
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) র্যাগিংয়ের অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার এবং আরও ১৭ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
লোক প্রশাসন বিভাগের এক নবীন শিক্ষার্থীর সঙ্গে এই র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আরাফাত ও রিফা সানজিদাকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তাঁদের হল সিট বাতিল করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, ১ থেকে ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮তম ব্যাচের কয়েকজন নবীন শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে অশালীন প্রস্তাব, গান-নাচে বাধ্য করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি ও গালাগালির মাধ্যমে মানসিক ও শারীরিকভাবে হয়রানি করে। এতে মানসিক চাপে পড়ে একজন নবীন শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করেন।
এ ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান এবং ছাত্র উপদেষ্টাকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
একই সভায় আবাসিক কাজী নজরুল ইসলাম হলের ৩০৭ নম্বর কক্ষে মাদকদ্রব্য ও ব্যবহৃত বুলেট উদ্ধারের বিষয়েও আলোচনা হয়।
গত ২৮ জুলাই রাতে হল প্রশাসনের অভিযানে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল আউয়াল রবিনের ড্রয়ার থেকে গাঁজার প্যাকেট ও ব্যবহৃত বুলেট উদ্ধার করা হয়। এর আগে একই কক্ষের জানালার নিচ থেকে আরেকটি গাঁজার প্যাকেট পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা আইন বিভাগের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী আনাস আহমেদ এবং শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের শিক্ষার্থী মো. সবুজ মিয়াকে আটক করে তাদের শোকজ করা হয়।
এ ছাড়া আনাস আহমেদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে।