ছাত্রদল-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ আহত ১৫, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনল সেনাবাহিনী
- মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:১২ পিএম, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫

মুন্সীগঞ্জ সদরের মিরকাদিম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপর আহত ছাত্রলীগের কর্মী দুর্জয় আহমেদ (২৪), ছাত্রদলের কর্মী আল আমিন রক (১৯), কামরুল হাসান রবিন (২২), তনয় (২২), মেহেদি (২১), রিপন (২১), মোহিত (২১), রাকিবুল (২২), আলিফকে (২১) স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ দিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এ সময় পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাতজনকে আটক করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে সদরের মিরকাদিম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন শ্রেণির পরীক্ষায় ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজনের অংশগ্রহণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হট্টগোল হয়। পরে ছাত্রলীগের কর্মীদের পক্ষে বহিরাগতরা এলে ছাত্রলীগের কর্মী দুর্জয় আহমেদ ও ছাত্রদলের কর্মী আল আমিন সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী। এতে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ছাত্রলীগের আহত কর্মী দুর্জয় আহমেদ বলেন, ‘আমি এক সময় ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি। তবে আমি কোন পদে নেই। রোববার পরীক্ষায় অংশ নিতে এলে আমাকে তুলে নিয়ে মারধর করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।’
ছাত্রদলের আহত কর্মী আল আমিন রক বলেন, ‘বহিরাগত লোক নিয়ে এসে ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের এক সহপাঠীর ওপর হামলা করে। পরে আমরা প্রতিরোধ করতে গেলে আমাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।’
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি নেওয়া হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা।’