
রংপুরে বিধবা নারীর জমি লীজ দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল ও নীলকন্ঠ ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীর মামা ওয়াজেদ আলী সরকার।
তিনি জানান, সিএস খতিয়ান অনুযায়ী রংপুর নগরীর নীলকন্ঠ এলাকায় দুটি দাগে মোট ৩১ শতক জমির মালিক ছিলেন চন্দ্র মোহন। খাজনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি জমিটি জোতদারের কাছে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে অজিত কুমার সেন গুপ্ত সেই জমি দখল নেন এবং ১৯৮৫ সালের ৩০ জুন হাবিবুর রহমানকে বিক্রি করেন।
হাবিবুর রহমান ওই জমি ভোগদখলে রাখার পর ১৯৮৮ সালের ২৩ নভেম্বর মোজাম্মেল হকের কাছে বিক্রি করেন। ২০২৩ সালের ২৮ মে মোজাম্মেল হক আরএস রেকর্ড থেকে জাবেদা নকল উত্তোলন করতে গিয়ে দেখেন জমিটি খাস দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে মোজাম্মেল হক ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে খতিয়ান সংশোধনের জন্য মামলা দায়ের করেন।
মামলা চলাকালীন সময়ে মোজাম্মেল হকের মৃত্যু ঘটে। এরপর তার স্ত্রী তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। সম্প্রতি অভিযোগ পাওয়া গেছে যে জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল ও নীলকন্ঠ ভূমি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান যোগসাজশ করে বিবাদমান জমিটি তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজনের নামে লীজ দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ক্রয়কৃত ৩১ শতক জমি ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোজাম্মেল হকের স্ত্রী মিম্মি বেগম ও স্থানীয় জনগণ।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক মো. রবিউল ফয়সাল ও ভূমি কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।