
প্রতি বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। চলতি বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।
এই পরিস্থিতিতে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ১১০ টাকায় পৌঁছেছে, তাই আমদানির অনুমতি দিলে বাজারে সরবরাহ বাড়বে ও দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।
গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্যসচিব ও কৃষিসচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বিটিটিসি এই সুপারিশ জানায়। এর আগে সংস্থাটি স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পেঁয়াজের উচ্চ দামের সুফল কৃষক নয়, বরং মধ্যস্বত্বভোগীরাই ভোগ করছেন। তাই আমদানির সুযোগ দিলে বাজারে তাদের প্রভাব কমবে এবং ভোক্তারা যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
বিটিটিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানির প্রধান উৎস ভারত—সেখান থেকেই আসে মোট আমদানির প্রায় ৯৯ শতাংশ। এছাড়া তুরস্ক, পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন ও মিসর থেকেও সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। গত অর্থবছরে দেশে ৪ লাখ ৮৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে, যার ওপর বর্তমানে ১০ শতাংশ শুল্ককর আরোপিত।
অন্যদিকে, গত অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার টন। তবে সংরক্ষণ ঘাটতি ও নষ্ট হওয়াসহ নানা কারণে এর প্রায় এক-চতুর্থাংশ বাজারে আসতে পারেনি। ফলে বাজারে কার্যত ৩৩ লাখ টনের মতো পেঁয়াজ সরবরাহ পাওয়া গেছে।