টাঙ্গাইলে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’ আজ, নিরাপত্তায় ৯ শতাধিক পুলিশ

জুলাই মাসব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) টাঙ্গাইলে পদযাত্রা ও সমাবেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছেন। শহরের প্রধান প্রধান সড়কজুড়ে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও পোস্টারে মুখরিত হয়ে উঠেছে পরিবেশ।

কর্মসূচিতে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে, সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন প্রায় ৯০০ পুলিশ সদস্য, যার মধ্যে এপিবিএনের ৭০ জন সদস্যও রয়েছেন।

এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সোমবার রাতেই টাঙ্গাইলে পৌঁছেছেন। তারা প্রথমে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং পরে ভাসানী দরবার হলে স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

পদযাত্রায় দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, সদস্যসচিব সারোয়ার নিভা এবং ডা. তাজনুভা জাবিন উপস্থিত থাকবেন।

উত্তরাঞ্চলের সংগঠক আজাদ খান ভাসানী বলেন, টাঙ্গাইলের বিপ্লবী মাটি আবারও গর্জে উঠবে জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রনায়কদের স্মরণে। আমরা আশা করছি, পদযাত্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের অংশগ্রহণ হবে।

তিনি আরও জানান, পদযাত্রাটি সকাল সাড়ে ১০টায় শামসুল হক তোরণ থেকে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করবে এবং শেষে নিরালা মোড়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সংক্ষিপ্ত পথসভায় মিলিত হবে।

আজাদ খান আরও বলেন, নিরালা মোড় কেবল একটি সড়ক মোড় নয়, এটি ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণআন্দোলনের স্মৃতিবাহী স্থান। যেখানে জনগণের স্লোগান ও প্রতিরোধের জোয়ার একসময় ইতিহাস রচনা করেছিল। এবার এনসিপির পদযাত্রায় সেই ইতিহাস পুনরুজ্জীবিত হবে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, পদযাত্রা ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এপিবিএনের ৭০ সদস্যসহ মোট ৯০০ পুলিশ সদস্য মাঠে থাকবে, যাতে অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।