
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে বাণিজ্য উপদেষ্টার সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।সাক্ষাৎকালে তারা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্ভাবনা ও জানুয়ারি মাসে তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রীর সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেশ গভীর। অর্থনৈতিক এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি ও দুদেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে বাণিজ্যিক সম্পর্কোন্নয়ন উভয় দেশের জন্যই সুফল বয়ে আনবে।’ রামিস সেন বলেন, ‘তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রীর আসন্ন বাংলাদেশ সফর মূলত অন্তর্বর্তী সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তুরস্কের সংহতি প্রকাশের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। পাশাপাশি, এ সফর হবে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা অন্বেষণের জোর পদক্ষেপ।’রাষ্ট্রদূত সেদেশের বাণিজ্য মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিস্তারিত বাণিজ্য উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।

অবশেষে সরে যেতে বাধ্য হলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের এমডি
অবশেষে বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন মুহাম্মদ মনিরুল মওলা। কর্মকর্তাদের বাধার মুখে তিনি গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অফিস ছাড়তে বাধ্য হন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে, এ নিয়ে মনিরুল মওলার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া দেননি তিনি। চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগ্রুপ এস আলমের ঋণ জালিয়াতির সহায়তাকারী হিসেবে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা মুহাম্মদ মনিরুল মওলার বিরুদ্ধে নানাভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের তোপের মুখে তিনি সরে যেতে বাধ্য হন। পরে আবারও আগের দায়িত্বে (এমডি) থেকে অফিস শুরু করেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ঋণে অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকাকালীন এমডি হিসেবে নিয়োগ পান মনিরুল। সেই সময়কালেই ব্যাংকটি বড় আকারে দুর্বল হয়ে পরে এবং এস আলমকে অনৈতিকভাবে ঋণ পাইয়ে দিতে মনিরুল সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসলামী ব্যাংকের একজন ঊধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এখন অনুপস্থিত আছেন।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা শুনেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারিনি।’ সম্প্রতি, দুদক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলম ও এমডি মনিরুল মওলাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংক থেকে এক হাজার ৯২ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ আছে।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে র্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম ও দি পেনিনসুলার চুক্তি
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক (এআইবি) পিএলসির সাথে দেশের শীর্ষ স্থানীয় পাঁচতারকা হোটেল র্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম ও দি পেনিনসুলা চট্টগ্রামের মধ্যে বাই ওয়ান গেট ওয়ান (বোগো) চুক্তি সম্প্রতি সই হয়েছে। ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান চৌধুরী এবং র্যাডিসন ব্লুর অপারেশন ইনচার্জজামির উদ্দিন কুরাইশী ও দি পেনিনসুলার জেনারেল ম্যানেজার সুমেধা গুণবর্ধন চুক্তিতে সই করেন।চুক্তি অনুসারে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের প্লাটিনাম কার্ডহোল্ডাররা র্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম ও দি পেনিনসুলা চট্টগ্রামে বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফার পাবেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আযম, কার্ড ডিভিশনের প্রধান মোহাম্মাদ সাখাওয়াত উল্লাহ্, শীর্ষ নির্বাহীবৃন্দ, র্যাডিসন ব্লু হোটেলের ম্যনেজমেন্ট প্রকিউরমেন্ট এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সৈয়দ শফিকুল আলম এবং দি পেনিনসুলার সেলস এন্ড মার্কেটিং বিভাগের প্রধান কামাল হোসেনসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পদ্মা ব্যাংক নিয়ে এক্সিমের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
ধুঁকতে থাকা চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক পিএলসিকে টেনে তুলতে গিয়ে এখন নিজেই ডুবতে বসেছে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ পিএলসি (এক্সিম ব্যাংক)। এ পরিস্থিতিতে দুর্দশাগ্রস্ত পদ্মা ব্যাংকে একীভূত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানায়, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পদ্মা ব্যাংককে একীভূত না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।এর আগে গেল ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ব্যাংকটি তার এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছিল।পর্ষদ সভার সিদ্ধান্তের আলোকে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু করার লক্ষ্যে গত ১৮ মার্চ এক্সিম ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক একটি সমঝোতা স্মারক সই করে। ব্যাংক দুইটির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা ওই চুক্তিতে সই করেন।তবে, সরকার পতনের পর সবল হিসেবে দাবি করা এক্সিম ব্যাংক নিজেই বর্তমানে তারল্য সংকটে ভুগছে। টাকা তুলতে এসে চেক জমা দিয়ে অপেক্ষার পরও গ্রাহকরা ফিরছেন খালি হাতে।

