
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি ‘বিপজ্জনক’, যেখানে যে কোনো সময় দুর্ঘটনাজনিত সংঘর্ষ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা অপরিহার্য। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং এ মন্তব্য করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার যোগাযোগ স্থাপনের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে না। সামরিক সীমান্তে এমন কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছে, যা ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়ান যুদ্ধের পর থেকে হয়নি।
প্রেসিডেন্ট লি বলেন, ‘আন্তঃকোরিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত প্রতিকূল এবং সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এমনকি মৌলিক স্তরের আস্থার অভাবে উত্তর কোরিয়া কিছু চরম আচরণ দেখাচ্ছে।’
দক্ষিণ কোরিয়া ১৭ নভেম্বর সামরিক সীমান্ত রেখা (MDL) বরাবর সুনির্দিষ্ট সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক আলোচনার প্রস্তাব দেয়। তবে উত্তর কোরিয়া এ প্রস্তাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
এই বছরই উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা ১০টির বেশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনায় সতর্কীকরণ গুলি চালানো হয়েছে।
লী জে মিয়ং বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া হবে। তবে যখন দৃঢ় শান্তিব্যবস্থা তৈরি হবে, তখন দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়াগুলোকে ‘পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য রিহার্সেল’ হিসেবে অভিহিত করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা এবং বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্র মোতায়েন রয়েছে।