তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিএনপির নতুন কর্মসূচি

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষ করে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে দলটি নতুন একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যার মাধ্যমে তরুণদের সৃজনশীল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে গুলশানে বিএনপির নবনির্মিত কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচিটির ঘোষণা দেন তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন। কর্মসূচির নাম রাখা হয়েছে ‘আমার ভাবনায় বাংলাদেশ: জাতীয় রিল মেকিং প্রতিযোগিতা’।

সংবাদ সম্মেলনে মাহাদী আমিন জানান, প্রতিযোগিতাটি ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে অংশ নিতে হলে ১ মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি রিল তৈরি করতে হবে এবং নির্ধারিত ১১টি থিমের যেকোনো একটির ওপর ভিডিওটি নির্মাণ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার সেরা ১০ জন অংশগ্রহণকারী একটি বিশেষ আয়োজনে তারেক রহমানের সঙ্গে একান্ত আলাপের সুযোগ পাবেন।

তিনি আরও জানান, কর্মসূচি উপলক্ষে একটি লিফলেট প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে অংশগ্রহণের ছয়টি ধাপ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে প্রতিযোগীদের নির্ধারিত ১১টি থিম থেকে একটি নির্বাচন করে ১ মিনিটের মধ্যে রিল তৈরি করতে হবে।

মাহাদী আমিন বলেন, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে অংশগ্রহণকারীদের ঠিক করতে হবে তারা কোন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন, ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম অথবা টিকটক। এরপর নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে রিলটি প্রকাশ করতে হবে। পঞ্চম ধাপে রিলের ক্যাপশনে হ্যাশট্যাগসহ অবশ্যই ‘বাংলাদেশ ফাস্ট’ ব্যবহার করতে হবে। শেষ ধাপে সেই রিলের লিংক বিএনপির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ‘আমার ভাবনায় বাংলাদেশ’ ইভেন্টে পোস্ট করতে হবে।

তিনি জানান, রিলের কনটেন্ট যেকোনো ধরনের হতে পারে। একক বক্তব্য, স্যাটায়ার, গান, সংলাপ কিংবা অভিনয়ের মাধ্যমে ভাবনা তুলে ধরার সুযোগ থাকবে। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ নম্বর নির্ধারিত হবে জনমতের ভিত্তিতে এবং বাকি ৭০ শতাংশ নম্বর দেবেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।

প্রতিযোগিতার জন্য নির্ধারিত থিমগুলো হলো ফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, পরিবেশ, আমি যেমন দেশ চাই, ক্রীড়া, ইমাম ও মুয়াজ্জিনের সম্মান, প্রবাসী এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।

নতুন কার্যালয়টি তারেক রহমানের জন্য কেনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মাহাদী আমিন বলেন, “এটি বিএনপির একটি অফিস। একে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কার্যালয় বলা ঠিক হবে না।” তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

এ সময় তিনি আরও উল্লেখ করেন, দলের ভবিষ্যৎ নির্বাচনী কার্যক্রমও এই কার্যালয় থেকেই পরিচালিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ, ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য সায়মুন পারভেজ এবং মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।