আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাথে রিয়া মানি ট্রান্সফারের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় রেমিট্যান্স কোম্পানি রিয়া মানি ট্রান্সফারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকের প্রধান কর্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর চৌধুরীর। এ সময় ইন্ডিয়া ও সাউথ এশিয়া রিয়া মানি ট্রান্সফার সার্ভিসেস প্রাঃ লিঃ এর এমডি ও সিনিয়র রিজনাল ডিরেক্টর ড. এমিল রুবান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাফাত উল্লা খান, উপব্যবস্থাপনা মো. আমিনুল ইসলাম ভুঁইঞা, এস এম আবু জাফর এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ড. এমিল রুবান বলেন, ‘রিয়া মানি হলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মানি ট্রান্সফার সার্ভিস, যার কার্যক্রম বিশ্বের ১৯০টি দেশে রয়েছে। আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের গ্রাহকদের কার্যকর রেমিট্যান্স সমাধান প্রদান করতে সক্ষম হবে এবং আমাদের ব্যবসাকে আরও প্রসারিত করবে।’ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর চৌধুরী বলেন, ‘রিয়া মানি ট্রান্সফারের সাথে এই ব্যবসায়িক কার্যক্রম আমাদের মূল্যবান গ্রাহকদের জন্য দ্রত, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য লেনদেন নিশ্চিত করতে এবং রেমিট্যান্স পরিষেবাগুলোকে উন্নত করার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করে।’

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের উদ্যোগে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কম্বল বিতরণ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, গ্রাম এবং ওয়ার্ডের এক হাজার গরীব ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (১ ফেব্রয়ারি) উপজেলার গুনাগরী কজিম চৌধুরী ভবনের সামনে এই কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিচালক আলহাজ্ব কামাল মোস্তফা চৌধুরী। ভিপি ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখার শাখাপ্রধান শাব্বির আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনেস্কো ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান মিনু, সহ-সভাপতি নীলরতন দাশ গুপ্ত, সদস্য মাহবুব উর রহমান, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক তাজমীম মোস্তফা চৌধুরী ও তানভীর মোস্তফা চৌধুরী এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক ইনতিশার মোস্তফা চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব কামাল মোস্তফা চৌধুরী বলেন, `গ্রামীণ জনপদের অর্থশালী মানুষ ও বিভিন্ন প্রতিষ্টান এগিয়ে আসলে শীতার্ত গরীব মানুষ আর শীতে কষ্ট পায় না। তিনি আরো বলেন, ‘স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাঁশখালীতেও এক হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে পেরে আমি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক শিএলসির প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি’। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এসএভিপি ও জুবলী রোড শাখার ও শাখাপ্রধান নুর মোহাম্মদ রাহাত হোসেন, এসএভিপি ও বহদ্দারহাট শাখার শাখাপ্রধান মোহাম্মদ শহিদ উল্লাহ, গুনাগরী শাখার শাখাপ্রধান অলক তালুকদার, পাঁচলাইশ শাখার শাখাপ্রধান মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম, বাঁশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি শফকত হোসাইন চাটগামী, সেক্রেটারী আবদুল মতলব কালু, অর্থ সম্পাদক দিদার হোসাইন, ব্যাংক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী (জুয়েল), মোহাম্মাদ মহিউদ্দীন, আব্দুল আলীম, মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন চৌধুরীসহ চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

