মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ চালাচ্ছে নৌবাহিনী
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:৩৯ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় বিশেষ কম্বিং অপারেশ পরিচালনা করছে।
গত ১২ জানুয়ারি হতে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে উপকূলীয় জলাশয় ও নদী অববাহিকায় ১০ মিটারের কম গভীরতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী সব অবৈধ জাল অপসারণে ৪টি ধাপে পরিচালিত এ অভিযানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে সরকার কর্তৃক জারিকৃত ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ ৪টি ধাপে আগমী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চবে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, মোংলা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলায় নৌবাহিনীর ১১টি জাহাজ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বোটের মাধ্যমে ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ চালাচ্ছে নৌবাহিনী। ইতোমধ্যে নৌবাহিনীর দায়িত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল, মশারী জাল, চটজাল ও টংজাল উদ্ধার করে ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি এসব অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে তৎসংলগ্ন এলাকাগুলোতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) হতে বিশেষ কম্বিং অপারেশনের তৃতীয় ধাপ শুরু হয়। মঙ্গলবারও (১১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের বহিঃনোঙ্গর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নৌবাহিনী জাহাজ ও বোটের মাধ্যমে ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ চালানো হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল উদ্ধার ও জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়।
এই অভিযানে নৌবাহিনীর বিশেষ টিম, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৬টি দোকান হতে অবৈধ ৩০ লক্ষ ৬ শত ৫০ মিটার চড়ঘেরা জাল, ৬ লক্ষ ১১ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল, ৩ হাজার ৪ শত মিটার বেহুন্দি জাল ও ২১ লক্ষ ৬০ হাজার মিটার পাইজাল জব্দ করা হয়। যেগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য টাকা ২ কোটি ৯ লক্ষ ৩২ হাজার মাত্র। এছাড়াও অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬ শত ৫০ মিটার জাল, ৯টি বেহুন্দি জাল ও অবৈধ মাছ উদ্ধার করা হয়। যেগুলোর আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭ শত টাকা। তৃতীয় ধাপে সোমবার পর্যন্ত প্রায় ২১ কোটি ৬২ লক্ষ ৬ হাজার ৭ শত টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়। অভিযানে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৭৬ কোটি ৩২ লক্ষ ৫ হাজার ১ শত টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়। অভিযানে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বৈধ মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করতে জেলেদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। অবৈধ উপায়ে মৎস্য আহরণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।