স্বর্ণের দাম কমল, ভরি ১৩৯৩৩৮ টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। সব থেকে ভাল মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম এক হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩৩৮ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার প্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সোনার দাম বাড়ানো হয়। পাঁচ দিনের ব্যবধানে পর এখন কিছুটা কমানো হলো। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভাল মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২৪৮ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ৩৩৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ১৮৯ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৩৩ হাজার পাঁচ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২৬ টাকা কমিয়ে এক লাখ ১৪ হাজার চার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৮৭৪ টাকা কমিয়ে ৯৩ হাজার ৬০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সব থেকে ভাল মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৪০ হাজার ৫৮৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩৪ হাজার ১৯৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৫ হাজার ৩০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৯৪ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এ দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে। সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম দুই হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

খোলা বাজারে ডলার এখন ১২৯ টাকা
রমজান আসতে বাকি এখনও দুই মাস, এরমধ্যেই রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানি পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। অপর দিকে, আগের বকেয়া এলসি বিল পরিশোধ বেড়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশ ভ্রমণও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে চাহিদার তুলনায় কমেছে ডলারের যোগান। ফলে, ব্যাংকগুলো ১২০ টাকা ঘোষিত দরের চেয়ে কমপক্ষে আট টাকা বেশি দিয়ে রেমিট্যান্স কিনছে। ডলারের এই সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে দৃশ্যমান এক নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে খোলাবাজারেও। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিভিন্ন ব্যাংক ও ঢাকার মতিঝিল দিলকুশা এলাকায় মানি চেঞ্জার হাউজগুলোতে এমন তথ্য পাওয়া যায়। ব্যাংকাররা বলছেন, ‘আমদানির দায় পরিশোধে হঠাৎ চাপ বেড়েছে। তাই, বাড়ছে ডলারের দাম। এমন অবস্থায় ফের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির শঙ্কা অর্থনীতিবিদদের।’ জানা গেছে: ব্যাংকগুলো ডলার সংকটে রেমিট্যান্স কিনেছে সর্বোচ্চ ১২৮ টাকায়। যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত দর ১২০ টাকা। আর কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে ১২৯ টাকায় পৌঁছেছে। এক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা। আচানক ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কিছু অসাধু চক্র এর সুযোগ নিয়ে ডলারের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে। এমন অবস্থায় সন্দেহভাজন অন্তত ১৩টি ব্যাংকের কাছে ডলার বেচা-কেনার তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল করতে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। একইসাথে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল করতে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ‘বর্তমানে ব্যাংকগুলোর ডলারের সর্বোচ্চ বেঁধে দেয়া রেট হলো ১২০ টাকা। যা গত জুনে ছিল ১১৮ টাকা ও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১১০ টাকা। সেই হিসাবে এক বছরে ডলারের ঘোষিত দর বেড়েছে ১০ টাকা। আর বাজারের বাস্তবতার সঙ্গে তুলনা করলে বেড়েছে ১৮ টাকা।’

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ব্যাংকের মিরপুর শাখায় এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ নাদিম।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মজিবর রহমান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জহুরুল হক।শাখা ব্যবস্থাপক মো. আরিফ বিল্লাহ্ মিঠুর সভাপতিত্বে সভায় বিপুল সংখ্যক গ্রাহক শুভানুধ্যায়ী উপস্থিত ছিলেন। সভায় মোহাম্মদ নাদিম ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রাহকদের সেবা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, তথ্য সহজলভ্য, নাগরিকদের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে অর্ধকোটি গ্রাহকের মাইলফলক
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহক সংখ্যা ৫০ লক্ষ অতিক্রম করে দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং সেক্টরে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। সরাসরি ব্যাংকিং সেবা থেকে বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে এজেন্টের মাধ্যমে সহজে ব্যাংকিং সেবায় অন্তর্ভুক্তি করে আসছে ইসলামী ব্যাংক। ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই কার্যক্রম শুরু থেকে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকদের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতায় খুব দ্রুত প্রসার লাভ করেছে। এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর মাত্র সাত বছরের মধ্যে অর্ধকোটি গ্রাহক ব্যাংকিং চ্যানেলে যুক্ত করে বৃহৎ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সৃষ্টির মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সফলতার ইতিবাচক ধারা উম্মোচন করেছে। ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে এ পর্যন্ত ডিপোজিটের পরিমাণ ১৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এর সবচেয়ে বড় সাফল্য হল গ্রাহকদের প্রায় অর্ধেকই নারী। আবার গ্রাহকদের সিংহভাগই গ্রাম এলাকার। বর্তমানে সারা দেশে ৪৭২টি উপজেলায় মোট দুই হাজার ৭৭৮টি এজেন্ট আউটলেট রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের। বেশীরভাগ আউটলেট দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। প্রতিটি এজেন্ট আউটলেটে শাখা থেকে সরাসরি তত্বাবধানের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় সর্বোচ্চ গ্রাহক সেবার মান, তৈরি করা হয় গ্রাহকের আস্থা ও আর্থিক সুরক্ষার নিশ্চয়তা। ফলে, ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেট ব্যাংকের অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় তৃণমূলে আর্থিক পরিষেবা পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছে। এ পর্যন্ত অর্ধকোটি গ্রাহক যেমন আমানত হিসাব খুলেছেন, তেমনি গ্রাহকরা নির্বিঘ্নে আমানত জমা ও উত্তোলন করছেন। বর্তমানে আউটলেটগুলোতে দৈনিক লেনদেন প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। ইসলামী ব্যাংকের বহুল জনপ্রিয় পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের (আরডিএস) মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ বিতরণ করায় চাঙা হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি। বর্তমানে ১৩৫টি এজেন্ট আউলেট এ প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগ বিতরণ করছে। মোট এক হাজার ৫৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ বিতরণ করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে প্রবাসী আয় বিতরণেও অসামান্য সফলতা অর্জন করেছে। ব্যাংকের বিশাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স সহজেই উত্তোলন করতে পারছেন প্রবাসীদের স্বজনরা। এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে প্রবাসী আয় সংগ্রহ ও বিতরণেও ইসলামী ব্যাংক দেশের শীর্ষ অবস্থানে। বিগত বছরে দেশের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আহরিত ৫৪ শতাংশেরও বেশি রেমিট্যান্স এককভাবে বিতরণ করেছে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটগুলো। ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা প্রবাসী আয় বিতরণ করা হয়। কোন কোন দিন দৈনিক রেমিট্যান্স বিতরণ করা হয় প্রায় ১২০ কোটি টাকার উপরে। এসব রেমিট্যান্স সরাসরি গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমা হওয় অথবা স্পট ক্যাশের মাধ্যমে দ্রুত নগদায়ন করার সুযোগ থাকায় গ্রাহক হুন্ডি বর্জনে উৎসাহিত হচ্ছেন। আমানতদারিতা, শরী’আহ পরিপালনে একনিষ্ঠতা ও পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে গুরুত্ব প্রদান ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে সফলতার কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি যেমন ডিজিটাল অ্যাপ সেলফিন, আই-ব্যাংকিং ও পয়েন্ট অব সেলসের (পিওএস) মত আধুনিক পরিষেবা ছাড়াও এজেন্ট আউটলেটে কিউআর কোড দিয়ে টাকা উত্তোলনের মত সহজ সেবা ব্যবহার গ্রাহকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘরের পাশে ব্যাংকের সব সুবিধা নিয়ে ব্যয় সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবাও অন্যতম কারণ। এজেন্ট আউটলেটের স্বত্বাধিকারীরা স্থানীয়ভাবে পরিচিত মুখ হওয়ায় গ্রাহক ব্যাংকিং লেনদেনে সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষেত্রে আউটলেটে অক্ষম অসুস্থ কিংবা বয়োবৃদ্ধদের ট্যাবে ফিঙ্গার নিয়ে বহনযোগ্য ব্লুটুথ ডিভাইসে প্রিন্টেড কপিতে সইয়ের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বিতরণ করার মত হোম সার্ভিস থাকায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এছাড়া, শুধু ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করে গ্রাহক টাকা উত্তোলন করার সুযোগকে এখন ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ ব্যাংকিং বলে মনে করছেন।

আগারগাঁওয়ে পাঁচ দিনের আবাসন মেলা শুরু
ঢাকায় পাঁচ দিনের আবাসন মেলা শুরু হয়েছে। আগারগাঁওয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব আয়োজিত এ মেলা চলবে আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামানসহ আয়োজক সংগঠনের সদস্যরা। আয়োজকরা জানান, এবারের মেলায় বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পাশাপাশি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানও অংশ নিয়েছে। রিহ্যাব ফেয়ার ২০২৪-এ ২২০টি স্টল রয়েছে। এই ফেয়ারে পাঁচটি গোল্ড স্পন্সর, ১৮টি কো-স্পন্সর, ১৮টি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও দশ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। সকাল দশটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় ঢুকতে পারবেন। মেলায় প্রবেশে সিঙ্গেল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় পাঁচ বার ঢুকতে পারবেন। এন্ট্রি টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ দুঃস্থদের জন্য কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির কাজে ব্যয় করা হবে। টিকিটের রাফেল ড্রতেও থাকবে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা কোম্পানির দুই কোটি ৮৯ লাখ ডলার বিনিয়োগ
চীনা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ডিং উ (বিডি) এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড দুই কোটি ৮৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ বেপজার নির্বাহী দপ্তরে প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবীর এবং ডিং উ (বিডি) এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝুওয়ান কাই চুক্তিতে সই করেন।চীনা কোম্পানিটি বার্ষিক পাঁচ কোটি পিস আন্ডারওয়্যার, টি শার্ট, ইয়োগা প্যান্ট ও সাঁতার কাটার প্যান্ট তৈরি করবে, যার ফলে তিন হাজার ১৩৫ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলকে তাদের বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য ডিং উ (বিডি) এন্টারপ্রাইজকে ধন্যবাদ জানান এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ দিতে বেপজার অঙ্গীকার তুলে ধরেন। তিনি ডিং উ (বিডি) এন্টারপ্রাইজকে বেপজা পরিবারে স্বাগত জানান। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, সদস্য (অর্থ) আনম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক (এন্টারপ্রাইজ সার্ভিসেস) মো. খুরশিদ আলম, নির্বাহী পরিচালক মসিহ্উদ্দিন বিন মেসবাহ ও নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এএসএম আনোয়ার পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।