চাঁদাবাজির কারণে পাঁচ হাজার টাকার ভাড়া বেড়ে হয় ১২ হাজার: অর্থ উপদেষ্টা

দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার একটি বড় কারণ হিসেবে চাঁদাবাজির কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আগে যারা চাঁদাবাজি করতো তাদের পাশাপাশি রাজনীতিতে যারা জায়গা দখলের চেষ্টায় আছে তাদের লোকজন চাঁদাবাজি করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য চাঁদাবাজরাও সক্রিয় আছে। নির্বাচিত সরকার আসার আগে এটির পুরোপুরি সমাধান কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি । অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতি এখানে লিগ্যাসি প্রবলেম। গত দুই-তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির এ রকম অবস্থা হয় নাই। প্রচুর আয়-উপার্জন হয়েছে, অনেকে টাকা উড়িয়েছে। কোটি কোটি টাকার মেগা প্রজেক্টস (আরেকটি সমস্যা)। মেগা প্রজেক্টের সমস্যা হলো, রিটার্ন আর আউটপুট দ্রুত আসে না। ব্রিজ হলো, সরবরাহ চেইনে তো দ্রুত কোনো প্রভাব নাই। অ্যাট দ্য সেম টাইম, রেমিট্যান্স অনেকটা কমে গেলো। এর ফলে মূল্যস্ফীতি আমরা একেবারে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই, তা না। কিছুটা করেছি। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। কিন্তু নন-ফুডে আবার কিছুটা কমেছে। সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। আমরা সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব। সাপ্লাই চেইন ইজ ব্রোকেন। আর অনেক মিডল ম্যান। মহাস্থানগড় থেকে একটি ট্রাক ঢাকায় আসবে। পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া পড়ে ১২ হাজার টাকা। চাঁদাবাজি তো কমে নাই। চাঁদাবাজি কমানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক সরকারের সুবিধা হলো, তার পলিটিক্যাল আর্মস ছিল। আমাদের তো সেরকম নাই। ইউ নো দ্য লিমিটিশেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, একজন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। চাঁদাবাজিতে এখন তিনটি বড় দল জড়িত। এক, আগে যারা ছিল তারাও আছে… (আওয়ামী লীগের); দুই, যারা এখন পলিটিক্যালি ইমার্জিং… মাঠপর্যায়ে আছে, তারাও চাঁদাবাজি করছে। তিন, স্থানীয় জনগণ। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলের তো ভোটের দিকে নজর থাকে। তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। বড় রাজনৈতিক দল যাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মী আছে, তাদের তো নিয়ন্ত্রণ করা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটু কঠিন হয়ে পড়ছে। দ্বিতীয়ত দুর্যোগের বিষয়টিও, কুমিল্লায় যেমন বন্যা হলো, শেরপুর-ময়মনসিংহে অতিবৃষ্টি হলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যার সম্মুখীন তো হয়েছি। তাই এখনো মুল্যস্ফীতি অনেক বেশি। সমস্যাটা সমাধান হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ এর নিচে নিয়ে আসতে পারবো। একেবারে পাঁচ-ছয়-চারে চলে যাওয়া অসম্ভব। পাঁচ-তো আদর্শিক অবস্থান। সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভাঙতে চেষ্টা করছি। আমাদের এখন সরকারি কয়েকটি সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যারা কিনা পর্যাপ্ত নয়। টিসিবি কার্ড দিয়ে বা ডেপুটি কমিশনার, ইউএনও দিয়ে তো মার্কেট কনট্রোল করা যাচ্ছে না। তারা একবার গেলো, পরে চলে এলো। মূল বিষয় হচ্ছে, জনগণকে সচেতন হতে হবে। আমি ডেটা সংগ্রহ করছি, মহাস্থানগড় থেকে শুরু করে কুমিল্লার কংশনগরে ফুলকপি কত টাকা বিক্রি হচ্ছে। ওখানে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ১০ টাকা না, দুই-তিন টাকায়ও পাচ্ছে। ঢাকায় ২০ টাকায় কিনছেন। আমরা ওদিকে (প্রান্তিক পর্যায়) দামটা বাড়িয়ে দিই, কৃষক তো ভুগছে। খুবই সত্য যে, পুলিশ আগের মতো সক্রিয় না। তাদের নানা কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, যেমন বাজারে যাও, ধরে নিয়ে আসো। ব্যাংক নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে এই মুহূর্তে বড় ঋণ নিচ্ছে না। এর আগে কিন্তু ৬০ হাজার কোটি টাকা, ওইটার বেশিরভাগ কিন্তু সরকার নিয়েছিল। আর আমার ২২ হাজার কোটি সরকারকে দিই নাই। বেসরকারি খাতে দিয়েছি। অ্যান্ড দে আর প্রডিউসিং সামথিং। সো দ্যাট ইজ নট কমপ্লিটলি পিউর মানি ক্রিয়েশন। যেটা আমরা বলি যে, স্ট্রেলাইজেশন, আমরা টাকা ছাপাচ্ছি, কিন্তু স্ট্রেলাইজ করছি। কিছু কিছু লিকুইডিটি আবার কনট্রোল করছি। ভ্যাট নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা যেগুলো ভ্যাট বসিয়েছি, কয়েকটি পণ্য ছাড়া বাকিগুলোতে ইমেডিয়েটলি লোকের মূল্যস্ফীতি, বাজেট এসেছে, তা না। আয়কর নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ব্যক্তিগত আয়করটা আমরা অনলাইন করেছি, কোম্পানিটা এখনো করা হয়নি, এটা করতে আরও সময় লাগবে। কোম্পানিরটা জটিল। এটা করলে কারও কাছে আর যেতে হচ্ছে না, তাই এখানে দুর্নীতিটা কম হবে। আরেকটা বিষয় স্পর্শকাতর, অনেক সময় এক্সেস ট্যাক্স দেয়, রির্টানটা পায় না। অন্য দেশে বেশি ট্যাক্স দিলে রিটার্ন আসে, বলা হয় আপনি এত টাকা বেশি দিয়েছেন। পরে এটা এডজাস্ট করা হয়। আমাদের এখানে অথরাইজড ভ্যাটের বেলায় পায়, অন্যরা পায় না। এজন্যই তো ছোটখাটো মিষ্টির দোকান পর্যন্ত বলে, আমরা দেবো? রুটি পর্যন্ত আসার আগ পর্যন্ত আটা-ময়দায় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার কাছ থেকে সব আদায় করছে। সেটা হচ্ছে না, এটা একটা প্রবলেম। অলরেডি কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করনীতি ও কর প্রশাসন আমি আলাদ করে দিচ্ছি। এনবিআর কেবল কর সংগ্রহ করবে। অ্যান্ড পলিসি ইজ ইউল বি ডান বাই ডিফারেন্ট বডি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ২০০৮ সালে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা হবে। কিন্তু এটা হয়নি। কারণ, এনবিআর অফিশিয়ালস এটিকে এলাউ করেনি। বলে কি, আমরা নিজরাই পলিসি করবো। নিজেরা যদি পলিসি করি, ওটা আমার মন মতো করে করবো। একজনের ওপর ট্যাক্স চাপাবো, এটা এডজুডিকেট আমি করবো, রাইট অর রং। সেটা তো হয় না। পলিসি যারা করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। এটা করলে সুবিধা হবে কী তখন, ব্যবসায়ীরা বলছে, এনবিআরের কাছে আমার ধর্ণা দিতে হয়, টাক্স আরো কমান। এখন থেকে আপনারা আমাদেরকে পলিসি দিয়ে দিবেন, আমার সেটি ফলো করবো। তখন কর সংগ্রহাকরী আমাকে ডিসক্রিশিয়নারি কিছু করতে পারবে না। দিস ইজ দ্য পলিসি, দিজ ইজ দ্য রেট। সম্পদের অসমতা নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ন্যারেটিভ হচ্ছে, আমাদের গ্রোথ অনেক হয়েছে। কিন্তু গ্রোথের সুফল তো লোকজন পায়নি। আমাদের আয়ের যে বৈষম্য... আয়ের চেয়ে বেশি খারাপ হলো সম্পদের বৈষম্য অনেক বেশি। একজনের ৫০টা ফ্ল্যাট-বাড়ি, দেশে-বিদেশে। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা একেবারে খুবই হাই গ্রোথ পাবো, আট থেকে নয় পাবো এটি না। আমরা প্রাক্কলন করেছি, পাঁচ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ পাবো। এর ফলটা যেন সবাই পায়, সমভাবে বলছি না, তবে সুফলটা যেন কাছাকাছি আকারে যায়। এটলিস্ট আশা করি, তা কৃষকের যাক, নারী কর্মীদের কাছে যাক, ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে যাক।

জানুয়ারিতে আসলো ২১৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা ৭ কোটি ২০ লাখ বা ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে বেশি এসেছে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগের মতো না কমে ২০ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই–জানুয়ারি সময়ে প্রবাসীরা এক হাজার ৫৯৬ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ২৯১ কোটি ডলার। এই হিসেবে প্রথম ৭ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩০৫ কোটি ডলার বা ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। এর আগের মাস গত ডিসেম্বরে কোনো একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। ডিসেম্বরে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ছিল ২৬৪ কোটি ডলার। এর আগে কোনো একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল করোনার মধ্যে ২০২০ সালের জুলাইতে। ওই মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি ডলার। মূলত বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে ওই সময়ে হুন্ডি চাহিদা তলানিতে নামায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ছিল। সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার পতনের পর থেকে রেমিট্যান্সসহ বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হুন্ডি চাহিদা কমেছে। বাণিজ্যের আড়ালে কিম্বা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ যারা দেশের বাইরে পাঠাতো তাদের বেশিরভাগই এখন দৌড়ের ওপরে আছে। ভোগ্যপণ্যসহ বিভিন্ন আমদানিতে কম মূল্য দেখিয়ে এলসি খোলার প্রবণতা কমেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে অর্থ পাচারে কড়াকড়ি করছে সরকার। আবার ঋণ জালিয়াতি, রাজস্ব ফাঁকি, অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অনিয়মে অভিযুক্ত ১০টি গ্রুপের অনিয়ম তদন্তে যৌথ টিম কাজ করছে। নতুন করে পাচারের সুযোগ তো দূরে থাক, উল্টো আগে পাচার করা অর্থ দেশে আনার চেষ্টা চলছে। এসব কারণে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ।

রমজানে বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার কারন দেখছিনা: বাণিজ্য উপদেষ্টা

আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়বে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে খাদ্য পণ্যের যৌক্তিক দাম : বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান শীর্ষক পলিসি কনক্লেভ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে আমদানি ব্যবস্থা ও মজুত যথেষ্ট আছে। ইনশাআল্লাহ রমজান উপলক্ষে কোন সমস্যা হবে না। তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুরের কোন সংকট বাজারে নেই। রমজানে বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার কারন দেখছিনা।’ শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের যে দাম দেখি দেশের বাজারে তাতে দাম কমার কথা। দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখি না। খাদ্য পণ্যের যৌক্তিক মূল্য কি হতে পারে তা নিয়ে আজ অনেক আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো কিভাবে কর্মে পরিণত করা যায় তা নিয়ে স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা হবে। ভোক্তাকে প্রকৃত সাহায্য করার জন্য নীতি প্রনয়ন দরকার বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি ’ তিনি বলেন, বাজারের সঠিক প্র্যাকটিস নিশ্চিত করার জন্য প্রতিযোগিতা কমিশন আছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আছে, আছে ব্যবসায়ী পরিসর বৃদ্ধি করার জন্য টিসিবি। সর্বোপরি, বাজারকে ভোক্তার জন্য সহনীয় করতে ট্যারিফ কমিশন এবং এনবিআর কাজ করছে। এ সময় তিনি স্থানীয় উৎপাদক,আমদানি কারক ও ব্যবসায়ীদের বাজারকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, বছরে ৫-৬ লাখ টন রাইস ব্র্যান অয়েল ভারতে চলে যেত। রাইস ব্রান অয়েল স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। আমরা এটার রপ্তানি কঠিন করে দিয়েছি। অলরেডি ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি ট্যাক্স ইম্পোজ করা হয়েছে। এই তেল বাজারে আসলে বর্তমানের চেয়ে তেলের বাজার আরো স্থিতিশীল হবে। বোতল তেল ও খোলা তেলের ভেতর কোন পার্থক্য নেই, একমাত্র পার্থক্য দাম বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা। বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিযোগিতা কমিশনকে স্বাধীন করার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমাদের নীতিগুলো ধনিক শ্রেণির সুবিধার জন্য তৈরি হয়েছে, সাধারণ মানুষের জন্য নয়। গত ১৫ বছরে দেশে বড় কোনো বিনিয়োগ হয়নি, ফলে কর্মসংস্থানও বাড়েনি। বিনিয়োগ না বাড়ে ট্যাক্স কালেকশন কিভাবে বাড়বে প্রশ্ন রাখেন উপদেষ্টা। ব্যাংকগুলোকে অপরাধ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক, টিসিবি ধ্বংস করা হয়েছে। টিসিবির তালিকায় ৪৩ লাখ ভুয়া উপকারভোগী পাওয়া গেছে, যা আরও যাচাই করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।অনুষ্ঠানে কী-নোট উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান,জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব ) মো. আবদুর রহিম খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক সার্জিস আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সমন্বক উমামা ফাতেমা বক্তৃতা করেন।

এলপি গ্যাসের দাম আবারও বাড়লো

চলতি মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৯ টাকা থেকে ১৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) নতুন এ দামের ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে। এর আগে জানুয়ারি মাসের শুরুতে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল এলপিজির দাম। তবে গত ১৪ জানুয়ারি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া প্রতিলিটার অটোগ্যাসের দাম ৮৯ পয়সা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ৭৪ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এবার রমজানে সুলভ মূল্যে গরু ও খাসির মাংস বেচবে না সরকার

সক্ষমতা ও অতীত বিতর্কের অজুহাতে এবার রমজানে সুলভ মূল্যে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি করবে না প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বাজারে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন ভোক্তা ও অর্থনীতিবিদরা। আর মাংস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানাচ্ছে, সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হলে তারা যোগান দিতে প্রস্তুত। ২০২০ সাল থেকে রমজান মাসে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করে আসছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। যেখানে বাজারমূল্য থেকে কমে এসব পণ্য পান ভোক্তারা।গত বছরও ঢাকার ২৫টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ ফ্রিজিং ভ্যানে ও পাঁচটি বাজারের দোকানে প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে ৪ হাজার কেজি মাংস বিক্রি হয়েছে। এবার রমজানে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এতে বাজারে দাম বাড়ার আশঙ্কায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভোক্তারা।সরবরাহকারীরা বলছেন, ‘মুরগির মাংসের জন্য ফ্রিজিং ব্যবস্থা যেহেতু করতেই হবে সুতরাং গরু ও খাসির মাংস বাদ দেয়ার কোনো যুক্তি নেই। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হলে তারা সরবরাহ করতে প্রস্তুত আছেন।’ বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে গুরুর মাংসে। দুধ এবং মুরগির মাংস দেয়ার জন্য ফ্রিজার ভ্যান লাগছেই। ফলে দুইটা পণ্য সরে গেলেও আগের খরচই বহন করতে হবে। প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে কিছু বলা হয়নি।’মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘এ বছর সুলভ মূল্যে ডিম, দুধ আর মুরগির মাংস বিক্রি করা হবে। পাশাপাশি মাছও সরবরাহের চেষ্টা করছি।কেন বাদ হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মূলত ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়শনের মাধ্যমে যে মাংস দেয়া হতো সেটা আসবে না। গত বার মাংস বিক্রি নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়েছিল। এ নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে যে, আমরা যদি গরু ও খাসির মাংস নিরাপদভাবে দিতে না পরি তাহলে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।’উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাজারে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের পুষ্টির কথা বিবেচনায় নিয়ে কর্মসূচি চালু রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার বড় কারণ চাঁদাবাজি: অর্থ উপদেষ্টা

দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার একটি বড় কারণ হিসেবে চাঁদাবাজির কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আগে যারা চাঁদাবাজি করতো তাদের পাশাপাশি রাজনীতিতে যারা জায়গা দখলের চেষ্টায় আছে তাদের লোকজন চাঁদাবাজি করছে এবং স্থানীয় পর্যায়ের অন্যান্য চাঁদাবাজরাও সক্রিয় আছে।’ নির্বাচিত সরকার আসার আগে এটির পুরোপুরি সমাধান কঠিন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি । অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি এখানে লিগ্যাসি প্রবলেম। গত দুই-তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতির এ রকম অবস্থা হয় নাই। প্রচুর আয়-উপার্জন হয়েছে, অনেকে টাকা উড়িয়েছে। কোটি কোটি টাকার মেগা প্রজেক্টস (আরেকটি সমস্যা)। মেগা প্রজেক্টের সমস্যা হলো, রিটার্ন আর আউটপুট দ্রুত আসে না। ব্রিজ হলো, সরবরাহ চেইনে তো দ্রুত কোনো প্রভাব নাই। অ্যাট দ্য সেম টাইম, রেমিট্যান্স অনেকটা কমে গেলো।’ ‘এর ফলে মূল্যস্ফীতি আমরা একেবারে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই, তা না। কিছুটা করেছি। খাদ্যে মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। কিন্তু নন-ফুডে আবার কিছুটা কমেছে। সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। আমরা সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব।’ ‘সাপ্লাই চেইন ইজ ব্রোকেন। আর অনেক মিডল ম্যান। মহাস্থানগড় থেকে একটি ট্রাক ঢাকায় আসবে। পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া পড়ে ১২ হাজার টাকা। চাঁদাবাজি তো কমে নাই।’ চাঁদাবাজি কমানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সরকারের সুবিধা হলো, তার পলিটিক্যাল আর্মস ছিল। আমাদের তো সেরকম নাই। ইউ নো দ্য লিমিটিশেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, একজন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।’ চাঁদাবাজিতে এখন তিনটি বড় দল জড়িত। এক, আগে যারা ছিল তারাও আছে… (আওয়ামী লীগের); দুই, যারা এখন পলিটিক্যালি ইমার্জিং… মাঠপর্যায়ে আছে, তারাও চাঁদাবাজি করছে। তিন, স্থানীয় জনগণ। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের তো ভোটের দিকে নজর থাকে। তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। বড় রাজনৈতিক দল যাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মী আছে, তাদের তো নিয়ন্ত্রণ করা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটু কঠিন হয়ে পড়ছে।’ ‘দ্বিতীয়ত দুর্যোগের বিষয়টিও, কুমিল্লায় যেমন বন্যা হলো, শেরপুর-ময়মনসিংহে অতিবৃষ্টি হলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্যার সম্মুখীন তো হয়েছি। তাই এখনো মুল্যস্ফীতি অনেক বেশি।’ সমস্যাটা সমাধান হবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি, জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ এর নিচে নিয়ে আসতে পারবো। একেবারে পাঁচ-ছয়-চারে চলে যাওয়া অসম্ভব। পাঁচ-তো আদর্শিক অবস্থান।’ সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ভাঙতে চেষ্টা করছি। আমাদের এখন সরকারি কয়েকটি সংস্থার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। যারা কিনা পর্যাপ্ত নয়। টিসিবি কার্ড দিয়ে বা ডেপুটি কমিশনার, ইউএনও দিয়ে তো মার্কেট কনট্রোল করা যাচ্ছে না। তারা একবার গেলো, পরে চলে এলো। মূল বিষয় হচ্ছে, জনগণকে সচেতন হতে হবে।’ ‘আমি ডেটা সংগ্রহ করছি, মহাস্থানগড় থেকে শুরু করে কুমিল্লার কংশনগরে ফুলকপি কত টাকা বিক্রি হচ্ছে। ওখানে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ১০ টাকা না, দুই-তিন টাকায়ও পাচ্ছে। ঢাকায় ২০ টাকায় কিনছেন। আমরা ওদিকে (প্রান্তিক পর্যায়) দামটা বাড়িয়ে দিই, কৃষক তো ভুগছে।’ ‘খুবই সত্য যে, পুলিশ আগের মতো সক্রিয় না। তাদের নানা কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না, যেমন বাজারে যাও, ধরে নিয়ে আসো।’ ব্যাংক নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকিং খাত থেকে এই মুহূর্তে বড় ঋণ নিচ্ছে না। এর আগে কিন্তু ৬০ হাজার কোটি টাকা, ওইটার বেশিরভাগ কিন্তু সরকার নিয়েছিল। আর আমার ২২ হাজার কোটি সরকারকে দিই নাই। বেসরকারি খাতে দিয়েছি। অ্যান্ড দে আর প্রডিউসিং সামথিং। সো দ্যাট ইজ নট কমপ্লিটলি পিউর মানি ক্রিয়েশন। যেটা আমরা বলি যে, স্ট্রেলাইজেশন, আমরা টাকা ছাপাচ্ছি, কিন্তু স্ট্রেলাইজ করছি। কিছু কিছু লিকুইডিটি আবার কনট্রোল করছি।’ ভ্যাট-ট্যাক্স নিয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার আর্গুমেন্টটা হলো, বাংলাদেশ ইজ এ মোস্ট লিস্ট ট্যাক্সড কান্ট্রি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। এমনকি ভুটানের তুলনায়ও। যাস্ট রেট ইনকাম ট্যাক্স অনুযায়ী আমরা বাড়াবো না তা তো না। এখনো তো বাকি আছে, এটা তো অনলি ভ্যাট, কেবল ১২ হাজার কোটি টাকার একটা... টার্গেট তো কয়েক লাখ কোটি টাকার রেভিনিউ। তাই ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে আমরা রেশনালাইজড হতে চাই। পৃথিবীর কোনো দেশে ভ্যাট দুই দশমিক চার, পাঁচ, সাত, সাত দশমিক পাঁচ এ রকমও না।’ ‘বেশিরভাগ দেশে ন্যূনতম ভ্যাট ১৫ শতাংশ। আমরা ভাবছিলাম, পাঁচ যেগুলো আছে দশ করি, সাড়ে দশ করি। অলরেডি কয়েকটা পণ্যে আছে। এ জন্য আমরা কিছুটা রেশনালাইজড করতে চেয়েছি। আর আমি চেষ্টা করবো, বাজেটে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতা কমাতে।’ আয়কর নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই ট্যাক্স নেটটা (করজাল) বাড়াবো। প্রথমত, ট্যাক্স লিকেজ হয়, যারা ট্যাক্স দেওয়ার কথা, যত টাকার দেওয়ার কথা, তা দেয় না। কারণ, তারা টেবিলের নিচে সেটেল করে। এটা আমাদের কর সংগ্রহে বড় একটি দুর্বলতা। যতটা আমরা ধারণা করি, দেওয়ার কথা, তারা ততটা দেয় না। আমরা এনবিআরকে ডিজিটাইলাইজড করার চেষ্টা করছি। এবার যেমন আমরা ১২ লাখ (অনলাইনে রিটার্ন) পেয়েছি।’ ‘ব্যক্তিগত আয়করটা আমরা অনলাইন করেছি, কোম্পানিটা এখনো করা হয়নি, এটা করতে আরও সময় লাগবে। কোম্পানিরটা জটিল। এটা করলে কারও কাছে আর যেতে হচ্ছে না, তাই এখানে দুর্নীতিটা কম হবে।’ ‘আরেকটা বিষয় স্পর্শকাতর, অনেক সময় এক্সেস ট্যাক্স দেয়, রিটার্নটা পায় না। অন্য দেশে বেশি ট্যাক্স দিলে রিটার্ন আসে, বলা হয় আপনি এত টাকা বেশি দিয়েছেন। পরে এটা অ্যাডজাস্ট করা হয়।’ ‘আমাদের এখানে অথরাইজড ভ্যাটের বেলায় পায়, অন্যরা পায় না। এজন্যই তো ছোটখাটো মিষ্টির দোকান পর্যন্ত বলে, আমরা দেবো? রুটি পর্যন্ত আসার আগ পর্যন্ত আটা-ময়দায় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার কাছ থেকে সব আদায় করছে। সেটা হচ্ছে না, এটা একটা প্রবলেম।’ ‘অলরেডি কেবিনেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করনীতি ও কর প্রশাসন আমি আলাদ করে দিচ্ছি। এনবিআর কেবল কর সংগ্রহ করবে। অ্যান্ড পলিসি ইজ ইউল বি ডান বাই ডিফারেন্ট বডি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট।’ ‘২০০৮ সালে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, করনীতি ও কর প্রশাসন আলাদা হবে। কিন্তু এটা হয়নি। কারণ, এনবিআর অফিশিয়ালস এটিকে এলাউ করেনি। বলে কি, আমরা নিজরাই পলিসি করবো।’ ‘নিজেরা যদি পলিসি করি, ওটা আমার মন মতো করে করবো। একজনের ওপর ট্যাক্স চাপাবো, এটা এডজুডিকেট আমি করবো, রাইট অর রং। সেটা তো হয় না। পলিসি যারা করবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।’ ‘এটা করলে সুবিধা হবে কী তখন, ব্যবসায়ীরা বলছে, এনবিআরের কাছে আমার ধর্ণা দিতে হয়, টাক্স আরও কমান। এখন থেকে আপনারা আমাদের পলিসি দিয়ে দেবেন, আমার সেটি ফলো করবো। তখন কর সংগ্রহকারী আমাকে ডিসক্রিশিয়নারি কিছু করতে পারবে না। দিজ ইজ দ্য পলিসি, দিজ ইজ দ্য রেট।’ অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘করদাতার সংখ্যা বাড়াবো। আর সিস্টেমটা্ও পরিবর্তন করছি। ডিজিটালাইজেশন প্লাস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ট্যাক্স কালেকশন উইল বি ডিফারেন্ট জব।’ ‘করদাতাদের থেকে নেওয়া টাকার পরিমাণ বাড়বে, ২৫-৩০ শতাংশ থেকেও বাড়ানোর চিন্তা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি ওটা চিন্তা করছি না। ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর চিন্তা করছি।’ সম্পদের অসমতা নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ন্যারেটিভ হচ্ছে, আমাদের গ্রোথ অনেক হয়েছে। কিন্তু গ্রোথের সুফল তো লোকজন পায়নি। আমাদের আয়ের যে বৈষম্য... আয়ের চেয়ে বেশি খারাপ হলো সম্পদের বৈষম্য অনেক বেশি। একজনের ৫০টা ফ্ল্যাট-বাড়ি, দেশে-বিদেশে। এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’ ‘আমরা একেবারে খুবই হাই গ্রোথ পাবো, আট থেকে নয় পাবো এটি না। আমরা প্রাক্কলন করেছি, পাঁচ দশমিক পাঁচ দুই শতাংশ পাবো। এর ফলটা যেন সবাই পায়, সমভাবে বলছি না, তবে সুফলটা যেন কাছাকাছি আকারে যায়। এটলিস্ট আশা করি, তা কৃষকের যাক, নারী কর্মীদের কাছে যাক, ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে যাক।’

ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা নর্থ ও সাউথ জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ঢাকা নর্থ ও ঢাকা সাউথ জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ আবদুল জলিল এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এএসএম রেজাউল করিম, বসির আহাম্মদ , এ কে এম মাহবুব মোরশেদ, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শিকদার মো. শিহাবুদ্দীন, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ড. মোঃ শরীফ উদ্দিন প্রামাণিক ও আবুল লাইছ মোহাম্মদ খালেদ। সম্মেলনে জোনদ্বয়ের অধীন শাখাপ্রধান ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের স্বত্বাধিকারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ববাজারে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করল সোনা

বিশ্ববাজারে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে সোনা। প্রথম বারের এক আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৮০০ ডলার স্পর্শ করেছে। বিশ্ববাজারে সোনার এমন দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে দেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে বিশ্ববাজারে যে হারে বেড়েছে, দেশের বাজারে সেই হারে বাড়েনি। ফলে দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়তে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এ বাজুসের দায়িত্বশীল একজন জানান, বিশ্ববাজারে এক আউন্স সোনার দাম যে কোনো সময় ২ হাজার ৮০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে অনেক আগেই ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দফা দুই হাজার ৮০০ ডলারের কাছাকাছি গিয়ে ফিরে আসে। গত সপ্তাহে প্রথম বারের মতো এক আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৮০০ ডলার স্পর্শ করেছে। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার কারণে দেশের বাজারেও গত সপ্তাহে দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে বিশ্ববাজারে যে হারে সোনার দাম বেড়েছে, তাতে দেশের বাজারে যে কোনো সময় আবার দাম বাড়তে পারে। আর দেশের বাজারে এখন সোনার দাম বাড়ানো হলে, বিশ্ববাজারের পাশাপাশি দেশের বাজারে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। বিশ্ববাজারের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ৭৭০ ডলার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেনের একপর্যায়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৭৩১ ডলারে নেমে যায়। তবে এরপর আবার দাম বাড়ার প্রবণতা শুরু হয়। গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৭৬০ ডলারে উঠলে দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস। ২৯ জানুয়ারি বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে পরের দিন ৩০ জানুয়ারি থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাজুসের এ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩৬৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৪২ হাজার ৭৯১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩০৭ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়ে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৯৫৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৬ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বাজারে এ দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে। দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসার পর বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪০ ডলারের মতো বেড়ে গেছে। সপ্তাহ শেষে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৯৭ ডলার। অবশ্য সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেনের একপর্যায়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৮১৫ ডলার পর্যন্ত উঠে যায়। এর আগে কখনো এক আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৮০০ ডলার হয়নি। বিশ্ববাজারে এত দিন এক আউন্স সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিল ২ হাজার ৭৯০ ডলার। গত ৩০ অক্টোবরে সোনার এ দাম হয়। বিশ্ববাজারে সোনার এ রেকর্ড দাম হওয়ার পর ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশে সব থেকে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫৭৫ টাকা। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়ায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৬ টাকা। দেশের বাজারে এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম। বিশ্ববাজারে রেকর্ড দাম হওয়ার পরের দিন থেকেই অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর থেকে পতনের মধ্যে পড়ে সোনা। কয়েক দফায় দাম কমে ১৪ নভেম্বর প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৫৪৭ ডলার পর্যন্ত নেমে যায়। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে যেমন সোনার দাম বাড়ানো হয়, তেমনি বিশ্ববাজারে দরপতন দেখা দিলে দেশের বাজারেও সোনার দাম কমানো হয়। ৫ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে চার দফায় দেশের বাজারে ভালোমানের প্রতি ভরি সোনার দাম ৯ হাজার ১৭ টাকা কমানো হয়। এরপর বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরেও কয়েক দফায় দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো বা কমানোর ঘটনা ঘটে। আর নতুন বছর ২০২৫ সালে এখনো পর্যন্ত দেশের বাজারে তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। এ তিন দফা দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসার আগে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বড় অঙ্কে বাড়তে দেখা গেছে। চলতি বছর দেশের বাজারে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম তিন দফায় বেড়েছে ৪ হাজার ৫০৩ টাকা। অপরদিকে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ১৭৩ ডলার। এক আউন্স সমান ৩১ দশমিক ১০৩৪৭৬৮ গ্রাম। এ হিসাবে বিশ্ববাজারে চলতি বছর এখনো পর্যন্ত এক ভরি সোনার দাম বেড়েছে ৭ হাজার ৯১৫ টাকা (এক ডলার সমান ১২২ টাকা ধরে)।

দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। এতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম এক টাকা বাড়িয়ে ১০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া পেট্রোল ও অকটেনের দামও বাড়ানো হয়েছে এক টাকা। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আজ মধ্যরাত (১ ফেব্রুয়ারি) থেকেই নতুন দর কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস বা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণের লক্ষ্যে প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মাসের জন্য তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্য জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ১০৪ টাকা থেকে এক টাকা বাড়িয়ে ১০৫ টাকা ও কেরোসিন ১০৪ টাকা থেকে এক টাকা বাড়িয়ে ১০৫ টাকা পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করা হয়েছে। এছাড়া পেট্রোল ও অকটেনের দামও বাড়ানো হয়েছে এক টাকা। পেট্রোল ও অকটেনের দাম যথাক্রমে নির্ধারণ করা হয়েছে ১২২ টাকা ও ১২৬ টাকায়। এর আগে ডিসেম্বরে ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম লিটারে এক টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই সময়ে অকটেন ১২৫ ওপেট্রোল ১২১ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়। সরকার জ্বালানি তেলের দামে ভর্তুকি প্রদান থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে অবশ্য ঋণদাতা সংস্থা আইএমএফের চাপও রয়েছে।

