
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর অভিযোগ করেছেন, সরকার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর মাধ্যমে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হলেও ঘোষণাপত্রে মূল প্রেক্ষাপট ও গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনের ইতিহাসকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
বুধবার পুরানা পল্টনের আলরাজি কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
নুর বলেন, গতকাল দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। সরকার একটি নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে, এজন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু এ ঘোষণাপত্রে অনেক ফাঁকফোকর রয়ে গেছে। আমরা এক ধরনের মিশ্র অনুভূতি নিয়ে সরকারকে ধন্যবাদ দিচ্ছি অর্ধেক সন্তুষ্টি, অর্ধেক অসন্তুষ্টি।
তিনি জানান, সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে গণ্য করে তারা সবসময় সহযোগিতা করেছে, কিন্তু সরকার সেই সহানুভূতির প্রতিফলন দেখাতে পারেনি। বরং, সরকারের কর্মকাণ্ডে সদ্য গঠিত এনসিপির প্রাধান্য স্পষ্ট বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নুর বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মূল প্রেক্ষাপট ছিল ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন। এরপরের নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এই তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করে। এই দুই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায়ই গড়ে উঠেছে ছাত্র-যুব-শ্রমিক অধিকার পরিষদ ও গণঅধিকার পরিষদ। অথচ ঘোষণাপত্রে এসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে উপেক্ষা করে বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ঘোষণাপত্রে মূল ইতিহাসকে সঠিকভাবে উপস্থাপন না করে রাজনৈতিকভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এটা আমরা আশা করিনি।
সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জুলাই ঘোষণাপত্র সংশোধনের দাবি জানান এবং ভবিষ্যতে সত্য-নির্ভর ইতিহাস উপস্থাপন করার আহ্বান জানান।