
দেশের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করেছেন, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে দেশে আবারও গুপ্ত স্বৈরাচার ফিরে আসতে পারে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন।
তারেক রহমান বলেন, বক্তব্য অনেক হয়েছে। এখন আমাদেরকে অনেক কাজ করতে হবে। আজকে আমাদেরকে একটি শপথ নিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদেরকে দেশ গড়তে হবে। দেশের সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
গত ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, বিএনপির বহু নেতাকর্মী গুম-খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে দেশ গঠন এবং দেশকে পুনর্গঠন। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশটি হচ্ছে আপনার আমার সবার ঘর। এই ঘরে ডাকাত পড়েছিল গত ১৬ বছর যাবত। দেশ গঠনে আসল শক্তি জনগণ। তাই জনগণের কাছে আমাদেরকে যেতে হবে। সবাইকে দুই-তিনজনের টিম গঠন করে দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইতে হবে। কিভাবে শিক্ষা, শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করব, তা জনগণকে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের আমি আহ্বান জানাচ্ছি আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্রমনা সব শক্তিকে একসাথে আনতে হবে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াছিন, মনিরুল হক চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে দুই সহস্রাধিক কাউন্সিলর, ডেলিগেটসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের হাজারও নেতাকর্মী অংশ নেন।