
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে সন্দেহজনক বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বেশ কয়েকটি পতিতালয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের বড় ধরনের অভিযানে বাংলাদেশিসহ মোট ১৩৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে।
রোববার (০৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান পরিচালনা করেন ইমিগ্রেশন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক বাসরি ওথমান। তিনি জানান, রাজধানীর বিদেশি বসবাস ও কর্মকাণ্ড বেশি এমন জালান পেতালিং, জালান ইমবি এবং জালান পুডু এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযান চলাকালে মোট ২০৫ জনকে যাচাই করা হয় এবং সেখান থেকে ১৩৯ জনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১১২ জনই নারী।
সোমবার প্রকাশিত বুলেটিন তিগার প্রতিবেদনে বলা হয়, আটক ব্যক্তিদের বয়স ২০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। তারা ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক। তবে কতজন বাংলাদেশি আটক হয়েছেন, তা নিশ্চিত করা যায়নি।
এ ছাড়া স্থানীয় ২০ জন পুরুষকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের ওই কেন্দ্রগুলোর ‘ক্যাপ্টেন’ বা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বাসরি ওথমান জানান, অভিযানে শনাক্ত কিছু স্থাপনায় মাত্র ৬০ রিংগিত থেকে যৌনসেবা দেওয়া হতো। সংশ্লিষ্ট নারীরা শুধুমাত্র কর্মস্থলে যেতেন, আর থাকার জায়গা ছিল আলাদা।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, এসব কেন্দ্র দিনে ২৪ ঘণ্টা দুই শিফটে পরিচালিত হতো- প্রথম শিফট সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং দ্বিতীয় শিফট সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত। সেখানে গ্রাহকেরা কোনো ধরনের আগাম বুকিং ছাড়াই প্রবেশ করতে পারতেন।
অভিযানে দেখা যায়, বেশ কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই ভবনের ভেতরে নতুন দেয়াল তুলে স্থাপনার কাঠামো পরিবর্তন করেছে। এ বিষয়ে সিটি কাউন্সিলকে অবহিত করা হবে বলে জানায় ইমিগ্রেশন বিভাগ।
অভিযানের সময় জালান পেতালিং এলাকায় বিদেশি যাত্রী বহনকারী একটি গাড়ি পালানোর চেষ্টা করলে সেটিকে আটকানো হয়। গাড়িটিতে থাকা চার নারীসহ এক বাংলাদেশিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য কেএলআইএ, বারণাং ও সেমোনিয়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।