
সাতক্ষীরা অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজে সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হয়ে টানা ১৯ বছর সরকারি কোষাগার থেকে বেতনভাতা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তারা এখনো পদে বহাল থেকে বেতন নিচ্ছেন।
সম্প্রতি কলেজের প্রভাষক মো. আমিনুর রহমান শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে এই তিন শিক্ষকের এমপিও বাতিল ও অবৈধভাবে উত্তোলিত অর্থ ফেরতের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গার্হস্থ্য অর্থনীতি, পরিসংখ্যান ও অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোল—এই তিনটি বিষয় কলেজে না থাকা সত্ত্বেও ২০০৬ সালে এমপিওভুক্ত হন সুরাইয়া সুলতানা (গার্হস্থ্য অর্থনীতি), হুমায়ুন কবির (পরিসংখ্যান) ও শাহাজান কবির (অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোল)। এরপর থেকে তারা পাঠদান না করেই সরকারি অর্থ ভোগ করছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালের ২ জুলাই অভিযুক্তদের উত্তোলিত সমুদয় অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে টাকা ফেরত না দিয়ে সুরাইয়া সুলতানা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ভঙ্গ ও জ্যেষ্ঠতা উপেক্ষা করে সন্ত্রাসীদের সহায়তায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দখল করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।
গত ২৪ এপ্রিল সাংবাদিকরা কলেজে গেলে কয়েকজন শিক্ষক–কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, উল্লিখিত তিন বিষয় কলেজে নেই, ফলে তিন শিক্ষক দীর্ঘ ১৯ বছর কোনো পাঠদান ছাড়াই বেতন তুলে আসছেন।
এ বিষয়ে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়াইব আহমাদ বলেন, “কেউ দায়িত্ব নিতে চাইছেন না, তাই সুরাইয়া সুলতানাকে বরখাস্ত করা যাচ্ছে না।”
যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুরাইয়া সুলতানা দাবি করেন, তার সনদ বৈধ এবং বেতনভাতা ফেরতের বিষয়টি ইতোমধ্যেই মীমাংসা হয়েছে।