সেন্টমার্টিনে পানি বৃদ্ধি, আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং


News Defalt/cox-44-1716657771.webp
টেকনাফ (কক্সবাজার) : 'ঘূর্ণিঝড় রেমাল’ এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের বাড়তে শুরু করেছে পানি। ফলে সেন্টমার্টিনের কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল-মোটেলে দ্বীপবাসীকে সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।আজ শনিবার রাত সাতে ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘জোয়ারের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
 
ফলে দ্বীপের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া দ্বীপে সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি-বাতাস বইছে।
 
দ্বীপের বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, রাতে জোয়ারের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দ্বীপের সাগরের তীরে কয়েকটি এলাকায় পানি ঢুকেছে। যার ফলে সেখানকার বাসিন্দাদের পানির বোতল ও শুকনো খাবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং চলছে। তবে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি আর বাতাসও বাড়ছে। এতে দ্বীপবাসীর মাঝে ভয়-ভীতি কাজ করছে।
 
এদিকে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান। তিনি জানান, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে মোংলা ও পায়রায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
 
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন, ‘বিপদ সংকেত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। দ্বীপে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার-পানি মজুদ রাখার পাশাপাশি আমাদের মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।’

 
 
 
ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×