রেমিট্যান্সের জোয়ারে রিজার্ভ ছাড়াল ২০ বিলিয়ন ডলার
ডলারের মূল্য বাড়ায় বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। যার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ফের ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রোস রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। বিপিএম-৬ অনুযায়ী বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুেই হাজার কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার (২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি)। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৫ বিলিয়নের ঘরে রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দেশে মোট রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের পরামর্শে বিপিএম হিসাবে তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। চলতি মাসের ২১ দিনে দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত বছরের ডিসেম্বরের পুরো মাসের চেয়ে বেশি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২০ টাকায় ছিল। এছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। যা রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

একনেকে ১৯৭৪ কোটি টাকার দশ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এক হাজার ৯৭৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার দশটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক হাজার ৬৪২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৩১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চিলমারী এলাকায় (রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী, নয়ারহাট) নদীবন্দর নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্প, কুমিল্লা অঞ্চলে টেকসই কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিকভাবে জীবনচক্র হারানো রাবার গাছ কর্তন, পুনরায় বাগান সৃজন ও রাবার প্রক্রিয়াকরণ আধুনিকায়ন প্রকল্প। এছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্রের জন্য ৬০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেস প্লান্ট সংগ্রহ ও স্থাপন প্রকল্প, রশিদপুর-১১ নম্বর কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন প্রকল্প ও ২ডি সাইসমিক সার্ভে ওভার এক্সপ্লোরেশন ব্লক ৭ অ্যান্ড ৯ প্রকল্প, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৬০টি ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন প্রকল্প এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (চতুর্থ সংশোধিত) প্রকল্প, বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের মান উন্নয়ন (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।তাছাড়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পটি বাতিলের সিদ্ধান্ত একনেকের সভায় অনুমোদন পেয়েছে।
.jpeg)
অস্বাভাবিক দামে রেমিট্যান্স কেনার ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে অস্বাভাবিক দামে রেমিট্যান্স কেনায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা করতে বেশকিছু ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।সম্প্রতি এক চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত সপ্তাহ জুড়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনে ডলারের বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি উঠে আসে। এর জের ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ব্যাংক খাতের কিছু ইমম্যাচিউর ট্রেডার বাজারকে অস্থিতিশীল করে ফেলেছে। ডলার মার্কেট ওপেন করে দেওয়ার সুযোগের অপব্যবহার করছে তারা। বাজারকে যারা অস্থিতিশীল করেছে, তাদের অবশ্যই শাস্তির দরকার আছে।ব্যাংকগুলোকে দেওয়া চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এক্সচেঞ্জ রেট নিয়ে দেওয়া নির্দেশনায় ক্রলিং পেগ মিড রেট হিসেবে ১১৭ টাকাকে ভিত্তি রেখে ডলার কেনাবেচা করার জন্য ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছিল। অতিসম্প্রতি আপনাদের ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে রেমিট্যান্সের ডলার কেনার রেট কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশিত রেটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এর কারণে দেশের ফরেন কারেন্সি মার্কেটে শৃঙ্খলা বজায় থাকছে না।প্রায় চার মাস স্থিতিশীল থাকার পর চলতি ডিসেম্বরের শুরু থেকে ডলারের বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। সর্বশেষ দুই কার্যদিবসে ডলার-টাকার বিনিময় হার দুই বার ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেটের নতুন রেকর্ড গড়েছে। গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোকে রেমিট্যান্সের ডলার কিনতে খরচ করতে হয়েছে সর্বোচ্চ ১২৭.৭০ টাকা।বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনেক ব্যাংকই কম-বেশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত ডলারের রেট মানেনি। তবে কয়েকটি ব্যাংক বাজার অস্থির করার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছে। আপাতত তাদের কাছেই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। চিঠি পাওয়া ব্যাংকের সংখ্যা ১০-১২টি হতে পারে।এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরেক জন কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেওয়া আমাদের রুটিন কাজের অংশ। তারা রেমিট্যান্সের বাজার থেকে কীভাবে ও কী ধরনের রেটে ডলার সংগ্রহ করছে, এ সম্পর্কিত সব ধরনের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তাদের আদেশের ভিত্তিতেই আমরা ব্যাংকগুলোর কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছি। এই ব্যাখ্যা চাওয়া মানেই শাস্তি দেওয়া নয়। ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ব্যাখ্যা পাওয়ার পরই পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।