শেষ মুহূর্তে বাণিজ্য মেলায় উপচেপড়া ভিড়

ভেতরে অসংখ্য মানুষ। প্রবেশের সবগুলো পথেই মানুষের দীর্ঘ সারি। মেলামুখী দুই প্রান্তের সড়কে মানুষের ঢল। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে দর্শনার্থীদের এমন ভিড় ছিল পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৯তম আসর। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী এই মেলার পর্দা নামছে আজ। মূল্য ছাড়ের ঘোষণা ও অপ্রত্যাশিত মূল্য ছাড়ে মেলার শেষের দিকে এসে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সংখ্যাও। নিয়ম অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে এ মেলা। সেই হিসাবে ছুটির দিন ছিল মেলার শেষ শুক্রবার। তাই দর্শনার্থীদের ভিড়ও ছিল বেশি। প্রবেশপথ পেরিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতেই নানা বয়সই হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায়। ভিড়ের কারণে অনেকটা ঠেলাঠেলি করে এগোতে হচ্ছিল মানুষকে। মাইকে ভেসে আসছে মেলা-সম্পর্কিত নানা তথ্য। বিশেষ করে গৃহস্থালির নানা পণ্য, খাবার, ইলেকট্রনিকস, ক্রোকারিজসহ সব পণ্যে নানা অফার থাকায় সবাই কিছু না কিছু কিনে বাড়ি ফিরছেন। দেশি-বিদেশি হরেক পণ্যের মেলায় মানুষ এসেছেন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। অনেকে এসেছেন সপরিবারে। ক্রেতা-দর্শনার্থীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন পছন্দের পণ্যের স্টলে। স্টলে স্টলে দেখা গেল বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে দর-কষাকষী। সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই রাজধানী ও আশেপাশের এলাকা থেকে সব শ্রেণি-পেশার ক্রেতা- দর্শনার্থীরা মেলায় আসতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন স্টলের মূল্য ছাড়ের সুযোগও নিচ্ছেন তারা। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, বাণিজ্যমেলার এবারের আসরে ৩৪৩টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও হংকংয়ের ১১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্টল মালিকরা জানান, মেলার শেষ দিকে বেচাকেনা বাড়লেও খুব একটা লাভের মুখ দেখছেন না তারা। এদিকে সময় বাড়ানোর দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ তাতে সায় দেয়নি। বিক্রয়কর্মীরা জানান, শৈত্যপ্রবাহের কারণে মেলার শুরুতে তেমন দর্শনার্থী আসেনি। শুক্র ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতেও তেমন সাড়া মেলেনি। তবে দিন যত গড়াতে থাকে তত মানুষের আগমন বাড়তে থাকে। মেলার মূল ভবনে দেখা যায় তিল ধারনের ঠাঁই নেই। হল ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে আছে। ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। ভিশন প্যাভিলিয়নের ব্যবস্থাপক বলেন, আজ শেষ দিন হওয়ায় আমরা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের থেকে ভাল সাড়া পাচ্ছি। আমাদের সব পণ্যে ২০ শতাংশ ছাড় চলছে। বেচা-কেনা ভালো, তবে আরও ভালো হতে পারতো মেলায় টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ি, থ্রি-পিস স্টলের বিক্রয়কর্মী আক্তার বলেন, আজ শেষ দিন হওয়ায় আমাদের বিক্রি ভালো। আমাদের এখানে সুলভ মূল্যে আসল তাঁতের শাড়ি, থ্রি-পিস পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের বিক্রি বেশি, লাভ কম। আশা করছি পরেরবার আরও বেশি বিক্রি করতে পারব। মেলায় আগত একজন ক্রেতা বলেন, আজ মেলায় স্বাভাবিকভাবেই অনেক ভিড়। তবে আগারগাঁও যখন মেলা হতো তখন ব্যাপারটাই অন্যরকম ছিল। তবে এখানেও খারাপ না। বিদেশি স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হলে আরও বেশি মানুষ আসবে বলে আমি মনে করি। মেলা থেকে বের হওয়ার পথেও দীর্ঘ সারি। মেলা থেকে বের হওয়ার পর যাদের নিজস্ব বাহন নেই, তারা পড়েন কিছুটা বিড়ম্বনায়। কাছাকাছি বেশ কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা থাকলেও চালকেরা ভাড়া হাঁকেন প্রায় দেড়-দুইগুণ। অনেকে বাধ্য হয়ে তাতেই আরোহী হন। আবার অনেকে হেঁটে যান সামনের দিকে। মূল সড়কে গিয়ে অটোরিকশা, বাস বা অন্য বাহন পাওয়ার আশায়। বিকেল ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার সমাপ্তি ঘোষণার কথা থাকলেও মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। গত ১ জানুয়ারি পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন।

সোনালী ব্যাংক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষণ কল্যাণ ট্রাস্টের চুক্তি সই

সোনালী ব্যাংক পিএলসির নিজস্ব সফটওয়্যার সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে বিবিধ ফি ও চার্জ আদায়ে সোনালী ব্যাংক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে চুক্তিটি সই হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাক্তার বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুতাহের মো. মাসুদ রানা ও সোনালী ব্যাংকের পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী। সোনালী ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও মো. শওকত আলী খান ও প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের মো. আবদুল হাকিম চুক্তিতে সই করেন।

পূবালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড চালু

পূবালী ব্যাংক পিএলসি এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড চালু করেছে।সম্প্রতি এক্সক্লুসিভ এই কার্ড উন্মোচন করেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার একে আজাদ খান এবং পূবালী ব্যাংকের উপ￾ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান।কো-ব্র্যান্ডেড কার্ড উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, পূবালী ব্যাংকের ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চল প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক আবু লাইছ মো. শামসুজ্জামান, হেড অব কার্ড বিজনেস ও উপমহাব্যবস্থাপক এনএম ফিরোজ কামাল, শাহবাগ এভিনিউ শাখা প্রধান উপমহাব্যবস্থাপক মোসা. মাসুমা খাতুনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্তিত ছিলেন। এই ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি এবং এর উদ্যোগী সংস্থগুলির সব এমপ্লয়ী ব্যাংক এবং সমিতির লোগো সম্বলিত ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড পাবেন।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের অডিট কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির অডিট কমিটি (এনআরসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গোলাম হাফিজ আহমেদ।সভায় কমিটির সদস্য এসএএম হোসাইন উপস্থিত ছিলেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. হাবিবুর রহমান ও কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও ইবনে সিনা ট্রাস্টের পে-রোল ব্যাংকিং চুক্তি সই

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এবং দি ইবনে সিনা ট্রাস্টের মধ্যে সম্প্রতি পে-রোল ব্যাংকিং চুক্তি সই হয়েছে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর চৌধুরী ও ইবনে সিনা ট্রাস্টের সদস্য (অর্থ) কাজী হারুন উর রশিদ চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুর রহমান চৌধুরী ও ইবনে সিনা ট্রাস্টের সদস্য (প্রশাসন) একেএম সদরুল ইসলাম চুক্তিতে সই করেন। এ চুক্তির আওতায় ইবনে সিনা ট্রাস্টের কর্মকর্তারা ব্যাংকের পে-রোল প্রিভিলেজ সার্ভিসের বিশেষ সুবিধা পাবেন। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মো. রাজীবুল ইসলাম ভূঁইয়া, এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী মোস্তাফিজুর রহমান, দি ইবনে সিনা ট্রাস্টের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফয়েজ উল্লাহ, জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাকাউন্টস এনড ফাইন্যান্স) গোলাম মর্তুজা মাসুদ এবং উভয় প্রতিষ্ঠানেরঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়ল আরও ১৬ দিন

