প্রেমিকার বিয়ে ভাঙতে এসে বিজিবি সদস্য ধরা
- শরীয়তপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:২৭ এম, ০৭ জুলাই ২০২৫

প্রেমিকার বিয়ে ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেলেন বিজিবি সদস্য সুলাইমান মুন্সী। শরীয়তপুর সদর উপজেলার মধ্য চরসুন্দী গ্রামে এক কলেজছাত্রীর বিয়ের দিনে তার বাড়িতে গিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন তিনি। প্রেমের সম্পর্কের একান্ত ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে বিয়ে ভাঙার চেষ্টা চালান। তবে স্থানীয় জনতা টের পেয়ে তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে এবং পুলিশে সোপর্দ করে।
রোববার (৬ জুলাই) সকালে উপজেলার মধ্য চরসুন্দী গ্রামে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন।
গ্রেফতার বিজিবি সদস্য সুলাইমান মুন্সী শরীয়তপুর পৌরসভার কাশাভোগ এলাকার মোতালেব মুন্সীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর কলেজের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন সুলাইমান। নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এমনকি একাধিকবার ওই সম্পর্কের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেন। পরে মেয়েটি জানতে পারে সুলাইমান আসলে বিবাহিত এবং তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। প্রতারণা বুঝে সম্পর্ক থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয় মেয়েটি। এরপর তার পরিবার মেয়ের বিয়ের আয়োজন করে। কিন্তু বিয়ের দিন সকালেই পরিকল্পনা মতো হাজির হন সুলাইমান। বিয়ের পাত্রের মোবাইলে পাঠিয়ে দেন মেয়েটির ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও। এরপর সরাসরি কনের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধের অপচেষ্টা চালান। ঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা তাকে ধাওয়া করে আটক করে এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, সুলাইমান আমাকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করেছে। আমার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছে এবং ভিডিও ধারণ করেছে। এখন বিয়ে ভাঙার চেষ্টা করে আমার জীবন ধ্বংস করতে চায়। আমি এর কঠোর বিচার চাই।
শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, শুধু সম্পর্ক নয়—সুলাইমান মেয়ের কাছ থেকে অর্থও হাতিয়ে নিয়েছে। এখন মেয়ের বিয়ে ভাঙতে গিয়ে সমাজে অসম্মানিত করছে। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার প্রেক্ষিতে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রেফতার সুলাইমান মুন্সীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।