.png)
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ করেছেন, জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলের আসনে বসানোর নেপথ্যে ষড়যন্ত্র চলছে এবং এ বিষয়ে দলটির সঙ্গে ডিজিএফআই-এর দেনদরবার চলছে। তিনি দাবি করেন, এর অংশ হিসেবেই শুক্রবার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে প্রটোকল দেওয়া হয়েছে। তবে জনগণ এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাশেদ খান এসব কথা বলেন।
তিনি সেনাবাহিনীর ভেতরে থাকা ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের’ চাকরিচ্যুত করার দাবি জানান। সেনাপ্রধানের উদ্দেশে রাশেদ খান বলেন, ভিপি নূরের ওপর হামলায় জড়িতদের নাম প্রকাশ করতে হবে। না হলে আমরা মনে করবো, আপনিই তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সবসময় ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে আমরা চাই না এ বাহিনী বিতর্কিত হোক। আমাদের করের টাকায় তাদের বেতন দেওয়া হয়, আর সেই বাহিনী যদি ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টির পক্ষ নেয়, তা আমরা মেনে নেব না।
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে তাদের নেতাদের উপস্থিত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে রাশেদ খান বলেন, অনেকে বলছেন আমরা নাকি জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে গিয়েছিলাম। এটি মিথ্যা। আমাদের কোনো শীর্ষ নেতা সেখানে যায়নি। বরং আমাদের কার্যালয়ের সামনে এসেই পুলিশ ও সেনাবাহিনী আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
তিনি জানান, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এখনও আশঙ্কামুক্ত নন। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে তাকে বিদেশে নিতে হতে পারে। এ বিষয়ে সরকারের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
রাশেদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নুরের কিছু হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামবো। হামলাকারী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। গোপনে ব্যবস্থা নিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
হামলার ঘটনার পর সেনা সদরের দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাখ্যানের কথাও জানান রাশেদ খান। তিনি বলেন, গতকালের হামলার বহু ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে। আমরা মনে করি, এর সঙ্গে ডিজিএফআই জড়িত থাকতে পারে। গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা এমনটি করবে এটি আমরা মেনে নিতে পারি না।