
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং বহু ভবন ধ্বংস হয়েছে। এর ফলে মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষত কবর দেওয়ার জায়গার অভাব পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে।
কবরস্থানগুলো এত ঘনভাবে ভরাট হয়ে গেছে যে নতুন মৃতদেহের জন্য জায়গা খুঁজে পাওয়া এখন কঠিন। বাধ্য হয়ে মানুষ তাঁবু, হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী জায়গা এবং অন্যান্য স্থান ব্যবহার করে প্রিয়জনদের কবর দিচ্ছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কবরস্থান সংকট গভীর হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে, যখন ইসরায়েল কবরস্থানগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ৬৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দেড় লাখের বেশি মানুষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা অনেক মানুষ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, তাই প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মানবিক বিপর্যয় থামানোর জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি স্থাপনের চেষ্টা করছে। সর্বশেষ তাদের পক্ষ থেকে ৬০ দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সামনে এসেছে। হামাস ইতিমধ্যেই এতে সম্মতি জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলকে এই প্রস্তাবের বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যে তারা প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার জন্য হামাসকে তাদের জীবিত ও মৃত ৫০ জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দিতে হবে। এ মাধ্যমে মূলত তারা প্রস্তাবিত অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে। মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো আগামী শুক্রবার পর্যন্ত তাদের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবে।
সূত্র: রয়টার্স