ঈদের বন্ধে চট্টগ্রামে ১০৭ নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন


ঈদের বন্ধে চট্টগ্রামে ১০৭ নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন

পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের সরকারী বন্ধে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদেরকে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা চালু ছিল। গত ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহে চট্টগ্রাম জেলা জেলা পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অধীন নগরীর কর্ণেলহাট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন মাও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, প্রত্যেক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মোট ১০৭টি নরমাল ডেলিভারী সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি নগরীর কর্ণেলহাট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে এএনসি সেবা পেয়েছে ১৫ জন ও পিএনসি সেবা পেয়েছে ১০ জন। অন্যান্য মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং প্রত্যেক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ডেলিভারী সেবা, এএনসি ও পিএনসি সেবাসহ পরিবার পরিকল্পনা সেবাসমূহ চালু ছিল। 

চট্টগ্রাম জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক লিক্সন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে ১০২টি নরমাল ডেলিভারীর মধ্যে  শুধু  কর্ণেলহাট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নরমাল ডেলিভারী হয়েছে ১০টি। এএনসি সেবা পেয়েছে ১৫ জন ও পিএনসি সেবা পেয়েছে ১০ জন। এছাড়া সীতাকুন্ডে ৩টি, মিরসরাইয়ে ২৫টি, চন্দনাইশে ৯টি, ফটিকছড়িতে ৪টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৬টি, আগ্রাবাদে ২টি, কর্ণফুলীতে ১০টি, পটিয়ায় ২টি, পাঁচুরিয়ায় ১৩টি, বোয়ালখালীতে ৩টি, আনোয়ারায় ৩টি, বাকলিয়ায় ১৪টি, বাঁশখালী ১টি ও সাতকানিয়ায় ২টি নরমাল ডেলিভারী সম্পন্ন করা হয়।

পরিবার পরিকল্পনা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বেগম শাহান ওয়াজ জানান, কৈশোর-বান্ধব স্বাস্থসেবা নিশ্চিতকরণ, বাল্যবিবাহ রোধ, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদেরকে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ফলে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের সরকারী বন্ধে পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা চালু ছিল। শিশুর বাসযোগ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৈশারকালীন স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি সুস্থ মা ও সন্তান অত্যন্ত জরুরী। 

কৈশোর-বান্ধব স্বাস্থ্যসেবার এ অগ্রযাত্রায় সবাইকে সামিল হওয়ার আহবান জানান তিনি।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×