ইউএনসিডিপি-এফবিসিসিআই সভা: টেকসই গ্র্যাজুয়েশনে স্থানীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জোর
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৭:২৩ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (ইউএনসিডিপি) সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন প্রক্রিয়াকে টেকসই করতে স্থানীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে এফবিসিসিআই। এ জন্য রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, নতুন বাজার অন্বেষণ, বেসরকারি খাতে গবেষণা ও উদ্ভাবন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করেছে এফবিসিসিআই। এক্ষেত্রে, জাতিসংঘের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য সংগঠনটির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে ইউএনসিডিপির সদস্য তেফারে তেসফাচিউর নেতৃত্বে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব এএইচএম জাহাঙ্গীর এবং এসএসজিপি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট ম্যানেজার মোস্তফা আবিদ খানসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় এফবিসিসিআই এই আবেদন জানায়।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন সংক্রান্ত জাতিসংঘের মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এই তিন সূচকেই বাংলাদেশ উত্তীর্ণ হয়েছে। এই অর্জনের ফলে বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। এতে করে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) উৎসাহিত হওয়ার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের আস্থা দৃঢ় হবে।’
পাঁচ বছরের প্রস্তুতি শেষে বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। জাতিসংঘের নিয়মানুসারে, উত্তরণের প্রস্তুতকালীন বাংলাদেশকে একটি ’স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি’ বা এসটিএস প্রণয়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের যৌক্তিক মতামতের প্রতিফলন দেখা যাবে বলে আশা করেন হাফিজুর রহমান।
তিনি আরো বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরে রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশ আর বিশেষ সুবিধা পাবে না। উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারণেও চাপে পড়বেন উদ্যোক্তারা। এ পরিস্থিতিতে, উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে পৌঁছানোর জন্য স্থানীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
সভায় তেফারে তেসফাচিউ বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে। তবে বিশ্ব অর্থনীতি এখন একটি কঠিন সময় পার করছে, যার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় পর্যায়েও।’
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ প্রক্রিয়াকে টেকসই করতে সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত পদক্ষেপের ওপর জোর দেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) পরিচালক মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হাসান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) উপ-পরিচালক সুজন দাস গুপ্ত, সার্ক চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট শাফকাত হায়দার, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার, সাবেক পরিচালক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী খোকন, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, বেসিসের সহ-সভাপতি এম আসিফ রহমান।