
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক কিশোরীকে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার একটি গ্রামে। মামলার প্রধান আসামি ইয়াসিন মিয়া (২০) ছাড়াও আরও পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন ইয়াসিন। সম্প্রতি তিনি কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন, কিন্তু পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইয়াসিন বুধবার রাতে বাড়ির উঠানে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কিশোরীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। তার চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে ইয়াসিন দ্রুত পালিয়ে যান। গুরুতর আহত অবস্থায় কিশোরীকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতের ভাই বলেন, “ইয়াসিন আমার বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল, এতে বাবা রাজি হননি। আমরা গরিব, আর তাদের পরিবার প্রভাবশালী। এজন্য সে আমার বোনকে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে জানানো হলে নিষেধ করা হয়, তবুও সে বিয়ের প্রস্তাব দিতে থাকে।”
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, “অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”