রেমিট্যান্সের ডলারের দাম বাড়ার পেছনে ব্যাংকগুলোর দায় রয়েছে মন্তব্য করে ঐ কর্মকর্তা বলেন, প্রতিদিন ব্যাংকগুলো এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর কাছে রেমিট্যান্সের ডলারের চাহিদা ও রেট কোট করে। এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো যে ব্যাংকের কাছে বেশি রেট পায়, তার কাছেই রেমিট্যান্সের ডলার বিক্রি করে। ব্যাংকগুলো অস্বাভাবিক রেট অফার না করলে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোও মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।গত সপ্তাহে কিছু ব্যাংক এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর কাছ থেকে রেমিট্যান্সের ডলার বেশি সংগ্রহ করতে অস্বাভাবিক রেট অফার করছে। এর কারণে রেমিট্যান্সের ডলার বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। অস্থিরতা দূর করে বাজারকে স্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যেই ব্যাংকগুলোর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

বিশ্ব ব্যাংক থেকে দশ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ পেল বাংলাদেশ
পৃথক দুইটি প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৯০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ দশ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। দুইটি প্রকল্পের মধ্যে রেজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বা স্থিতিস্থাপক নগর ও আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার এবং সেকেন্ড বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট প্রোগ্রাম বা দ্বিতীয় বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু-সহিষ্ণু শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ৫০ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। দুইটি ঋণে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষে বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক অর্থায়ন চুক্তিতে সই করেছেন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন একটি প্রকল্পে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমান চার হাজার ৮০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। বিশ্ব ব্যাংক জানিয়েছে, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমসহ মৌলিক নগর-পরিষেবাগুলো বৃদ্ধি করা, নগরগুলোতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও নিজস্ব উৎস থেকে আয় বৃদ্ধির কার্যক্রম জোরদার করা, পরিকল্পনা প্রণয়ন, অর্থায়ন, বাস্তবায়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম কার্যকর ও টেকসইভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়ানোই হবে এই প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নত নগর-আবকাঠামো ও সুবিধাদি নির্মিত হবে এবং এর ফলে ৮১টি পৌরসভা ও ছয়টি সিটি করপোরেশনে বসবাসরত এক কোটি ৭০ লাখ জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। অন্যদিকে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির গতি বজায় রাখা, আর্থিক খাতের নীতি শক্তিশালীকরণ ও জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়নে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বজায় রাখতে আর্থিক খাতের নীতিসমূহকে শক্তিশালীকরণ ও জলবায়ু-সহিষ্ণু উন্নয়ন। অর্থ বিভাগ এ কর্মসূচির প্রধান বাস্তবায়নকারী সংস্থা। বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে এ পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশে ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থায়ন করেছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, সামাজিক নিরাপত্তা, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, যোগাযোগ, সেবাখাত ডিজিটালাইজেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিশ্ব ব্যাংকের প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নে ৫২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।

২১ দিনে রেমিট্যান্স এল ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি
চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ২১ দিনে দেশে ২০০ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) রেমিট্যান্স এসেছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে এসেছে ৬১ কোটি ৩১ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে সাত কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩১ কোটি ১৬ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এ সময়ে মোট ২০০ কোটি ৭৩ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। সে হিসেবে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে নয় কোটি ৫৫ লাখ ডলার বা এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘রেমিট্যান্সের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ডিসেম্বরে দেশের প্রবাসী আয় রেকর্ড তিন বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হবে।’ এর আগে, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত দশ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিস্থিতি। এরই ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এ ছাড়া, গত সেপ্টেম্বরে চলতি অর্থ বছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে আসে। অক্টোবরে আসে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। আর সবশেষ নভেম্বরে আসে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ দশ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

এনসিসি ব্যাংকের ভুলতা উপশাখার উদ্বোধন
