
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে জনগণকে আর দাবি আদায়ে রাস্তায় নামতে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)-এর বার্ষিক কাউন্সিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, গত পঞ্চাশ বছরে দেশ পরিচালনাকারী সরকারগুলো তরুণদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের পরিবেশ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, জনগণের সহযোগিতায় জামায়াত একটি ভঙ্গুর বাংলাদেশকে নতুন করে দাঁড় করাতে চায়।
শিক্ষাব্যবস্থার দুরবস্থা তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, “যারা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকল্পনার দায়িত্বে আছেন, তাদের সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করেন। আর এ কারণেই দেশের শিক্ষা খাতের করুণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।”
তিনি জানান, ক্ষমতায় গেলে এমন শিক্ষা আর চালু থাকবে না, যা মানুষকে দুর্নীতিবাজ বা অমানবিক করে তোলে। বরং এমন শিক্ষা দেওয়া হবে, যা মানুষকে মানবিক করে তুলবে এবং অন্যকে সম্মান করতে শেখাবে।
উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পাঁচ বছরে বুলেট ট্রেন সম্ভব না হলেও উন্নয়নের “এক্সপ্রেস ট্রেন” অবশ্যই চালু করা হবে। সাংবাদিকদের ক্ষেত্রেও সাহসীভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করা হবে, এমনকি তা সরকারের সমালোচনাও যদি হয়।
শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের অঙ্গীকার জানিয়ে তিনি বলেন, নৈতিক ও বৈষয়িক শিক্ষার সমন্বয়ে এমন কাঠামো তৈরি করা হবে, যাতে পড়াশোনা শেষে কেউ বেকার না থাকে। প্রত্যেকে হয় উদ্যোক্তা হবে, নয়তো চাকরিজীবী। ডিগ্রির ভিত্তিতে নয়, বরং কাজের দক্ষতা ও ফলাফলের ভিত্তিতেই মর্যাদা নির্ধারণ করা হবে।
দুর্নীতির প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, “আমরা দুর্নীতির প্রবাহ বন্ধ করব। এটা শুনে অনেকের হৃদয় ধড়ফড় করছে, কারণ অনেকেই এভাবেই চলেন। তবে যে সার্ভিসের গভীরতা ও দায়িত্ব যতটা, সেই অনুযায়ীই বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হবে।”