চসিকের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মারধরের অভিযোগ


চসিকের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মারধরের অভিযোগ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ঠিকাদার সমিতির সভাপতি এসএম আবু ছালেহের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) রাতে সিটির খুলশী থানায় মামলাটি করেন আরেক ঠিকাদার মোহাম্মদ নুরুল আমিন। মামলায় আবু ছালেহ ছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে নুরুল আমিনকে শাসানোর সত্যতা পেয়েছেন চসিকের কর্মকর্তারা।

এজাহারে নুরুল আমিনের অভিযোগ, তিনি চসিকের ঠিকাদার। একটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের ব্যাপারে গেল বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর একটার দিকে চসিকের করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহানের সাথে দেখা করতে যান। তৃতীয় তলায় গেলে পূর্বে থেকে অবস্থান করা আবু ছালেহসহ ১০-১৫ জন তাকে চাঁদা দিতে বলেন। অস্বীকৃতি জানালে কিল-ঘুসি ও মারধর করেন। এক পর্যায়ে তারা তাকে চসিকের ভবনের পূর্ব পাশে নিয়ে পিস্তল দেখিয়ে বলে, ‘সিটি করপোরেশনে কাজ করতে হলে পারসেন্টেজ দিতে হবে। না হলে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবে।’ 

এ নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমাম হোসেন বলেন, ‘চাঁদাদাবি, মারধর ও হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

আবু ছালেহ বলেন, ‘চসিকের প্রাক্তন মেয়র রেজাউল করিমের সময়ের কাজ নিয়ে ছয়-সাতজন লোক প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষের সামনে চেঁচামেচি করছিলেন। আমি তাদের চেঁচামেচি না করে চলে যেতে বলি। তখন নুরুল আমিন নামে একজন আমার সাথে উদ্যত আচরণ করেন। আমি তাকে কিছু বলিনি।’

সোমবার (১৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঠিকাদার সমিতির প্যাডে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান আবু ছালেহ। তাতে উল্লেখ করেন, লুটেরা, মাফিয়ারা সিটি করপোরেশনে আবারও সক্রিয় হওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত। রেজাউলের আমলে দুর্নীতির মাধ্যমে টেন্ডার ভাগাভাগিতে যুক্ত লোকজন খোলস পাল্টে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আবু ছালেহের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রকাশের প্রতিবাদ জানানো হয়।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×