
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
শনিবার বিকালে ডিএমপি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এ সময় তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর নির্দেশে রোববার থেকে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত কমিটি এটি খতিয়ে দেখবে, পুলিশ সেখানে কী কারণে গিয়েছিল, তাদের কাজকর্মে কোনো গাফিলতি ছিল কিনা এবং হামলার বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, এতে নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদসহ কয়েকজন আহত হন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিওতে নুরুল হক নুরের শরীর রক্তাক্ত হয়ে পড়তে দেখা যায়, তার নাকও ভেঙে যায়। পরে তাকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
একটি ভিডিওতে লাল শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি পুলিশের সদস্য হতে পারে, এমন দাবি ওঠে। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান তার ফেসবুক পোস্টে এ দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, “লাল শার্ট পরা ব্যক্তি পুলিশ সদস্য কিনা, তা নিশ্চিত করার জন্য আরও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।”
এদিকে, শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জননিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাধ্য হয়ে বলপ্রয়োগ করেছে এবং এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন।
এছাড়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, লাঠির আঘাতে নুরুল হক নুরের নাক ও চোয়ালের হাড় ভেঙে গেছে।