
ঢাকার ধানমন্ডির ছায়ানট ভবনে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে তিনি ভবন পরিদর্শন করেন, ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলো পরীক্ষা করেন এবং ছায়ানটের সংগঠক পার্থ তানভীর নভেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনাও করেন।
পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে। এই ভবনে হামলা চালানো হয়েছে, অনেক ক্ষয়ক্ষতি সাধন হয়েছে। আমি ছায়ানট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম শেষ করার জন্য সরকার আর্থিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে। ছায়ানট পরিচালনা কমিটি এ বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আমাদের জানাবে।”
তিনি আরও জানান, “ভবনের নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছায়ানটের বাইরে বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।”
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটি স্পষ্টভাবে নির্বাচন ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র। আজ আমাদের কথা বলা উচিত ছিল শহীদ ওসমান হাদিকে স্মরণ করে শোক প্রকাশের। কিন্তু প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিয়েছে যে, কারা প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটে হামলা করেছে। যারা করেছে তারা গণতান্ত্রিক পরিবর্তন চায় না।”
সংস্কৃতি উপদেষ্টা আরও বলেন, “জাতীয় শোকের মুহূর্তে এক শ্রেণির হঠকারী দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের ওপর হামলা চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে। শহীদ হাদির মৃত্যুতে কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা কেবল ফৌজদারী অপরাধই নয়, এটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।”