
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর দাবি করেছেন, কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হলে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ মিলবে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণ এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গেজেট নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নুর বলেন, "আমরা রাজপথে আট বছর ধরে রক্ত ঝরিয়েছি। কিন্তু উপদেষ্টা হয়েছে বসন্তের কোকিলেরা। এমনকি যারা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কি কি অভিযোগ শুনছি। কোন কোন নেতার বিরুদ্ধে কি কি অভিযোগ শুনছি। এটা পরিষ্কার, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, যদি নিরপেক্ষ তদন্ত করা হয় - তাহলে হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে প্রমাণ পাবেন। সবার কথা বলছি না, দু-চারজন আছেন তাদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণ পাবেন।"
তিনি আরও জানান, গণঅধিকার পরিষদ বিএনপি ও জামায়াতকে একত্রিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। আমরা যে বক্তব্য দিচ্ছি, তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার আমাদের প্রস্তাব শুনেছে। আমরা গণভোট ও নির্বাচন একদিনে চেয়েছি; সরকার সেই সিদ্ধান্তই নিয়েছে। দুই কক্ষে পিআর সম্ভব না। উচ্চ কক্ষে পিআর সম্ভব - সেটাই হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছুটা বিভাজন আছে। আশা করি, আলাপ-আলোচনা করে বিএনপি-জামায়াতকে এক জায়গায় আনতে পারব। ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনমুখী করতে পারব।
নুর উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ ও জুলাই সনদ জারির সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক দলগুলো ইতিবাচকভাবে দেখছে। তিনি বলেন, "এসব নিয়ে আর নেতিবাচক ভাবার সুযোগ নেই। হয়তো প্রত্যেক দলের প্রত্যাশা অনুযায়ী পূরণ হয়নি। আমাদের দলের ক্ষোভ আছে, চাওয়া না পাওয়ার বেদনা আছে। আমরা রাজপথে আট বছর ধরে রক্ত ঝরিয়েছি। অনেক কথা বলছি না, আমরা না পেয়েও দেশ জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কিছু বলছি না।"
সাবেক এই ছাত্র নেতা সতর্ক করে বলেন, "পরিস্থিতি জটিল করার চেষ্টা করলে তাদের কপালে শনির দশা আছে। বেশি ভালো ভালো নয়। প্রধান উপদেষ্টা ও সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে পথে সবাইকে হাঁটতে হবে। যারা নির্বাচনে যাবে না; তারা হয়তো ডান/বাম অনেক কিছু চিন্তা করবে।"