চাঁদাবাজদের হামলায় সড়কেই ঢলে পরেন অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার শামিম


চাঁদাবাজদের হামলায় সড়কেই ঢলে পরেন অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার শামিম

নরসিংদীতে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জেরে অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন শামিম। জনসম্মুখে হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পড়ে যান তিনি। পরে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে নরসিংদী পৌর শহরের আরশিনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত অবস্থায় আনোয়ার হোসেন বলেন, "সকালে নরসিংদী পৌর শহরে নিয়মিত টহল চলছিল। আমি আরশিনগর এলাকা ক্রস করছিলাম। ওই সময় দুজন লোক যানবাহন থেকে টাকা তুলছিল। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম কিসের টাকা তোলা হচ্ছে। টাকা তুলতে তো হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে বলে জানালাম। এরই মধ্যে ৩০/৩৫ জন লোক অতর্কিতভাবে আমার ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে কিল-ঘুষি মারা শুরু করে। পরে আমাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আমি সঙ্গে সঙ্গে অচেতন হয়ে পড়ে যাই। পরে সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমি চোখ খুলে দেখি আমি হাসপাতালে। এখানে প্রাথিমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।"

চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সম্প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। ফেসবুকেও বিষয়টি নিয়ে সরব হন তিনি। সেখানে তিনি বিভিন্ন মহলের বাধার মুখে পড়ার কথা জানান এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেন, যেকোনো সময় তার ওপর হামলা হতে পারে।

অন্যদিকে পৌর এলাকার সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ইজারাদার মো. আলমগীর এই ঘটনার পর বলেন, "আমি পৌরসভা থেকে ২৫ লাখ টাকায় স্ট্যান্ডের ইজারা নিয়েছি। কিন্তু অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন প্রায়ই ইজারার টাকা তুলতে বাধা দেয়। এর আগেও আমাদের দুজন লোককে ধরে নিয়ে জেলে পাঠিয়েছিল। আজকেও আরশীনগর এলাকায় গিয়ে আমাদের লোকজনকে আটক করছিল। এখন আমরা বৈধভাবে ইজারা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের যদি কাজ করতে না দেয়, তাহলে সরকারকে দেওয়া ২৫ লাখ টাকা আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।"

তবে এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, "এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।"

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×