
পাবনার চাটমোহরে একটি ঈদগাহ মাঠের নামকরণ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে বিবাদ উত্তেজনায় রূপ নেয়। শুক্রবার দুপুরে আটলংকা গ্রামে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন, পাশাপাশি কিছু বাড়িঘরও ভাঙচুরের শিকার হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আহতরা হলেন—বন্যাগাড়ী গ্রামের আজিম উদ্দিন, সুরমান আলী, আরমান আলী, আবুল হোসেন, রাশেদ হোসেন, আফজাল প্রামানিক, সেলিম হোসেন ও সাব্বির হোসেন। এছাড়া কয়েকজন আহতকে আটঘরিয়া ও পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আটলংকা ও বন্যাগাড়ী গ্রামের মানুষদের মধ্যে ওই ঈদগাহ মাঠের নামকরণ নিয়ে বিরোধ চলছিল। সমস্যার সমাধানে দুই গ্রামের প্রধানরা বিভিন্নবার থানায় ও স্থানীয়ভাবে বৈঠকও করেছিলেন, কিন্তু তাতে কোনো সমাধান হয়নি। শুক্রবার দুপুরে আবারও নামফলক লাগানোর বিষয় নিয়ে বাক্যবিতণ্ডা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের সময় ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুসা নাসের চৌধুরী ও থানার ওসি মনজুরুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওসি মনজুরুল আলম জানান, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মূলত ঈদগাহ মাঠের নামকরণ নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কেউ থানায় অভিযোগ দায়নি, অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”