
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিএনপি ও জামায়াত-ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বিএনপির একটি ইউনিয়ন কার্যালয় ও এক কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও থানায় দায়ের হয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের উত্তর পাড় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। সংঘর্ষে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। এতে বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন কর্মীসহ ছয়জন আহত হন। পাশাপাশি জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের এক কর্মীর মাথা, হাত ও পায়ে আঘাত লাগে। পরে পাশের বিজয়করা গ্রামে বিএনপি কর্মী রাজুর বাড়িতেও হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, “রোববার রাতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের অনুষ্ঠান শেষে ইউনিয়ন কার্যালয়ে ৬-৭ জন নেতাকর্মী অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ জামায়াত-শিবিরের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। বিএনপির কর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাদের মারধর করা হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনজন রক্তাক্ত আহত হন এবং আরও তিনজন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। হামলার পর তারা বিজয়করা গ্রামে এক কর্মীর বাড়িতেও হামলা চালায়।”
তবে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ বেলাল হোসাইন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে স্থানীয় বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল। এক ব্যক্তি হঠাৎ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি কার্যালয় ও এক কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এতে জামায়াতের কেউ জড়িত ছিলেন না।”
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ জানান, “রোববার রাতে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিএনপি ও জামায়াতের পক্ষ থেকে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”