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলন ও সংঘাতের ধাক্কায় সরকারের প্রত্যাশা অনুযায়ী আয়কর রিটার্ন জমা না পড়ায় ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়কর রিটার্ন জমার সময় আরও ১৬ দিন বাড়ানো হল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। এই সময় ৩১ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল। অর্থ উপদেষ্টার কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে এনবিআর। এর আগে সরকার দুই দফায় দুই মাস রিটার্ন জমার সময় বাড়িয়েছিল। আরেক আদেশে কোম্পানির ক্ষেত্রে রিটার্ন জমার সময় এক মাস বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ১৬ মার্চ করা হয়েছে। আয়কর আইন অনুযায়ী, ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার রিটার্ন জমা শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। বোর্ড চাইলে এরপর একক সিদ্ধান্তেই আরও এক মাস সময় বাড়াতে পারে। তবে মহামারীসহ নানা সংকটকালীন সরকার চাইলে সময় বাড়াতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদনের মাধ্যমে এনবিআর আদেশ জারি করতে পারে। এ বছর জুলাই-অগাস্টের আন্দোলন বিবেচনায় তিন দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। এনবিআরের তথ্যানুযায়ী, গত ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে ৩৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩৭টি; এর মধ্যে অনলাইনে জমা পড়েছে ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫২টি। এর মাধ্যমে ৫ হাজার ৯ কোটি টাকার কর আদায় হয়েছে। গত করবর্ষে আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছিল ৪৩ লাখের বেশি। এ বছর ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত সব সরকারি কর্মচারী, সারাদেশের সব তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সারাদেশের সব মোবাইল টেলিকম সেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং কিছু বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিলে বাধ্যতামূলক করেছে এনবিআর। বিধান অনুযায়ী, বছরে আয় সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হলে আয়কর প্রযোজ্য হয়। ব্যাংক হিসাব খোলা, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারসহ বেশ কিছু কাজে এখন রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক। রিটার্ন জমা দিলে ব্যাংকে সঞ্চয়ে সুদ বা মুনাফা এবং পুঁজিবাজারে লভ্যাংশের ওপর ১৫ শতাংশের বদলে ১০ শতাংশ আয়কর দেওয়া যায়।

হঠাৎ বন্ধ কম্বাইন্ড হারভেস্টারে ভর্তুকি, চালের দাম বাড়ার শঙ্কা

বিনা নোটিশে বন্ধ হলো ভর্তুকি মূল্যে ধান কাটার কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিক্রির প্রকল্প। এলসির দায় শোধ করা নিয়ে বিপাকে আমদানিকারকরা। মেশিনে ধান না কাটতে পারলে খরচ বাড়ায় প্রভাব পড়বে চালের দামেও। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বোরো ধান নিশ্চিতে ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় হাওর অঞ্চলের কৃষকরা। সময়মতো ধান কেটে ঘরে তুলতে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের ওপর নির্ভরশীল অনেক কৃষক। ক্রমবর্ধমান শ্রমিক সংকট ও আকস্মিক বন্যার হাত থেকে ফসল বাঁচাতে ভর্তুকি মূল্যে এই মেশিন কৃষককে দিতে ২০২০ সালে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয় সরকার। যে প্রকল্পের আওতায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার কিনলে ৫০-৭৫ শতাংশ দাম শোধ করা ভর্তুকি দিয়ে।প্রকল্পে মেশিন সরবরাহকারীরা বলছেন, ‘এরই মধ্যে ৯ হাজার ৫৭৮টি মেশিন বিক্রিও করেছেন তারা। ৫ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প আগামী জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গেল আমন মৌসুম থেকে আকস্মিক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ভর্তুকি। যার মাশুল গুনছেন তারা।’আবেদিন ইকুয়েপমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন বলেন, ‘চলতি বছর এ খাতে ভর্তুকি দেয়া হবে কি না, এমন কেনো তথ্য নেই। ফলে দুশ্চিন্তায় মেশিন সরবরাহকারী থেকে শুরু করে কৃষকরা।’মেটাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিদ জামিল বলেন, ‘ভর্তুকি না থাকায় উদ্যোক্তা ও কৃষকরা মেশিন কিনতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এতে আমদানি করা মেশিন বিক্রিতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’এই প্রকল্প বন্ধ করে দেয়ায় শুধু কি আমদানিকারকরাই বিপাকে পড়েছেন? নাকি চালের উৎপাদন খরচও বাড়বে? সেই হিসাবও মিলিয়ে দিচ্ছেন তারা। প্রকল্পে মেশিন সরবরাহকারীরা জানান, একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনে এক ঘণ্টায় এক একর জমির ধান কেটে মাড়াই-ঝাড়াই করে বস্তাবন্দি করতে যেখানে খরচ হয় ৬-৮ হাজার টাকা। সেখানে হাতে কেটে এই কাজ করতে ১৫ জন শ্রমিকের লাগবে এক দিন, আর ব্যয় হবে ১২-১৫ হাজার টাকা।আবার হাতে ধান কেটে জমি থেকে ঘরে তুলতে ১২-১৫ শতাংশ ফলন নষ্ট হলেও কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনে হয় সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ। এসব বাড়তি খরচ দিন শেষে যোগ হবে চালের দামে। আবেদিন ইকুয়েপমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন বলেন, এতে বাড়বে চালের দাম। কারণ উৎপাদন খরচ বাড়লে পণ্যের দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। যা প্রভাব ফেলবে বিক্রিতে। ফলে অনেক লোকসানের ভয়ে কৃষিকাজ ছেড়ে দিতে পারে।এমন বাস্তবতায় দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ‘স্বচ্ছতার নামে কৃষিবান্ধব এমন প্রকল্প বন্ধ করা হলে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা।’ অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, ‘এ খাতে দুর্নীতি হয়েছে, এটি পরিষ্কার। তবে ভর্তুকি বন্ধ করে দেয়া হলে এটি কৃষির জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে। যা প্রভাব ফেলবে দেশের খাদ্য ব্যবস্থায়।’তবে ঠিক কি কারণে প্রকল্পের অর্থায়ন বন্ধ করা হয়েছে তা না জানালেও এটি আর চালু করা হচ্ছে না তা নিশ্চিত করেছেন বর্তমান প্রকল্প পরিচালক।

