কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন
- রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০২:১০ পিএম, ১২ মে ২০২৫

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহৎ ৭২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার সকালে রাঙামাটির মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন এর মৎস্য অবতরণ ঘাটে মাছের পোনা অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
এবছর কাপ্তাই হ্রদে ৫৬ মে.টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। একইসাথে প্রায় ২৭ হাজার জেলেকে ভিজিএফ কার্ড বিতরণ করা হবে। মাছ ধরা বন্ধের তিন মাস একটি কার্ডের বিপরীতে ২০ কেজি করে চাল পাবে জেলেরা।
মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, মাছের ধরা বন্ধের সময় যাতে কেউ মাছ ধরতে না পারে সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হবে। কিছু অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ীরা নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করা হয় সেটি বন্ধে জোর দেয়া হবে। বন্ধের সময় ভিজিএফ এর মাধ্যমে ২০ কেজি চাল থেকে বাড়িয়ে ৪০ কেজি করা হবে।
প্রতিবছর হ্রদের কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধির লক্ষে ১ মে থেকে ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এসময়ে হ্রদ থেকে মাছ আহরণ, মজুদকরণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন বন্ধ থাকে।
মাছের পোনা অবমুক্ত ও জেলেদের মাঝে বিতরণের আগে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান এর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অনুপ কুমার চাকমা, মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউটের মহা পরিচালক ড. অনুরুধা ভদ্র, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ প্রমুখ।
এতে অতিথিরা বলেন, লোকবলের অভাবে হ্রদ তদারিক করা সম্ভব হচ্ছে না। বিএফডিসির আধুনিকায়ন করার মাধ্যমে ড্রোন ও সিসি ক্যামেরা হ্রদ তদারকি করা হবে। হ্রদ খননের জন্য আন্ত মন্ত্রণালয় সভা আহ্বানের কথা জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর কার্প জাতীয় মাছের প্রকৃতিক প্রজনন, বংশ বৃদ্ধির জন্য কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকে। এ বছর কাপ্তাই হ্রদ হতে সাড়ে ৮ হাজার মে:টন মৎস্য আহরনের বিপরীতে প্রায় ১৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।