
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে যাত্রীছাউনি ভাঙা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালীন একটি রেস্তোরাঁও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত লালাবাজার এলাকায় সংঘর্ষ চলেছে। এ সময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যা যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত ভোগান্তির সৃষ্টি করে।
ঘটনার পটভূমি হলো, লালাবাজারে নর্দমার নির্মাণকাজ চলছে। বাজারের মসজিদের পাশে থাকা একটি যাত্রীছাউনি ভাঙার বিষয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পক্ষ নর্দমা নির্মাণের স্বার্থে ছাউনি ভাঙার পক্ষে অবস্থান নেয়, অন্য পক্ষ ছাউনি রেখে কাজ চালানোর দাবি জানায়।
ছাউনি ভাঙার পক্ষে ছিলেন লালাবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান চৌধুরী ও তার সমর্থকরা। অন্যদিকে বাজারের ব্যবসায়ী ও মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ জুবায়ের আহমদ ও তার পক্ষের লোকজন ছাউনি রাখার পক্ষে অবস্থান নেন।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, জুবায়ের আহমদ বিএনপির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোনও পদ না থাকার কারণে তিনি রাজনৈতিকভাবে সরাসরি নেতৃত্বে নেই। বাজারে তার ‘পাপড়ি রেস্টুরেন্ট’ নামের ব্যবসা রয়েছে। অন্যদিকে আমিনুর রহমান ও জুবায়ের আহমদ দুজনই আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। এ কারণে পূর্ব থেকেই তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ছাউনি নিয়ে বাগবিতণ্ডা ধীরে ধীরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা চলা সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হন এবং জুবায়ের আহমদের রেস্তোরাঁও ভাঙচুরের শিকার হয়। মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পুলিশ রাত ১১টার দিকে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “যাত্রীছাউনি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন, এর মধ্যে পাঁচজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার কোনো পক্ষ এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।”