হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রেকর্ড পরিমাণ চাল ও পেঁয়াজ আমদানি
- দিনাজপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১২:০৭ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২৫

দেশের বাজারে চাল ও পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রেকর্ড পরিমাণে চাল ও পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। গত দুই দিনে ভারত থেকে ৯৪টি ট্রাকে করে ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন চাল এবং ৪০টি ট্রাকে করে ১ হাজার ১৯০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ দেশে এসেছে।
চাল আমদানি শুরু হলেও গত এক সপ্তাহ ধরে শুল্ক জটিলতার কারণে তা বন্দরে আটকে ছিল। এর ফলে বাজারে চাল সরবরাহ সম্ভব হয়নি এবং মূল্যেও কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর থেকে চাল খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা আজ থেকেই দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। আমদানিকারকরা আশা করছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়লে চালের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।
বর্তমানে আঠাশ জাতের চাল ৫৫ টাকা, স্বর্ণা জাতের চাল ৫২ টাকা এবং জিরা চাউল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, পেঁয়াজের আমদানির পরিমাণ বাড়ায় পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৩ টাকা কমে ৬২ টাকা হয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দামও কেজিপ্রতি ২ টাকা কমে এখন ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাহিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান জানান, দেশের বাজারে চাল ও পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে আমদানিকারকরা বন্দর দিয়ে অধিক হারে পণ্য আমদানি করছেন। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে এবং চাল সরবরাহ শুরু হলে এর দামও কমে আসবে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন জানান, সরকারের নির্দেশনায় চালের আমদানি শুল্ক ৬৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে হিলি বন্দর দিয়ে চাল ও পেঁয়াজ আমদানি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। গত দুই দিনে ভারতীয় ৯৪ ট্রাকে ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন চাল এবং ৪০ ট্রাকে ১ হাজার ১৯০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে বলে তিনি জানান।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সরকারের এই উদ্যোগ বাজারে চাল ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হবে।