
জুলাই আন্দোলনে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা আড়াল করা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে তথ্য গোপন করার উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট বন্ধ করার পেছনে সজীব ওয়াজেদ জয়–ই “মাস্টারমাইন্ড” ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাযজ্ঞে সহায়তা এবং মরদেহ ও আলামত গুমের মামলার শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বক্তব্য দেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, “সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশে কখনও আসে নাই বিষয়টা তা না, তিনি রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত ছিলেন, উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি আইসিটির এডভাইজার ছিলেন এবং আইসিটি মন্ত্রাণালয় বাংলাদেশের গণহত্যাকে আড়াল করার জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে সারা বাংলাদেশে গণহত্যাকে যেভাবে ফ্যসিলিটেট করেছিল, গোটা দুনিয়ার কাছ থেকে এই গণহত্যার তথ্য লুকানোর চেষ্টা যে করেছিল সেটার মাস্টারমাইন্ড কিন্তু জয়। সেটা বাংলাদেশে থেকে বাস্তবায়ন করেছিল জুনাইদ আহমেদ পলক।”
তিনি আরও বলেন, “জয়ের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনেই হবে। তার বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ আছে।”
এদিন আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আগে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও শেখ হাসিনার বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। যুক্তরাজ্য থেকে দুইজন আইনজীবী নিয়োগের জন্য পৃথক দুটি আবেদন দাখিল করা হয়।
চিফ প্রসিকিউটর এ প্রসঙ্গে বলেন, “বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ রয়েছে, তবে সেটি আইনি শর্তসাপেক্ষে।”
এদিকে আরেক মামলায় উপস্থিত না থাকায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
তাজুল ইসলাম জানান, বুধবার জুলাই হত্যাযজ্ঞের মামলায় আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে হাজির করা হয় এবং তাদের পক্ষ থেকে বিদেশি আইনজীবী আনার আবেদন করা হয়। ওই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ ডিসেম্বর।
সেদিনই ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাযজ্ঞে সহায়তা ও মরদেহ গুমের মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে আদালতে হাজির করা হয়। আর অনুপস্থিত থাকায় তার সহ-আসামি জয়ের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় নতুন আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলাটিতে মোট সাক্ষীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জন।