
নাটোরের লালপুরে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে পরে হ্যান্ডকাপ খুলে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার বিলমাড়িয়া স্টেডিয়ামে এক ফুটবল ম্যাচ চলাকালে ঘটে এই ঘটনাটি, যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সাদা পোশাকে এক পুলিশ সদস্য ছাত্রলীগ কর্মী সাহিদ আলীর হাতের হ্যান্ডকাপ খুলে দিচ্ছেন। এ সময় মাঠজুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং উপস্থিত দর্শক ও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিলমাড়িয়া সুপার লীগের চতুর্থ ম্যাচের বিরতির সময় সাদা পোশাকধারী কয়েকজন পুলিশ সদস্য সাহিদ আলীকে আটক করেন। পরে মাঠে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মী ও দর্শকদের চাপের মুখে পুলিশ হ্যান্ডকাপ খুলে তাকে ছেড়ে দেয়। সাহিদ লালপুর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনার সময় পুলিশের সদস্যরা সাহিদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিক আলী মিষ্টু বলেন, “ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। তাই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।”
এদিকে, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজল রায় তার ফেসবুক পোস্টে ছাত্রলীগ কর্মীর প্রতি ‘হেনস্তা ও নির্যাতনের’ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে ভুলবশত তাকে ধরা হয়েছিল।”
মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না, তবে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”