কিশোরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে পাঁচজনের কমিটি
- কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:৫৮ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে পাঁচজন বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির নেতা মো. রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জালাল উদ্দিনের কাছে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অপর চার সদস্য হলেন মো. আতিকুর রহমান মাসুদ, কামাল উদ্দিন মো. মাহমুদুজ্জামান রিপন ও মো. আব্দুস আব্দুস ছাত্তার।
কমিটি গঠনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত শনিবার পাকুন্দিয়া উপজেলার চণ্ডিপাশা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলন চলার সময় দুইজন সভাপতি পদপ্রার্থীর সামর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।’
বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য কারও গাফিলতি, কোনো পক্ষের উস্কানি বা কারও অবহেলা অসতর্কতা ছিল কিনা এবং প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জালাল উদ্দিন।
তিনি জানান, কমিটিকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা বিএনপির সভাপতির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাদের উপস্থিতিতে পাকুন্দিয়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মো. বদরুল আলমকে আহ্বায়ক করে চণ্ডিপাশা ইউনিয়ন বিএনপির ৭১ সদস্য আহ্বায়ক কমিটিও অনুমোদন দেয়া হয়।
গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চণ্ডিপাশা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা ডাকে ইউনিয়ন বিএনপি। এ সময় সভা চলাকালে ওয়ার্ডের দুই সভাপতি প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপক্ষই চেয়ার দিয়ে অন্য পক্ষের লোকজনকে আঘাত করে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।