বায়িং হাউজের অনিয়ম ধরতে বস্ত্র দপ্তরকে অনুরোধ জানাবে বাংলাদেশ ব্যাংক

বায়িং হাউজগুলোর ব্যবসায় করতে আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। কিন্তু এখন তারা বস্ত্র দপ্তর থেকে অনুমোদন নেয়। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা হয়েও বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। তাই, বায়িং হাউজগুলোর অনিয়ম ধরতে বস্ত্র দপ্তরকে অনুরোধ জানাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বায়িং হাউজগুলো কোনো অনিয়ম করলে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ জন্য তাদের উপর নজরদারি বাড়াতে বস্ত্র দপ্তরকে পরামর্শ দেবে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।’ তিনি আরও বলেন, ‘একইভাবে অনুমোদন ছাড়া শিপিং প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে কোনো পণ্য পরিবহন করতে না পারে, সে বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’ এলসি খোলা নিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘এলসি খোলা নিয়ে কোন সমস্যা না থাকলেও অনেক ক্ষেত্র রেগুলার এলসিতেও বায়াররা পেমেন্ট দিতে চায় না। রপ্তানিকারকরা নিয়ম মেনে খোলার পর এটির কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে ব্যাংক টু ব্যাংক। এক্ষেত্রে বাংলাদেশী ব্যাংকগুলো তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করে না। এতে সমস্যায় পড়ে রপ্তানিকারক। অনেক সময় দেখা যায়, এলসি খোলার পর ব্যাংকগুলো ব্যাক টু ব্যাক করতে ১৫-২০ দিন সময় নিয়ে নেয়। এতে শিপমেন্ট সিডিউল ঠিক রাখতে সমস্যায় পড়তে হয় রপ্তানিকারকের। যার জন্য ডিসকাউন্ট বা এয়ার শিপমেন্টে যেতে হয়। এতে লোকশান ঘন্টা হয় ব্যবসায়ীদের।’ ‘এছাড়া কোন কোন সময় রপ্তানি আয় আসতে দেরি হলেও ব্যাংকগুলো রপ্তানিকারকের উপর চাপ প্রয়োগ করে। অথচ তারা নিজেরাই তাদের ঠিকমত পালন করে না।’

টাকা জমা রেখে ১৩% পর্যন্ত মুনাফা পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা

সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) ও প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে (সিপিএফ) টাকা জমা রাখার বিপরীতে মুনাফা হার গত অর্থবছরের মতই ১১ থেকে ১৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য এ হার নির্ধারণ করে আজ বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখলে মুনাফা মিলবে ১৩ শতাংশ। ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাখলে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ শতাংশ এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি টাকা জমা রাখার বিপরীতে ১১ শতাংশ মুনাফা মিলবে। জিপিএফ-সিপিএফে টাকা রাখলে সরকারি কর্মচারীরা একসময় ১৩–১৪ শতাংশ সুদ পেতেন। এই হারকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কমিয়ে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ করা হয়। গত ২০২৩–২৪ অর্থবছর এ হার অব্যাহত ছিল। বুধবার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে একই সুদহার বহাল রাখা হয়। তবে সঞ্চয়পত্রের সুদও এত বেশি নয়—সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। একসময় সরকারি কর্মচারীরা মূল বেতনের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত জিপিএফে টাকা রাখতে পারতেন। তবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ বিভাগ সুদের হার না কমিয়ে জিপিএফে টাকা রাখার সীমা কমিয়ে মূল বেতনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনে। যেসব কর্মকর্তা–কর্মচারী রাজস্ব খাত থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন জিপিএফে। আর যারা রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন সিপিএফে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের মতো সিপিএফভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংগতি এক রকম না হওয়ায় তারা নিজস্ব আর্থিক বিধিবিধানের আলোকে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মচারীদের জন্য জিপিএফের স্লাবভিত্তিক মুনাফার হারকে সর্বোচ্চ ধরে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী মুনাফা হার নির্ধারণ করতে পারবে।

আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

চলতি মাসে তৃতীয় বারের মতো স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে এবার সর্বোচ্চ এক হাজার ৩৬৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যা বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম হবে এক লাখ ৪২ হাজার ৭৯১ টাকা। যা এত‌দিন ছিল এক লাখ ৪১ হাজার ৪২৬ টাকা। দাম বাড়ানোর ফলে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ এক লাখ ৪২ হাজার ৭৯১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩০৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৬ হাজার ৮২৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৯৬ হাজার ১৮ টাকায় বিক্রি করা হবে। স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা। বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, স্বর্ণ ও রুপার অংলকার কিনতে গেলে ক্রেতাকে নির্ধারিত দামের সঙ্গে ৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৬ শতাংশ মজুুরি গুণতে হবে। অর্থাৎ এখন ক্রেতা ২২ ক্যারেট মানের এক ভরি স্বর্ণের অংলকার কিনতে গেলে লাগবে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৩ টাকা (স্বর্ণের দাম এক লাখ ৪২ হাজার ৭৯১ টাকা, ভ্যাট-৭ হাজার ১৪০ টাকা এবং মজুরি ৮৬৬৭ টাকা)।

‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’ অর্থনীতি পুনর্গঠনে ওপেন সোসাইটির সহযোগিতা কামনা প্রধান উপদেষ্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে একটি ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত’ অর্থনীতি পেয়েছে। এ অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা কমনা করছি।’ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন নজিরবিহীন স্বাধীনতা উপভোগ করছে। তবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল ও ভুয়া তথ্যের বিস্তার ঘটেছে।’ ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্বল্পোন্নত দেশ উত্তরণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করে, যা প্রধান উপদেষ্টা স্বাগত জানান। মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের এই উত্তরণ প্রক্রিয়াটি কোনো সমস্যা ছাড়াই কীভাবে সম্পন্ন করা যায়, সে বিষয়ে ভাবতে হবে।’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স সোরোস বলেন, ‘আমরা এসব ক্ষেত্রে আপনার প্রচেষ্টা সমর্থন করার উপায় খুঁজব।’ প্রধান উপদেষ্টা ওপেন ফাউন্ডেশনকে নজিরবিহীন ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের খবর ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে পাচার হওয়া প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করার জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের পিসিআই ডিএসএস সার্টিফিকেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি পেমেন্ট কার্ড ইন্ডাস্ট্রি ডেটা সিকিউরিটি স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেট পেয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ব্যাংকের প্রধান কর্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফরমান আর চৌধুরীর হাতে সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেন সার্টিফাইং অথরিটি কন্ট্রোল কেসের সভাপতি সুরেশদাদলানি। অনুষ্ঠানে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাফাত উল্লা খান, ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাদিম, মো. আবদুল্লাহ আল-মামুন, মো. ফজলুর রহমান চৌধুরী, মো. আসাদুজ্জামান ভূঁঞা, মো. আমিনুল ইসলাম ভূঁঞা, এসএম আবু জাফরসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগেরপ্রধান ও শীর্ষ নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পেমেন্ট কার্ড নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের স্বীকৃতিস্বরুপ দেয়া হয় এই সার্টিফিকেট। পেমেন্ট কার্ড ব্যবসায় কার্যক্রমের কার্যকর, দক্ষ, দৃঢ় ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে পিসিআই এসএসসি নির্ধারিত বাধ্যতামূলকশর্তগুলো সফলভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক এই সার্টিফিকেট পেয়েছে।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৪০৬তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

শরি‘আহ্ ভিত্তিক স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৪০৬তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল আজিজ। সভায় অংশ নেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান একেএম আবদুল আলীম, পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ, পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান কামাল মোস্তফা চৌধুরী, পরিচালক ফিরোজুর রহমান, এসএএম হোসাইন, মোহাম্মদ শামসুল আলম, গুলজার আহমেদ, মো. জাহেদুল হক, ফেরদৌস আলী খান, মো. আবুল হোসেন, স্বতন্ত্র পরিচালক গোলাম হাফিজ আহমেদ। সভায় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. হাবিবুর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মো. সিদ্দিকুর রহমান ও কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান।