
আগামী আমন মৌসুমে সরকার দেশের কৃষকদের কাছ থেকে মোট ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান ও চাল সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন ধান, ৬ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ টাকা, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা। গত বছরের তুলনায় প্রতি কেজিতে দাম ৪ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সারাদেশে ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম আগামী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
রোববার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
ড. আহমেদ বলেন, “ধান বিক্রি করতে না পারলে কৃষক লোকসান ভোগ করেন, আর চাতালের মালিক কম দামে ধান কিনে নেন। এবার সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান ও চাল সংগ্রহ করবে, যাতে কৃষক ন্যায্য মূল্য পান।”
তিনি আরও জানান, “মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, খাদ্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি খাদ্যপণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে।”
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাস মজুমদার জানান, “কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় এবার ধান ও চালের দাম যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সংগ্রহ সম্পন্ন করতে পারব।”
তিনি আরও বলেন, “গত বোরো মৌসুমে আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান-চাল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এবারও সেই সাফল্য অব্যাহত থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”