
দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতায় থাকা সোমালিল্যান্ডকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ইসরায়েল। ১৯৯১ সালে গৃহযুদ্ধের সময় সোমালিয়া থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও জাতিসংঘের কোনো সদস্য রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পায়নি দেশটি। প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের স্বীকৃতি প্রদান বিশ্ব জুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। নিন্দা জানিয়েছে আফ্রিকা ও আরবের একাধিক দেশ।
আফ্রিকান ইউনিয়ন (AU) ঘোষণা করেছে যে তারা সোমালিল্যান্ডকে একটি স্বতন্ত্র সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না। AU প্রধান মাহমুদ আলী ইউসুফ এক বিবৃতিতে বলেন, "সোমালিয়ার ঐক্য, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা ক্ষুন্ন করার যেকোনো প্রচেষ্টা সমগ্র মহাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সুদূরপ্রসারী প্রভাবসহ বিপজ্জনক নজির স্থাপনের ঝুঁকি তৈরি করে।" তিনি আরও যোগ করেন যে সোমালিল্যান্ড "সোমালিয়া ফেডারেল প্রজাতন্ত্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে রয়ে গেছে।"

এদিকে, সোমালিয়ার সরকার এই সিদ্ধান্তকে তাদের সার্বভৌমত্বের উপর "ইচ্ছাকৃত আক্রমণ" হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে এটি অঞ্চলের শান্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
সৌদি আরবসহ আরও কিছু দেশও এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউ ইয়র্ক পোস্টকে জানান, তিনি সোমালিল্যান্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা রাখছেন না।
১৯৯১ সালে সোমালিল্যান্ড স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়ে এসেছে।