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলায় এনসিসি ব্যাংকের ভুলতা উপশাখা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজ সেলিম শাখাটির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, উদ্যোক্তা ও প্রাক্তন পরিচালক কাজী মনিরুল আলম এবং গাউসিয়া করপোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান দীপু। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির আনাম ও মো. মনিরুল আলম, এসভিপি ও হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশন এএইচএম আবদুস সাদিক খান ও ভুলতা উপশাখার ইনচার্জসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. নূরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন, ‘এনসিসি ব্যাংক দ্রুততম সময়ে সর্বোত্তম ও আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য গ্রাহকদের কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’ তিনি আরো বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সামগ্রিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে এনসিসি ব্যাংকের শাখা ও উপশাখার কার্যক্রম সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে এনসিসি ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করেছে।’ নূরুন নেওয়াজ সেলিম এনসিসি ব্যাংকের প্রযুক্তি নির্ভর বিভিন্ন সেবার কথা তুলে এলাকার খুচরা ও পাইকারী কাপড় ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের এই শাখা হতে সেবা গ্রহণের আহ্বান জানান। খায়রুল আলম চাকলাদার ও কাজী মনিরুল আলম বর্তমানে ব্যাংকিং সেক্টরে এনসিসি ব্যাংক স্বচ্ছ ও শীর্ষ স্থানীয় অবস্থান তুলে ধরেন। তারা এনসিসি ব্যাংকের বর্তমানের শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তি তথা এর ঋণ-আমানত অনুুপাত, ক্রেডিট রেটিংয়ে উন্নত অবস্থান এবং সিএসআর কর্মকান্ডসহ দক্ষ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন। এ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ ভুলতা উপশাখার মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। এম. শামসুল আরেফিন বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নততর গ্রাহক সেবা প্রদানে এনসিসি ব্যাংকঅ্যাপভিত্তিক প্রযুক্তির ব্যবহারসহ যুগোপযোগী ব্যাংকিং ব্যবসায় অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় করপোরেট, রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রিটেইল ও এসএমই, ইসলামিক ব্যাংকিং, নারী ব্যাংকিং ও সাসটেইনেবল ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে এনসিসি ব্যাংক ইতোমধ্যেই দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্যাংকে পরিণত হয়েছে।’ ভুলতা উপশাখাটি এ এলাকার ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিশেষত এসএমই এবং রেমিট্যান্সসহ অন্যান্য খাতের সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

চলতি মাসেই পাওয়া যাবে বিশ্ব ব্যাংক-এডিবির বাজেট সহায়তা
চলতি ডিসেম্বর মাসেই বিশ্বব্যাংক এবং এডিবির কাছ থেকে বাজেট সহায়তার এক হাজার ১০০ মিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। রোববার (২২ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রমকে বেগবান করতে বিশ্ব ব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন ডলার এবং এডিবি ৬০০ মিলিয়ন ডলারের দুইটি বাজেট সাপোর্ট সহায়তা অনুমোদন করেছে। এই বাজেট সহায়তা চলতি মাসেই পাওয়া যাবে।’ বাজেট সহায়তার পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাংক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাতে ৩৭৯ মিলিয়ন এবং চট্টগ্রামে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকল্প সহায়তাও অনুমোদন করেছে। এর আগে, গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির মধ্যে শক্তিশালীকরণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং শাসন কার্যক্রম, উপপ্রোগ্রাম শীর্ষক কর্মসূচির জন্য ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ঋণচুক্তি সই হয়। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের অনুকূলে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা প্রদানের অনুমোদন দেয় বিশ্ব ব্যাংক। সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে সংস্কার কার্যক্রমসমূহ সফলভাবে অর্জন করায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিটের আওতায় বিশ্বব্যাংক এ বাজেট সহায়তা দেয়।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের শরী‘আহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় ব্যাংকের শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ ও অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খানসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংকে সাইবার সিকিউরিটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্দ্যোগে ঢাকা সেন্ট্রাল, কুমিল্লা, খুলনা, রংপুর, চট্টগ্রাম উত্তর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণজোনের এজেন্ট আউটলেটসমূহের সত্বাধিকারী, ইনচার্জ ও এজেন্ট কর্মকর্তাদের জন্য সাইবার সিকিউরিটি সচেতনতামূলক কর্মশালা “সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস ফর এজেন্ট ব্যাংকিং” ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল লাইছ মোহাম্মদ খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোসলেহ উদ্দীন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় জোনসমূহের অধীন এজেন্ট আউটলেটের ৯৩০ জন প্রশিক্ষনার্থী অংশগ্রহণ করেন।

