানা দ্বিতীয় দিন সূচক বাড়ল শেয়ারবাজারে
দেশের বড় শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা দ্বিতীয় দিনের মত সূচক বেড়েছে; লেনদেনের পরিমাণ ছিল সাত কার্যদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় শুরু হওয়া বাজারে দিন শেষে যোগ হয় ৪৫ পয়েন্ট। আগের দিন সোমবার (১৬ ডিসেম্ব) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল পাঁচ হাজার ১৭৮ পয়েন্ট। মঙ্গলবার লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিন শেষে লেনদেন হয় ৪৫০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর আগে সবশেষ ৪০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় সাত কার্যদিনে আগে। মাঝের কয় দিন লেনদেন নেমেছিল ৪০০ কোটি টাকার নিচে। এমনকি গত ৯ ডিসেম্বর তা ২৭৮ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকে। সবশেষ দুই কার্যদিবস বাদ দিলে তার আগের ছয় দিন একটানা সূচক ও লেনদেন ছিল নিম্নমুখী। গেল রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সূচক বাড়লেও লেনদেনে খুব একটা আশা জাগায়নি। মঙ্গলবার লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরও। মঙ্গলবার সকালেই ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে মূল্যসূচক উঠে যায় পাঁচ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে। পরের ধাপে কিছুটা দর সংশোধন হলে শেষ বেলায় ৪৫ পয়েন্ট যোগ করে সূচক শেষ হয় পাঁচ হাজার ২২৩ পয়েন্টে। আগের দিনের মত তালিকাভুক্ত ‘এ’ শ্রেণির কোম্পানির লেনদেন ও শেয়ার দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। রেকর্ড লেনদেন করেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো। ব্যাংক, বীমা, প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতের কোম্পানি মিশ্র ধারায় লেনদেন করেছে। কিন্ত, লেনদেনে একক খাত হিসেবে ওষুধ ও রসায়ন খাত সূচক বৃদ্ধিতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। খাতভিত্তিক লেনদেনের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, মোট লেনদেনের মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর ছিল ১১১ কোটি ৭১ লাখ টাকা (২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ)। মিশ্র ধারায় লেনদেন করে বস্ত্র খাতের দশ শতাংশ ও ব্যাংকের অবদান ছিল নয় দশমিক ছয় শতাংশ। দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেনে আসা ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বাড়ে ২১০টির; কমে যায় ১১০টির ও আগের দিনের দরে লেনদেন হয় ৭৬টির। আচামকা ব্লক মার্কেটে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির নয় কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। এছাড়া, বিতর্কে থাকা আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের এক কোটি ২৬ লাখ টাকা, এবি ব্যাংকের দুই কোটি ১১ লাখ টাকা, ফাইনফুডসের এক কোটি ৪৬ লাখ টাকা, মিডল্যান্ড ব্যাংকের দুই কোটি ৮৩ লাখ টাকা ও রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এক কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। মঙ্গলবার দিন শেষে এ বাজারে ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় শীর্ষ দর বৃদ্ধি কোম্পানির তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং জিপিএইচ ইস্পাত। কোম্পানি দুটি সার্কিট ব্রেকারের কাছে, অর্থাৎ দশ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে আগের দিনের চেয়ে। এছাড়া, দর বেড়েছে জেমিনি সি ফুড, ওরিয়ন ইনফিউশন ও অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের। অন্য দিকে, ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় শেয়ার দর হারানোতে শীর্ষে উঠেছে মেঘনা পেট্রলিয়াম, জাহিন স্পিনিং মিল, মিরকল ইন্ডাস্ট্রিজ, নিউ লাইন ক্লোথিং ও তুংহাই নিটিং।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২৮০তম সভা অনুষ্ঠিত
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ২৮০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান এর সভাপতিত্বে সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুর রহমান, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল কুদ্দুছ, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ রাগিব আহসান এফসিএ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মোঃ আলী ও কোম্পানী সচিব অলি কামাল, এফসিএস সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর অতিরিক্ত পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন ও যুগ্ম পরিচালক মোঃ মোশাররফ হোসেন ‘এএমএল এন্ড সিএফটি এওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর বোর্ড অব ডাইরেক্টর্স’ শীর্ষক সেশন পরিচালনা করেন। ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মোঃ ইয়াহিয়া, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ক্যামেলকো মোঃ সিরাজুল ইলসাম, এফএসআইবি ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ একাডেমির ডিরেক্টর জেনারেল (চলতি দায়িত্ব) মোঃ হাবিবুর রহমান, মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান ও ডিক্যামেলকো ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার
আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার। এলসি নিষ্পত্তির চাহিদা বাড়ায় বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো থেকে বাড়তি দরে ডলার কিনতে হচ্ছে বলে জানান ব্যাংক নির্বাহীরা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, আবারও অর্থ পাচার হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হয়ে উঠছিলো ডলারের বাজার। ক্রোলিং পেগ পদ্ধতিতে দর ধরে রাখা হয়েছিলো ১২০ টাকা। তবে বিদেশি এই মুদ্রা পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার চাপে শুরু হয়েছে আবারও অস্থিরতা। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণপত্র বা এলসি নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডলারের বেশিরভাগই যোগান দেয়া হয় এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে। চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে যার মূল্য নির্ধারণ করে এই হাউজগুলো। তবে নভেম্বরে মাঝামাঝি পর্যন্ত ১২২ টাকা দরে ডলার কিনতে পারলেও এখন ব্যাংকগুলোকে ১২৫ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছ। এমটিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজিতে অস্থিরতা বাড়ছে এই মুদ্রা বাজারে। সম্প্রতি বড় বড় এলসি নিষ্পত্তির সময় ঘনিয়ে আসা এবং বকেয়া পরিশোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায়, ব্যাংকগুলোতে বেড়েছে ডলারের চাহিদা। ফলে বাড়তি দরে কিনতে হচ্ছে সরকারি বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে। যার প্রভাবে অর্থ পাচারের শঙ্কায় বিশ্লেষকরা। এদিকে রাজধানীর খোলাবাজারেও খানিকটা বেড়ে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা ৬০ পয়সা দরে।

রোজায় ভোজ্য তেলের দাম কমাতে কর ও ভ্যাট অব্যাহতি
বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য সহনীয় রাখার লক্ষ্যে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম ওয়েল আমদানিতে বিদ্যমান সব আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি এবং অগ্রিম আয়কর আগামী ৩১ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, ১৫ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত আলাদা ৩টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ সব প্রজ্ঞাপনে সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা, সয়াবিন ও পাম ওয়েল বিক্রয়ের ওপর স্থানীয় পর্যায়ে প্রদেয় মূল্য সংযোজন কর ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ সব পন্যের আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় মূসক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এ সব পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ছাড়া অন্য কোনো শুল্ক-করাদি অবশিষ্ট নেই। এ লক্ষ্যে সর্বশেষ তিনটি এসআরও জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এর আগে গত ১৭ অক্টোবর ও ১৯ নভেম্বর জারি করা শুল্ক-করাদি অব্যাহতির প্রজ্ঞাপন দুটি সয়াবিন ও পাম ওয়েলের ক্ষেত্রে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রযোজ্য ছিল। ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং ভোক্তাসাধারণের জন্য ভোজ্যতেলের মূল্য সহনীয় রাখার উদ্দেশ্যে সয়াবিন ও পামতেলের পাশাপাশি এবার অপরিশোধিত ও পরিশোধিত সানফ্লাওয়ার তেল ও ক্যানোলা তেলের আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর ও মুসক কমানো হলো। সয়াবিন ও পামতেলের সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী দর বিবেচনায় নিয়ে রমজান মাসে পণ্যটির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে নতুন প্রজ্ঞাপন তিনটির মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে। সানফ্লাওয়ার তেল ও কেনোলা তেলের কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, আগাম কর ও অগ্রিম আয়কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করায় এবং মূল্য সংযোজন কর কমানো কারণে এসব তেলের আমদানি ব্যয় লিটার প্রতি ৪০-৫০ টাকা কমবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নেয়া এসব পদক্ষপে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে বাজার মূল্য সর্বসাধারণের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা যাবে বলে আশা করছে এনবিআর।

বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএসইসির দোয়া মাহফিল
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কমিশনের সকল গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় কমিশনের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এর সূচনা হয় জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্য দিয়ে। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। বিএসইসির কমিশনারবৃন্দ, নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ এবং বিএসইসির মহান বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি- ২০২৪ এর সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কমিশনের অন্যান্য কর্মচারীগণ অনলাইনে জুম ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ বিএসইসির কমিশনারবৃন্দ ও নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর আলোচনা হয়। এছাড়াও সভায় মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের আত্মত্যাগসহ সকলের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।আলোচনা সভা শেষে স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার শান্তি এবং দেশের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ উপস্থিত সকলে উক্ত দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। একইসাথে এদিন ‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে বিএসইসির পক্ষ হতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল বীর শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।