
ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠীর নেতা আব্দুল মালিক আল-হুথি সোমালিল্যান্ডে ইসরায়েলের উপস্থিতিকে সামরিক লক্ষ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এটি ইয়েমেন ও সোমালিয়ার জন্য হুমকিস্বরূপ।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) অনলাইনে প্রকাশিত বিবৃতিতে হুথি নেতা বলেন, “সোমালিল্যান্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর যেকোনো উপস্থিতি আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি সামরিক লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করি, কারণ এটি সোমালিয়া ও ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।”
১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্রকে শুক্রবার ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক নিন্দার মুখে পড়েছে এবং তুরস্ক, সৌদি আরব, মিশর ও কাতারসহ আঞ্চলিক দেশগুলোর কাছ থেকেও সমালোচনা এসেছে।

হুথি নেতা এই স্বীকৃতিকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ উল্লেখ করে বলেন, এটি সোমালিয়া, ইয়েমেন এবং লোহিত সাগরের উভয় তীরবর্তী দেশগুলোর জন্য “প্রতিকূল অবস্থান” সৃষ্টি করবে।
এডেন উপসাগরে কৌশলগতভাবে অবস্থিত সোমালিল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি করে আসছে। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমালিয়ার “ঐক্য ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা” রক্ষায় পূর্ণ সমর্থন নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, “রাজ্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এবং সোমালিল্যান্ড অঞ্চলের মধ্যে পারস্পরিক স্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান করছে, এটিকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারী একতরফা বিচ্ছিন্নতাবাদী পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছে।”
তুরস্কও এই স্বীকৃতিকে “আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার উদাহরণ” বলে অভিহিত করেছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও শনিবার স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যানকারী দেশগুলোর তালিকায় সোমালিল্যান্ডকে যুক্ত করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েলের সাথে সোমালিল্যান্ডের সম্পর্ক লোহিত সাগরে তাদের প্রবেশাধিকার বাড়াতে পারে এবং ইয়েমেনে তাদের সামরিক প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তৈরি করতে পারে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় সংঘটিত যুদ্ধে হুথি গোষ্ঠী ইয়েমেনে ইসরায়েলের আক্রমণের জবাব দিতে সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছে।
সোমালিল্যান্ডকে ইসরায়েলের স্বীকৃতি আফ্রিকান ইউনিয়ন, মিশর, তুরস্ক এবং ওআইসি থেকে ব্যাপক সমালোচনা পেয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও জোর দিয়ে বলেছেন, সোমালিয়ার সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।
সূত্র: middle east eye