
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষণা দিয়েছে যে তারা ক্ষমতায় এলে আল্লাহভিরুতাকে ভিত্তি করে দেশের জন্য নতুন শাসনের ধারা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। একই সঙ্গে বিদেশি কোনো হস্তক্ষেপ বা ষড়যন্ত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না বলে রাজধানীতে এক নির্বাচনি সমাবেশে সতর্ক করেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার ২৮ নভেম্বর সকালে ঢাকার ভাষানটেক এলাকার এই নির্বাচনি সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন।
সমাবেশে জামায়াত আমির বলেন, “পোস্টার ছিঁড়ে কিংবা অপপ্রচার চালিয়ে জামায়াতের জনপ্রিয়তা কমানো যাবে না। মানুষের মন থেকে জামায়াতকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়।”
তিনি জানান যে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে তরুণদের বড় ভূমিকা থাকবে। তার বক্তব্য, “৩০০ আসনেই তরুণদের প্রার্থী করা হয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ তরুণদের তাদের হাতেই আমরা ন্যায়ের পতাকা তুলে দিয়েছি।”
নারীদের কর্মক্ষেত্রে সুযোগ বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ সম্পর্কে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এটা সম্পূর্ণ অপপ্রচার। আমার নিজের প্রতিষ্ঠানে নারী পুরুষ সবাই সম্মানের সঙ্গে কাজ করেন। জামায়াত কখনোই নারীদের কর্মজীবনে বাধা দেয় না।”
ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “৫৪ বছরের ইতিহাসে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কোনো সম্পদ লুণ্ঠনের ঘটনা জামায়াতের নেই। রাষ্ট্র পরিচালনায় জোরজবরদস্তি নয় ন্যায়, সমতা ও সাম্য প্রতিষ্ঠাই হবে জামায়াতের নীতি।” তিনি আরও জানান যে ভিন্ন ধর্মের মানুষকেও সংসদে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ১৭ আসনের প্রার্থী ডা. এসএম খালিদুজ্জামান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তি বা পরিবারের নয় জামায়াত দেশ গঠন করবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে।” দুর্নীতি এবং দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।