
রাজধানীর রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তদন্ত আরও গভীরে যাচ্ছে। মামলার প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের সহযোগী কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম হাসিবুজ্জামান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালত সূত্র জানায়, ডিবি পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ কবিরকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক আংশিকভাবে আবেদন মঞ্জুর করে সাত দিনের রিমান্ডের নির্দেশ দেন।
এর আগে সোমবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকা থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। একই দিনে মামলার আরেক সন্দেহভাজন ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু এবং বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রোববার হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানের তিন দিনের রিমান্ডও মঞ্জুর করেন আদালত।
ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পরিবারের সম্মতি নিয়ে রোববার রাতে পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া ওসমান হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার গণসংযোগের উদ্দেশ্যে বিজয়নগর এলাকায় গেলে তিনি হামলার শিকার হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। চলন্ত একটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা হামলাকারী তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তা সরাসরি তার মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাকে রাতেই ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।