ন্যাশনাল ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন (ঢাকা) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ( ২১ ডিসেম্বর) ঢাকার বাংলামোটরের এঙ্কর টাওয়ারে। দিনব্যাপী এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। সম্মেলনে পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ আব্দুস সাত্তার সরকার, স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ জুলকার নায়েন, স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক ড. মেলিতা মেহজাবিন সহ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল আলম খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ সৈয়দ রইস উদ্দিন, শেখ আকতার উদ্দিন আহমেদ ও ইমরান আহমেদ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপকদ্বয় এবং ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও কর্পোরেট শাখাসমূহের ব্যবস্থাপকবৃন্দ এবং উপশাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।এসময় চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক দেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গার্মেন্টস, কৃষি, এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ব্যাংকটি দীর্ঘদিন ধরে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। তিনি শাখা ব্যবস্থাপকদের প্রতি শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়, নতুন আমানত সংগ্রহ, এবং গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব আরোপের আহ্বান জানান। পাশাপাশি গ্রাহকদের কাছে নতুন ও আকর্ষণীয় ডিপোজিট পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের উদ্যমী হওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, গ্রাহক আস্থা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ গ্রাহকের আস্থা এবং সন্তুষ্টি প্রতিষ্ঠানের টেকসই উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশ্রয় ও যোগসাজশে শেয়ারবাজারে লুটতরাজ হয়েছে
শেয়ারবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ‘শেয়ারবাজারে গত ১৫ বছরে যে অনিয়ম ও লুটতরাজ হয়েছে, তার সবই আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশ্রয় ও যোগসাজশে হয়েছে। সাবেক সরকারপ্রধানও এ দায় এড়াতে পারেন না।’ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে ইনোভা সিকিউরিটিজের শাখা উদ্বোধন ও ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থসূচক সম্পাদক ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জিয়াউর রহমান। মাইক্রো-ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘যখন গণতন্ত্র ও জনগণের প্রতি জবাবদিহি থাকে না, তখন নানা কৌশলে মানুষের সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। সাবেক সরকার এভাবে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তাদের অনুগত ব্যক্তিদের বসিয়েছিল। শেয়ারবাজারও এর ব্যতিক্রম নয়।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও শেয়ারবাজার বিশ্লেষক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘গত দেড় দশকে শেয়ারবাজারে শেয়ারের জোগান যতটা বেড়েছে, চাহিদা ততটা বাড়েনি। এ সময়ে বাজারে যেসব আইপিও এসেছে, তার বড় অংশই নিম্নমানের। এ কারণে বাজারে প্রকৃত চাহিদা তৈরি হয়নি। অনেকে অন্যের দেখাদেখি বিনিয়োগ করে পরে সব হারিয়ে বসে থাকে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিএসইসির বর্তমান কমিশন বাজারে সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। যদি তারা বাজার ফাউল প্লে বন্ধ করতে পারে, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে ধীরে ধীরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে, বাজারে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। ‘আমি কমিশনকে বলেছি, ভাল শেয়ার নিশ্চিত না হয়ে বাজার নতুন শেয়ার না আনে। কারণ, বাজারে ঘিয়ের চেয়ে ছাইয়ের দাম বেশি হলে ঘি নিয়ে কেউ সেই বাজারে আসবে না।’ জিয়াউর রহমান বলেন, ‘গত সরকারের সময়ে শেয়ারবাজারে যত ইনস্ট্রুমেন্টস আছে, তার প্রতিটির অপব্যবহার করা হয়েছে। তৎকালীন কমিশন শুধু দুষ্টচক্রকে প্রশ্রয়ই দেয়নি, অনেক ক্ষেত্রে অনিয়ম ও কারসাজির পথও বাতলে দিয়েছে। বর্তমানে শেয়ারবাজারের যে নাজুক অবস্থা চলছে তার অন্যতম কারণ গত ১৫ বছরের অনিয়ম ও দুর্নীতি।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় সব দেশেই শেয়ারবাজারে কারসাজি ও দুর্নীতি হয়। তবে, সেখানে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। কিন্তু, বাংলাদেশে অপরাধ করে সবাই পার পেয়ে গেছে।’ অনুষ্ঠানে ভৈরব পৌরসভার সাবেক মেয়র ফখরুল আলম আক্কাছ, ভৈরব বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন।

কারচুপি নাই বলেই মূল্যস্ফীতি বেশি দেখাচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতি আগে আট বা নয়ে আটকে রাখা হলেও এখন কোন ‘কারচুপি নাই’ বলেই মূল্যস্ফীতি বেশি দেখাচ্ছে।’ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’র ষষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে এসব কথা বলেন তিনি। মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ হিসেবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারোকে (বিবিএস) বলা হয়েছে, তথ্য যা আছে তাই প্রকাশ যেন হয়। এখানে কারচুপির কোন ব্যাপার নেই। আগে মূল্যস্ফীতি আট বা নয়ে আটকে রাখা হত।’ গেল ১৫ বছরের তথ্য বিভ্রাট নিয়ে ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি’ হতে হয় উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘টের পাচ্ছি কিসের মধ্য দিয়ে গত ১৫ বছর। মূল্যস্ফীতি, জিডিপি নিয়ে তথ্য বিভ্রাটের পেছনে অনিচ্ছাকৃত কিছুটা ভুল রয়েছে আবার নীতি নির্ধারকরাও তথ্য লুকানোর চেষ্টা করেন।’ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বার বার সুদের হার বাড়ানো হলেও সুফল মিলছে না নিত্যপণ্যের বাজারে; চড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি নভেম্বরে আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে। আগের মাসেও এই হার ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তার মানে ২০২৩ সালের নভেম্বরে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় মিলেছে, তা এ বছরের নভেম্বরে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১১১ টাকা ৩৮ পয়সা। তথ্য বিভ্রাট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোন পাওয়ার দেখাতে আসিনি একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। গত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ, দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করেন, তারা বোঝাতে চান আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।’ ব্যাংকিং অ্যালমানাকের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ সচিব মো. খায়রুজ্জামান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, গ্রন্থটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সৈয়দ জিয়া উদ্দিন আহমেদ, আব্দার রহমান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১,৩০০ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা চায় পদ্মা ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্বল ব্যাংকের তালিকায় থাকা পদ্মা ব্যাংক। চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা বলছেন, ‘পদ্মা ব্যাংক গ্রাহক ও প্রতিষ্ঠানের আমানতের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করেছে। তার আগে পদ্মা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’ ‘ব্যাংকটির কাছে বর্তমানে যে টাকা রয়েছে- তা দিয়ে আমানত ফেরত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই, তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তারল্য সহায়তা চাচ্ছে।’ এ নিয়ে পদ্মা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজী মো. তালহার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদ্মা ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্যাংকটি তারল্য সংকটে ভোগার কারণে গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। বর্তমানে ব্যাংকটিতে ছয় হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে। এসব আমানতের টাকা কিছুটা হলেও যেন ফেরত দেওয়া যায়- এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে তারল্য সহায়তা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, নভেম্বরে সংকটে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক- এই ছয় ব্যাংককে তারল্য সহায়তা হিসেবে ২২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন করে টাকা ছাপিয়ে এ সহায়তা দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ‘এক দিকে যেমন টাকা ছাপানো হচ্ছে, তেমনি সেই টাকা বাজার থেকে তুলেও নেওয়া হবে। ফলে ‘মূল্যস্ফীতিকে ঠিক রাখার প্রচেষ্টা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন না’ বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। জানা গেছে, আর্থিক অনিয়মের কারণে পদ্মা ব্যাংক বছরের পর বছর আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। পদ্মা ব্যাংকের আগের নাম ছিল ফারমার্স ব্যাংক। অনিয়ম আর ঋণ কেলেঙ্কারিতে ফারমার্স ব্যাংক বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে - মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন ঘটে ২০১৭ সালে। আগের সরকারের উদ্যোগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক- সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) মিলে পদ্মা ব্যাংকের মালিকানার বেশিরভাগ অংশ কিনে নেয়। সেজন্য ৭১৫ কোটি টাকার মূলধন জোগাতে হয়। তাতেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পদ্মা ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের দশটি দুর্বল ব্যাংকের তালিকাতেও ছিল পদ্মা ব্যাংক। আর্থিক খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় সাত মাস আগে ‘মার্জার’ বা একীভূতকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যস্থতায় একীভূত হওয়ার শর্ত হিসেবে নিরীক্ষার কাজও শেষ করেছিল পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক। সেই নিরীক্ষা প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমাও দেওয়া হয়েছিল। তবে, নানা কারণে সেটি থমকে যায়।

অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
দুর্যোগকালীন সময়ের প্রস্তুতি পরীক্ষা ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান (বিসিপি) ড্রিল ২০২৪ সম্পন্ন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।দিনব্যাপী এই ড্রিলে, বাস্তব সম্ভাবনার আলোকে তৈরি একটি কাল্পনিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলো — যেমন অ্যাকাউন্ট সার্ভিসেস, অ্যাসেট অপারেশন্স, কার্ড অপারেশনস, পেমেন্টস অ্যান্ড ট্র্যানজ্যাকশনস, ট্রেড সার্ভিসেস, ট্রেজারি অপারেশন্স, ফাইন্যান্স, এজেন্ট ব্যাংকিং, কল সেন্টার ইত্যাদি ইউনিট ন্যূনতম সমস্যার সম্মুখীন হয়ে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পাদন করে।ব্র্যাক ব্যাংকের একটি পূর্ণাঙ্গ বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান রয়েছে, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে কোনো পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ব্যাংকিং খাতের এমন একটি ব্যবস্থা, যা দুর্যোগকালীন সময়ে গ্রাহকদের সেবা অব্যাহত রাখতে ব্যাংকের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ও রিকভারি সিস্টেম নিয়ে কাজ করে। বিসিপি’র মূল লক্ষ্য হলো বিভিন্ন বাধা-বিপত্তির প্রভাব কমিয়ে ব্যাংকের কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় শুরু করা।ব্যাংকের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বসমূহ সফলভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এই ড্রিলে ব্যাংকের ২৬টি বিভাগের ১০০-এর বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন। বিসিপি ড্রিল অনুসারে, এসব গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম কোনো বড় দুর্যোগের সময়ও নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যাওয়া যাবে।বিসিপি ড্রিল নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ রিস্ক অফিসার আহমেদ রশীদ জয় বলেন: “প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়েও ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য আমরা নিয়মিত বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল পরিচালনা করি, যাতে ভবিষ্যতে সেবা ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়। এই ড্রিল আমাদের গ্রাহকদের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং দুর্যোগকালীন সময়েও সেবা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের প্রতিফলন।”